খাওয়ার পর ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল

ডায়াবেটিস বাংলাদেশের জাতীয় রোগ। ডায়াবেটিস এখন সকলের মাঝে ছড়িয়ে পড়ছে এবং এটা এতটাই খারাপ ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে যে আস্তে আস্তে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের শারীরিক অবস্থা খুব তাড়াতাড়ি অবনতি ঘটছে। যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে গেছেন তাদের সব সময় সতর্ক থাকতে হয় এবং কিছুদিন পরেই ডায়াবেটিস পরিমাপ করতে হয় এটা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য।

ডায়াবেটিস পরিমাপ করার বেশ কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে এবং এই পদ্ধতি গুলোর মধ্যে একটি পদ্ধতি হচ্ছে খাবার দুই ঘন্টা পরে ডায়াবেটিস চেকআপ করা। তাই যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত আছেন তারা খাওয়ার দুই ঘন্টা পরে ব্লাড স্যাম্পল প্রদান করেন এবং সেখান থেকে জানার চেষ্টা করেন তাই ডায়াবেটিস কত হয়েছে খাবার পরে। যারা জানেন না খাওয়ার পরে ডায়াবেটিস কত হলে সেটা নরমাল এবং খাওয়ার পরে ডায়াবেটিস কত হলে সেটা নিয়ন্ত্রণে আছে এই বিষয়ে তাদের আজকে আমরা এখান থেকে জানাবো।

একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের খাওয়ার দুই ঘন্টা পরে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করলে সবার প্রথমে এটা দেখতে হয় তার ডায়াবেটিস হয়েছে কিনা। এক্ষেত্রে খাওয়া দুই ঘন্টা পরে যখন ডায়াবেটিস পরীক্ষা করানো হয় এই ডায়াবেটিসের মান যদি 7.8 এর মধ্যে থাকে তাহলে এটা ভেবে নিতে হবে যে তার ডায়াবেটিস হয়নি। তাই অবশ্যই আপনারা পরীক্ষা করার সময় একটি বিষয় খেয়াল রাখবেন খাওয়ার পরে যে পরীক্ষা করা হয় তার মান 7.8 এর মধ্যে আছে কিনা।

তবে যাদের ডায়াবেটিস হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এই মান বৃদ্ধি পেতে পারে তবে নিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে খাবার দুই ঘণ্টা পরে ডায়াবেটিসের মান ১১ পয়েন্টের মধ্যে থাকতে হবে। এর ওপরে গেলে সেটাকে অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস বলা হয় তাই অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যাতে ১১.১ মিলি এর বেশি কখনোই না হয় ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের খাবার পরের সুগার লেভেল।

ভরা পেটে ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল

সাধারণত ভরা পেটে ডায়াবেটিস বলতে বোঝানো হয়েছে খাবার দুই ঘন্টা পরে ডায়াবেটিসের পরিমাপ কত বা ব্লাড সুগারের পরিমাণ কত হলে সেটা ভালো। সাধারণত যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের খাবার পরে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করলে ৭.৮ থেকে ১১.১ এর মধ্যে থাকে। এটা হচ্ছে যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের পরিমাণ। যদি ডায়াবেটিসের রেজাল্ট এটাই হয় তাহলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরের অবস্থা ভালো আছে এবং তারা সঠিক নিয়ম মেনে চলছেন।

ডায়াবেটিস কত হলে ইনসুলিন নিতে হয়

অনেকে জানতে চেয়েছে ইনসুলিন কখন দেওয়া হয় এবং তাদের প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে আমরা অনেক তথ্য জানতে পেরেছি। সাধারণত এমন অবস্থাতে ইনসুলিন দেওয়া হয় যে অবস্থাতে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে ইনসুলিন নিজে থেকে তৈরি হয় না। সাধারণত যাদের বয়স অনেক বেশি হয়ে গেছে এবং যারা শারীরিক পরিশ্রম করতে পারে না তাদের ক্ষেত্রে ইনসুলিন দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা পড়ে।এ অবস্থাতে রোগীদের ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা গেলে দেখা যায় যে ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত অবস্থাতে আছে তার কারণ হচ্ছে শরীরে ইনসুলিন উৎপাদন হচ্ছে না। শরীরে ইনসুলিন উৎপাদিত না হলে বাইরে থেকে ইনসুলিন দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে সেই ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা ইনসুলিন নেওয়ার পরামর্শ দেন রোগীদের।

ডায়াবেটিস কত হলে মানুষ মারা যায়

অনেকে জানতে চেয়েছেন ডায়াবেটিসের পরিমাণ কত হলে মানুষ মারা যেতে পারে। বাঁচা মরার হিসাব মূলত আগে থেকে বলা যায় না তার কারণ হচ্ছে এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে আল্লাহ তাআলার উপর। তবে ডায়াবেটিস সবথেকে বেশি কত হলে একজন রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক ধরা হয় সেটা হচ্ছে ২৫ এর উপরে। এ অবস্থাতে ডায়াবেটিস একেবারে অনিয়ন্ত্রিত থাকে এবং যেকোন সময় রোগীর স্ট্রোক বা হার্টের সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও এই অবস্থাতে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের যদি কোন ইনফেকশন থাকে তাহলে সেটা এতটাই খারাপ অবস্থানে যায় যে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। এছাড়াও এই অবস্থাতে কিডনি ড্যামেজ হতে পারে।