বাচ্চাদের ডায়াবেটিস একেবারে অস্বাভাবিক ঘটনা। সাধারণত এই ডায়াবেটিস গর্বে থাকা অবস্থাতেই মায়ের শরীর থেকে ছড়াতে পারে। সাধারণত যেই গর্ভবতী মায়েদের ডায়াবেটিস আছে তাদের গর্ভে থাকা সন্তানের ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা থাকে এবং এটা যদি হয় তাহলে সেটা সত্যিই অনেক কষ্টের। আজকে আমরা জানার চেষ্টা করব গর্বে থাকার সন্তানের যদি ডায়াবেটিস হয় তাহলে সেটা কত হলে নরমাল ভাববেন এবং সেই ডায়াবেটিসের চিকিৎসা কিভাবে করবেন সে সম্পর্কে জানব।
সাধারণত বাচ্চাদের ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সেটাকে সঠিক নিয়মে নিয়ন্ত্রণ করা। আপনি বড়দের ক্ষেত্রে যতটা সতর্ক ভাবে এটাকে নিয়ন্ত্রণ করবেন তার থেকেও কয়েকজন সতর্কভাবে এটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সাধারণত বাচ্চাদের ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে অবশ্যই কিছু লক্ষণ আছে যে লক্ষণ গুলো ফলো করলে বোঝা যাবে তা ডায়াবেটিস হয়েছে।
কিছুতে ডায়াবেটিস নরমাল কত পয়েন্ট
ডায়াবেটিসের যে আন্তর্জাতিক সংস্থা আছে যেটাকে ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিক ফাউন্ডেশন বলা হয় তার মতে আমাদের দেশে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় 70 লাখ এবং তার মধ্যে ১৭ হাজারের বেশি শিশু রয়েছে যারা টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। সত্যিই এটা শুনতে অবাক লাগে, সাধারণত যখন বয়স ৫ অথবা এ থেকে বেশি হয় এই ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে এই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
যাদের সাধারণত ৫ থেকে ১১ বছর বয়সে ডায়াবেটিস তাদের জন্য ন্যাশনাল ডায়াবেটিস এডুকেশন প্রোগ্রামের আওতায় যে নর্মাল প্রিন্স প্রদান করা হয়েছে সেখানে ছেলেদের জন্য ১৪০ এমজি এবং মেয়েদের জন্য ১২০ এমজি এর নিচে রক্তের শর্করার মাত্রা সুপারিশ করে । যাইহোক এই ক্ষেত্রে অনেক শিশু বিশেষজ্ঞ বিশ্বাস করেন যে রক্তের শর্করার মাত্রা ২০০ এর নিচে সমস্যাযুক্ত কারণে এটি পরবর্তী জীবনে গুরুতর ডায়াবেটিসের জটিলতার ঝুঁকি বাড়ায়।
আমরা বলতে পারি যে শিশুদের স্বাভাবিক রক্তের সরকারের মাত্রা যদি ৯৯ এমজি তার চেয়ে কম এবং খালি পেটে 5.6 বা তার চেয়ে কম হয় তাহলেই সেটা স্বাভাবিক। শর্করার মতে ধারাবাহিকভাবে বাড়তে থাকলে এটা ডায়াবেটিসের লক্ষণ। এ বিষয়ে প্রত্যেকটি বাবা মাকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে তার কারণ হচ্ছে সন্তানের যদি ডায়াবেটিস হয় তাহলে সেটা সত্যি মেনে নেওয়া যায় না এবং এই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত শিশুদের অনেক কষ্ট করতে হয়।
নবজাতকের ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল
নবজাতক শিশুদের ডায়াবেটিস আবার সম্ভাবনা থাকে তার মায়ের কাছ থেকে। যদি নবজাতকের মায়ের ডায়াবেটিস হয় তাহলে সেই নবজাতক টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারে। সাধারণত এখানে টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে প্রধান চিকিৎসা হলো ইনসুলিন তার কারণ হচ্ছে তারা একেবারেই কিছু বোঝেনা যার কারণে তাদের শরীরে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে হলে ইনসুলিন ব্যবহার করতে হবে।
তবে যারা একটু বড় হয়ে গেছে বিশেষ করে খাওয়ার শিখেছে এরকম রোগীদের ক্ষেত্রে সবুজ শাকসবজি এছাড়াও টাটকা সবজি ও মাছ ডিম খাওয়াতে হবে। এছাড়াও ভাজাপোড়া তেল যুক্ত খাবার শুরু থেকে বাচ্চাদের খাওয়ানো থেকে দূরে থাকতে হবে।
এটা অত্যন্ত করুন ব্যাপার যে শিশু সন্তানের ডায়াবেটিস হয়েছে তাই বাবা মাকে সবসময় সচেতন অবস্থায় থাকতে হবে। আমাদের দেশে সাধারণত এ ধরনের সচেতনতা অনেক কম আছে এবং আমরা যদি সমাজের মধ্যে এই ধরনের সচেতনতা বৃদ্ধি না করতে পারি তাহলে দেখা যাবে যে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম ডায়াবেটিসের কাছে হেরে গেছে।
সবসময় চেষ্টা করতে হবে নিজের প্রজন্মকে ধরে রাখতে শুরু থেকে সবকিছু সম্পর্কে অবগত হওয়া। আমরা যদি সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারি তাহলে আগে থেকে বাবা-মা ডায়াবেটিস সম্পর্কে সতর্ক থাকবে এবং বাবা মার যদি ডায়াবেটিস না হয় তাহলে গর্ভে থাকা সন্তানের ডায়াবেটিস হবে না। তাই বাড়িতে বাড়িতে সচেতনতা গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি ব্যাপার।