সিটি স্ক্যানের খরচ কত

আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের বড় এক ধরনের পরীক্ষার নাম হচ্ছে সিটি স্ক্যান। আমরা যারা এখন পর্যন্ত সিটি স্ক্যান সম্পর্কে জানি যে শুধুমাত্র একটি রোগ নির্ণয় করার জন্য এ সিটি স্ক্যান টেস্ট করা হয় তাদেরকে বলব এটা একেবারেই ভুল ধারণা। কমপক্ষে বড় বড় ১০ টি রোগ নির্ণয় করার জন্য সিটি স্ক্যান ব্যবহার করা হয় এবং ছোটখাটো আরো বহু রোগ আছে যেগুলো নির্ণয় করার জন্য সিটি স্ক্যান পরীক্ষা চালানো হয়ে থাকে। আজকে আমরা সিটি স্ক্যান পরীক্ষার খরচের পাশাপাশি এটা কেন করা হয় এবং খ্রিস্টান পরীক্ষার খুঁটিনাটি তথ্য আপনাদের জানাবো।

সাভার প্রথমে যদি খরচের প্রসঙ্গে আসি তাহলে সিটি স্ক্যান পরীক্ষার খরচ বিভিন্ন হাসপাতাল এবং বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ভেদে আলাদা হতে পারে। সাধারণত সিটি স্ক্যান পরীক্ষা বিভাগীয় সরকারি সদর হাসপাতাল ছাড়া আপনি কোথাও পাবেন না। উপজেলা পর্যায়ে এবং জেলা পর্যায়ে হাসপাতালগুলোতে সিটি স্ক্যান পরীক্ষা করানো হয় না বলে আমি জানি। তাই যদি বড় ধরনের কোন রোগে আক্রান্ত হয় এবং চিকিৎসা থেকে সিটিস্ক্যান পরীক্ষা করাতে পারে তাহলে অবশ্যই বিভাগীয় সদর হাসপাতালে গিয়ে সেখানে ভর্তি হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সিটি স্ক্যান পরীক্ষা করাতে হবে। এখানে সরকারি হাসপাতালে সিটি স্যার পরীক্ষার খরচ হতে পারে ২৫০০ টাকা থেকে 3500 টাকার মতো।

তবে এই পরীক্ষা যদি কোন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে করানো হয় তাহলে এর খরচ এর থেকে ডাবল হয়ে যেতে পারে। একেতো এই প্রতিষ্ঠানগুলো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তা এখানে লাভের অংশ রয়েছে এর পাশাপাশি এ প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অবস্থান অর্থাৎ একটি জেলা শহরের প্রতিষ্ঠান বা একটি বিভাগীয় শহরের প্রতিষ্ঠানের খরচের তফাৎ রয়েছে তাই সে ক্ষেত্রে এই সিটি স্ক্যানের খরচও কম বেশি হতে পারে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে সিটি স্ক্যান করানোর খরচ ৪ হাজার টাকা থেকে ৭ হাজার টাকার মত হতে পারে। আপনি কোন প্রতিষ্ঠানে করাচ্ছেন সেই প্রতিষ্ঠানের অবস্থান এবং প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার মানের উপর নির্ভর করে সাধারণ রশিটি স্থান পরীক্ষা করানো হয় ।

সিটি স্ক্যান পরীক্ষা কিভাবে করে

সিটি স্ক্যান পরীক্ষায় অত্যন্ত ব্যয়বহুল একটি পরীক্ষা। এখানে অতি উচ্চমাত্রায় রেডিয়েশন ব্যবহার করে থ্রিডি ছবি জেনারেট করা হয়। এই থ্রিডি এক্সট্রা ছবির মাধ্যমে রোগীর রোগ নির্ণয় করা হয়। সিটি স্ক্যান পরীক্ষার মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অংশের ছবি তোলা হয় এবং সেই ছবিগুলো একত্রিত করা হয় কম্পিউটারের মাধ্যমে এবং সেখান থেকে চিকিৎসকেরা ছবিগুলো দেখে দেখে নিশ্চিত করতে পারে রোগীর রোগ সম্পর্কে। সিটি স্টাইল পরীক্ষা করতে গেলে অবশ্যই রোগীকে একটি ভালো প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে সেটা হচ্ছে মানসিক প্রস্তুতি।

সাধারণত সিটি স্ক্যান পরীক্ষা করার সময় রোগীকে সম্পূর্ণভাবে একটি বড় মেশিনের মধ্যে প্রবেশ করাতে হয় তাতে অনেকেই এই জায়গাতে গিয়ে ভয় না পায় সে সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। শুধুমাত্র ছোট্ট একটি জায়গাতে কিছুক্ষণ থাকতে হয় তাই এই অবস্থাতে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যেন সিটি স্ক্যান পরীক্ষার সময় কোনভাবেই কেউ ভয় না পায় এবং লাফালাফি করার চেষ্টা না করে যাতে করে পরীক্ষার মান খারাপ হয়। সিটি স্ক্যান পরীক্ষায় যদি রোগীরা সঠিকভাবে সাপোর্ট করে তাহলে অবশ্যই সেই পরীক্ষার মান খুব ভালো আসবে এবং সেখান থেকে রোগ নির্ণয় হবে।

মাথার সিটি স্ক্যান কেন করা হয়ে থাকে

সাধারণত মাথার সিটি স্ক্যান পরীক্ষার মাধ্যমে স্টক হওয়ার রোগীদের ক্ষেত্রে স্ট্রোক হয়েছে কিনা সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়। এছাড়াও সেখানে কতটুকু আঘাত হয়েছে অর্থাৎ ব্রেনে আঘাত কেমন হয়েছে এবং ব্রেনে কোন রক্তক্ষরণ হয়েছে কিনা সেটা নিশ্চিত করার জন্য সিটি স্ক্যান পরীক্ষা অত্যন্ত জরুরি একটি পরীক্ষা। সাধারণত এই পরীক্ষার মাধ্যমে খুব সহজে বোঝা যায় রোগীর ব্রেনের অবস্থা কেমন আছে এবং সেখানে কি ধরনের চিকিৎসা করার প্রয়োজন আছে।