সাধারণত একজন ব্যক্তির যদি লিভারে কোন ধরনের সমস্যা দেখা যায় তাহলে সেটা সবার আগে ধরা পড়বে একটি মাত্র টেস্টের মাধ্যমে। যেই টেস্টের মাধ্যমে ব্যক্তিদের লিভার ফাংশন সম্পর্কে খুব ভালোভাবে ধারণা পাওয়া যাবে। এই একটি মাত্র টেস্ট যদি রোগী করান তাহলে তার লিভারের কোথায় কি সমস্যা হয়েছে এবং কোথায় কি সমস্যা হয়নি সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। আজকে আমরা কথা বলবো লিভার ফাংশন টেস্ট নিয়ে আশা করছি আপনারা শেষ পর্যন্ত লিভার ফাংশন টেস্টের খুঁটিনাটি সব তথ্য জানতে আমাদের সঙ্গে থাকবেন।
আজকের এই আর্টিকেল থেকে আমরা আপনাদের জানাবো লিভার ফাংশন টেস্ট করাতে মূলত কত টাকা খরচ হয়। সাধারণত লিভার ফাংশন টেস্ট রক্তের মাধ্যমে করা হয় এবং এটা করতে খরচের পরিমাণ একেবারে কম। আপনি যদি সরকারি হাসপাতালে এই লিভার ফাংশন টেস্ট করান তাহলে আপনার খরচ হতে পারে ২৫০ টাকা থাকে ৩৫০ টাকার মত। ভাবে যদি আপনি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এই লিভার ফাংশন টেস্ট করাতে চান তাহলে আপনার খরচ হতে পারে 450 টাকা থেকে ৫৫০ টাকার মত। এটা লিভার ফাংশন টেস্ট পরীক্ষার খরচ।
ফ্যাটি লিভার পরীক্ষা
লিভারের যে সমস্যাগুলো রয়েছে তার মধ্যে ফ্যাটি লিভার অন্যতম একটি সমস্যা। ফ্যাটি লিভার এমন একটি জটিল রোগ এখন বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেই টেস্ট করলে এই সমস্যা পাওয়া যাবে। সাধারণত আমাদের পাকস্থলীর যে ওজন আছে সেই ওজনের তুলনায় চর্বির পরিমাণ যদি ৫% থেকে দশ পার্সেন্ট থাকে তাহলে সেটা একেবারেই স্বাভাবিক। তবে যদি এই মান ১০% অতিক্রম করে তাহলে সেটা ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ এবং অনেক বেশি হলে সেই রোগের নাম হচ্ছে ফ্যাটি লিভার।
ফ্যাটি লিভার রোগ নির্ণয়ের জন্য সবার প্রথমে যেই পরীক্ষাটি করা হয় সেই পরীক্ষার নাম হচ্ছে আলট্রাসনোগ্রাফি। সাধারণত আলট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায় ফ্যাটি লিভার সম্পর্কে এর পরবর্তীতে ফ্যাটি লিভারের গ্রেড নির্ণয়ের জন্য আরো পরীক্ষা করা হয়। এছাড়াও অনেক রোগীদের ক্ষেত্রে সিটি স্ক্যান এবং এমআরআই করানো হয় ফ্যাটি লিভারের পরিস্থিতি বোঝার জন্য। ফ্যাটি লিভারের চিকিৎসা পৃথিবীর সবথেকে ব্যয়বহুল চিকিৎসার মধ্যে একটি তবে আপনি যদি নিজের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করতে পারেন তাহলে ফ্যাটি লিভার সম্পর্কে অনেক আরাম পাবেন।
লিভার টেস্ট করার প্রস্তুতি
লিভার টেস্ট করার যে পদ্ধতি আছে সেটাকে সাধারণত লিভার ফাংশন টেস্ট বলা হয়ে থাকে। এই লিভার ফাংশন টেস্ট মূলত রক্তের মাধ্যমে করা হয়। লিভারের কোথাও কোন সমস্যা হলে সেটা একটি উপাদান বৃদ্ধির মাধ্যমে নিশ্চিত ভাবে বলা যায় এবং সেই উপাদান এর নাম হচ্ছে এসজিপিটি। এর পরিমাণ যদি রক্তে বৃদ্ধি পায় তাহলে বোঝা যায় যে লিভারে কোন সমস্যা হয়েছে এবং সেটাকেই বলা হচ্ছে লিভার ফাংশন পরীক্ষা।
লিভার ফাংশন পরীক্ষার ক্ষেত্রে সাধারণত রক্ত নেওয়া হয় রবির শরীর থেকে কয়েক ফোটা। এ রক্ত এবং বিভিন্ন ধরনের ঔষধ ব্যবহার করে প্যাথলজিক্যাল ল্যাব এ উপস্থিত চিকিসকেরা সাধারণত এই পরীক্ষা করে এবং এই পরীক্ষার মান প্রকাশ করে। লিভার ফাংশন পরীক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ লিভারের রোগে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে।
লিভার ফাংশন টেস্ট কি ভাবে করে
লিভার ফাংশন টেস্ট সাধারণত রক্তের মাধ্যমে করা হয়। এখানে আলাদাভাবে কোন প্রস্তুতির প্রয়োজন নেই অর্থাৎ আপনি আগে থেকেই এই টেস্ট করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করবেন এটা দরকার নেই। এই পরীক্ষা করার জন্য রোগী যেকোনো সময় রক্ত প্রদান করতে পারে। এটার একটি আদর্শ মান আছে যে আদর্শবান অতিক্রম করলেই লিভারের সমস্যা ধরা পড়ে তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রোগীরা এই টেস্টের মান ভালো পান যেটা আমাদের সকলের কাম্য। লিভার ফাংশন টেস্ট সম্পর্কে অবশ্যই আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমাদের জানা প্রয়োজন আমরা সেই বিষয়ে চেষ্টা করছি।