মেডিকেল টেস্ট অনেক বড় একটি ব্যয়। সাধারণত অসুস্থ মানুষের সব থেকে বড় সমস্যা হচ্ছে মেডিকেল টেস্ট ব্যয় করা। ছোট থেকে বড় যেকোনো ধরনের টেস্ট এর প্রয়োজন পড়লে সেটা অবশ্যই করাতে হবে তার কারণ হচ্ছে এর মাধ্যমে সঠিক রোগ নির্ণয় করা যায়। চিকিৎসা পদ্ধতির সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হচ্ছে রোগ নির্ণয় করা সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় করতে পারলে সঠিক চিকিৎসা দিলে রোগী সুস্থ হতে পারে।
রোগ নির্ণয় করার ক্ষেত্রে অবশ্যই মেডিকেল টেস্টের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কিছু কিছু মেডিকেল টেস্টের খরচ একেবারেই কম আবার কিছু কিছু মেডিকেল টেস্টের খরচ এতটাই বেশি যে সাধারণ মানুষের পক্ষে সেটা করানো সম্ভব থাকে না। আজকে আমরা আমাদের পরিচিত এবং প্রয়োজনীয় কিছু মেডিকেল টেস্টের খরচ নিয়ে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব। এই টেস্টগুলো সাধারণত আমাদের লেগেই থাকে তাই এই টেস্ট সম্পর্কে যদি আমাদের ধারণা থাকে তাহলে আস্তে আস্তে আমরা অভ্যস্ত হয়ে যাব এই সম্পর্কে।
ডায়াবেটিস টেস্ট করতে কত টাকা লাগে
ডায়াবেটিস টেস্ট করতে সাধারণত প্রত্যেককেই একটি সময়ে রাজি হতে হয়। শারীরিক অসুস্থতা বার বার এটা নির্দেশ করে আপনার ডায়াবেটিস হয়েছে। ঠিক তখনই ডায়াবেটিস টেস্ট করাতে হয় এবং সকলের পক্ষে ডায়াবেটিস পজিটিভ না হলেও মনের চেয়ে চিন্তা ভাবনা দূর করার জন্যই মূলত ডায়াবেটিস টেস্ট করানো হয়।
আপনি যদি জানতে চান বর্তমান বাংলাদেশের ডায়াবেটিস টেষ্ট এর খরচ কত তাহলে বলব সরকারি হাসপাতালে আপনি যদি ডায়াবেটিস টেস্ট করাতে চান তাহলে আপনার খরচ হতে পারে ৫০ টাকা থেকে ৮০ টাকার মত। এছাড়া আপনি যদি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে ডায়াবেটিস টেস্ট করাতে চান তাহলে আপনার খরচ হবে ১০০ টাকা থেকে 150 টাকার মত। ডায়াবেটিস টেষ্ট এর মত গুরুত্বপূর্ণ টেস্টের খরচ একেবারেই কম।
প্রসাবের ইনফেকশন টেস্ট করতে কত টাকা লাগে
প্রসাবের জ্বালাপোড়া অথবা তলপেটে ব্যথা এরকম ধরনের উপসর্গ নিয়ে যখন রোগীরা চিকিৎসকের কাছে যায় তখন চিকিৎসক চেষ্টা করে তাকে একটি ভালো পরামর্শ দিতে। ভালো পরামর্শ দিতে গেলে অবশ্যই সবার প্রথমে রোগ নির্ণয় করতে হবে এবং সেই রোগ নির্ণয় করতে গেলে সবার প্রথমে যে পরীক্ষাটি করতে হবে সেটা হচ্ছে প্রস্রাব ইনফেকশন টেস্ট। আপনি যদি এই প্রসাবের ইনফেকশন টেস্ট করাতে চান তাহলে কি পরিমান খরচ হতে পারে সেটা আপনার মাথাতে ঘুরপাক খেতে থাকবে।
বর্তমানে আপনি যদি বাংলাদেশের যে কোন প্রান্তে সরকারি হাসপাতালগুলোতে প্রস্রাবের ইনফেকশন টেস্ট করান তাহলে আপনার খরচ হতে পারে ৫০ থেকে ৮০ টাকা। তবে এই একই টেস্ট আপনি যদি বেসরকারি কোন প্রতিষ্ঠানগুলোতে করেন তাহলে আপনার খরচ হতে পারে ১০০ টাকা থেকে 150 টাকা।
কিডনি টেস্ট করতে কত টাকা লাগে
কিডনি টেস্ট করতে কত টাকা লাগে এরকম প্রশ্ন অনেকেই করে থাকেন। কিডনির সমস্যা হলে অবশ্যই টেস্টের প্রয়োজন রয়েছে তবে কি টেস্ট করাতে হবে সেটা নির্ভর করছে রোগীর শারীরিক সুস্থতার ওপর। কিডনি টেস্টের ক্ষেত্রে সবার প্রথমে যেই টেস্ট করানো হয় সেটা হচ্ছে ক্রিয়েটিনিন টেস্ট। এটা এমন একটি টেস্ট যে টেস্টের মাধ্যমে সার্বিকভাবে কিডনির অবস্থা বোঝা যায় অর্থাৎ কিডনিতে যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে এই টেস্টের মাধ্যমে সেটা বোঝা যায়। আপনি যদি সরকারি হাসপাতালে এই টেস্ট করাতে চান তাহলে আপনার খরচ হবে ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা। তবে বেসরকারি হাসপাতালে এই টেস্ট করাতে গেলে খরচ হতে পারে ২৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকার মত।
রক্ত টেস্ট করতে কত টাকা লাগে
অনেকে জানতে চান রক্ত টেস্ট করতে কত টাকা লাগে তাদের প্রশ্নের উত্তরে বলতে হয় প্যাথলজিক্যাল টেস্টের প্রায় বেশিরভাগ অংশই রক্তের মাধ্যমে টেস্ট করা হয়। আপনারা যদি আমাদের এটা বলতে পারেন রক্তের কোন টেস্ট করাতে হবে তাহলে আমরা সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারব তা আশা করছি কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে আপনারা আপনাদের প্রশ্নগুলো ছেড়ে যেতে পারেন।