আমাদের শরীরের প্রত্যেকটি ভিটামিন আমাদের শরীরের উপকারে আসে। এ ভিটামিন গুলোর মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ভিটামিন ভিটামিন ডি যেটা অভাব যে কোন সময় আমাদের শরীরের বড় ধরনের সমস্যা তৈরি করতে পারে। বিশ্বকাপে একটি বড় গবেষণা করা হয় এবং বিশ্বব্যাপী এই বড় গবেষণার ফলাফলস্বরূপ এটা জানা যায় যে দক্ষিণ এশিয়ার মানুষের মধ্যে ভিটামিন ডি এর অভাব প্রায় 70% বা তার থেকে বেশি।
আমরা যদি নিজের দেশ ঢাকার কথা উল্লেখ করি তাহলে সেখানে 86 শতাংশের বেশি ভিটামিন ডি এর অভাব এর রোগী আছে। তাই বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসায় ভিটামিন ডি পরীক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ করে ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করে বলে এটা টেস্ট করতে হবে অবশ্যই। ভিটামিন ডি টেস্ট এর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য আছে আজকের এই আর্টিকেল থেকে সেই তথ্যগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।
সাধারণত ভিটামিন ডি টেস্ট অত্যন্ত ব্যয়বহুল একটি পরীক্ষা তার কারণ হচ্ছে ভিটামিন ডি টেস্ট করাতে অনেক বেশি টাকা খরচ হতে পারে। বাংলাদেশের বিভিন্ন ল্যাবে আপনি যদি ভিটামিন ডি পরীক্ষা করেন তাহলে আপনার খরচ হতে পারে ১২০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকার মত। এই অবস্থাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আপনাকে ভিটামিন ডি এর উপকারিতা সম্পর্কে জানা এবং আগে থেকেই এই ভিটামিন ডি শরীরে কিভাবে মজুদ রাখতে হয় সেই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা। আপনি যদি এ বিষয়ে আগে থেকে অবগত হন তাহলে অবশ্যই এই টেস্টের রেজাল্ট ভালো আসবে।
ভিটামিন ডি টেস্ট কেন করা হয়
সাধারণত মানব শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাবে অনেক ক্ষতি হতে পারে এবং এই ভিটামিন ডি অভাবজনিত যদি কোন লক্ষণ দেখা যায় তখনই চিকিৎসকরা ভিটামিন ডি টেস্ট করাতে বলেন। ভিটামিন ডি টেস্ট এর ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি রোগী যারা হয়ে থাকেন তারা হচ্ছে মানসিক রোগী। প্রায় অধিকাংশ মানসিক রোগীদের ক্ষেত্রে সবার প্রথমে যে টেস্ট করানো হয় সেটা হচ্ছে ভিটামিন ডি টেস্ট এবং এই ভিটামিন ডি টেস্টের মাধ্যমে সেই শরীরে কি পরিমানে ভিটামিন ডি আছে এবং তার ঘাটতি কতটুকু আছে সে সম্পর্কে জানা হয়।
মানসিক চিকিৎসার ক্ষেত্রে এটা অত্যন্ত জরুরী যে ভিটামিন ডি টেস্ট করিয়ে নেওয়া এবং সেই টেস্ট এর রেজাল্ট এর উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা প্রদান করা। তাই অবশ্যই আপনাকে এই বিষয়ে জানতে হবে এবং জেনেশুনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে আপনি কি করতে যাচ্ছেন।
ভিটামিন ডি টেস্ট কিভাবে করাবেন
ভিটামিন ডি টেস্ট কিভাবে করাবেন সাধারণত এ প্রশ্নের উত্তর একেবারে সহজ। সাধারণ নিয়মে যে টেস্ট করানো হয় ভিটামিন ডি এর ক্ষেত্রেও একেবারে সাধারন নিয়মে টেস্ট করাতে হবে। ভিটামিন ডি টেস্ট করা হয় রক্তের মাধ্যমে তাই রোগীকে শুধুমাত্র কয়েক ফোটা রক্ত প্রদান করতে হবে সেখানে এবং অপেক্ষা করতে হবে। ভিটামিন ডি টেস্টার ক্ষেত্রে খুব বেশি সময় লাগার কথা না একজন রোগীকে সর্বোচ্চ একদিনের মধ্যেই সেই ভিটামিন ডি টেস্ট এর রেজাল্ট দেওয়া হয়ে থাকে।
তাই যাদের মনে ভিটামিন ডি টেস্ট নিয়ে বিভিন্ন ধরনের জল্পনা-কল্পনা আছে এবং বিভিন্ন ধরনের চিন্তাভাবনা আছে তাদেরকে বলব এই টেস্ট একেবারেই সহজ একটি পদ্ধতি ।এখানে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই আপনি যেকোনো সময় টেস্ট করাতে পারেন।
হরমোন টেস্ট এর খরচ কত
হরমোন টেস্টের খরচ সম্পর্কে যদি আপনি জানতে চান তাহলে আপনাকে বলতে হয় যে হরমন টেস্টের ক্ষেত্রে অবশ্যই বিভিন্ন ধরনের হরমোন টেস্ট করাতে হয় এবং বিভিন্ন ধরনের হরমোন টেস্টের খরচ বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। সাধারণত সর্বনিম্ন হরমোন টেস্টের খরচ ৭০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২১০০ টাকা পর্যন্ত আছে এখন সেটা নির্ভর করছে আপনার কি সমস্যা হয়েছে এবং আপনাকে কোন হরমোন টেস্ট করতে হবে তার উপর।