এইডস পরীক্ষা করতে কত টাকা লাগে

পৃথিবীতে বড় বড় যত মহামারী এসেছে তার মধ্যে অন্যতম বড় একটি মহামারী হচ্ছে এইচআইভি। এই রোগ সর্বপ্রথম আফ্রিকা মহাদেশে দেখা যায় তারপরে আস্তে আস্তে এটা পৃথিবীর প্রায় প্রত্যেকটি মহাদেশেই ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশেও এই রোগে আক্রান্ত রোগী দেখা গেছে।আজকে আমরা আলোচনা করতে এসেছি গুরুত্বপূর্ণ এই রোগের টেস্ট সম্পর্কে যেটা বর্তমানে একেবারে সহজে পরীক্ষা। সর্বপ্রথম আপনাদের জানিয়ে রাখি এই রোগ সম্পর্কে আপনাদের যদি জ্ঞান না থাকে তাহলে আমাদের আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন এই রোগের বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ। যারা এই লক্ষণগুলোতে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের অবশ্যই সময়মতো এইচআইভি টেস্ট করাতে হবে।

বিনামুলের সাথে প্রতিষ্ঠানে এইচআইভি পরীক্ষা

আপনাদের যদি বিশ্বাস না থাকে তাহলে আমরা আপনাদের বিশ্বাসটা আরো বাড়িয়ে দিচ্ছি। তার কারণ সত্যিই বিনামূল্যে দেশের দশটি সরকারি হাসপাতালে এইচআইভি পরীক্ষা চালু করা হয়েছে। আমরা যদি ২০১৪ ২০১৫-র একটি পরিসংখ্যান লক্ষ্য করি তাহলে দেখা যাবে যে সেই সময়ে এক বছরে এইচআইভি পরীক্ষা কারীর সংখ্যা ছিল ৬৭ হাজার ৮৭০। তবে আস্তে আস্তে সেই খাতে বরাদ্দ কমে আসায় এখন এই টেস্টের সংখ্যা অনেক কম শুধুমাত্র প্রয়োজন পড়লেই এবং ডাক্তারেরা পরীক্ষা করার ফলেই এই টেস্ট করানো হয়।

বর্তমানে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল এবং বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে আপনি যদি এইচআইভি টেস্ট করাতে চান তাহলে খরচের পরিমাণ এসে দাঁড়াবে ৫০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে। আমরা বিভিন্ন ধরনের গবেষণার তথ্য সংগ্রহ করেছি এবং সেই তথ্য মতে এইচআইভি সেলফ টেস্ট কিটের সেনসিভিটি ৯২ শতাংশ। কোন রোগের শরীরে যদি এইচআইভি ভাইরাস প্রবেশ করে তাহলে তার ৬ সপ্তাহ পর এ টেস্টের মাধ্যমে ভাইরাস নির্ণয় করা যাবে। দক্ষিণ এশিয়াতে এই রোগের সংক্রমণের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ার পরেও আস্তে আস্তে এটা নিয়ন্ত্রণে আসে এবং বর্তমানে এটার প্রভাব অনেক কম।

এইডস হলে করণীয়

এইচআইভি টেস্টের মাধ্যমে কোন রোগীর শরীরে যদি এইডস ধরা পড়ে তাহলে অবশ্যই সেই রোগীর যথেষ্ট যত্নের প্রয়োজন রয়েছে। এট সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেকের মাঝে কিছু ভুল ধারণা রয়েছে যে ভুল ধারণার মাধ্যমে আমরা এইচআইভি আক্রান্ত রোগীদের অনেক খারাপ চোখে দেখি এবং অনেক অবহেলার চোখে দেখি। কিন্তু একথা সত্যি যে সঠিক যত্ন এবং সঠিক পরিচর্যার ফলে এইচআইভি আক্রান্ত রোগীরা দীর্ঘদিন নিজের শরীরে এই জীবাণু নিয়ে বেঁচে থাকতে পারে এবং অনেক সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকতে পারে।

যেকোনো কারণেই হোক দুর্ভাগ্যজনকভাবে যদি কেউ এই রোগে আক্রান্ত হন তাহলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই সাধারণ রোগ হিসাবে এর খেয়াল আপনাকে রাখতে হবে এবং যেন এইচআইভি সংক্রমণের হার আপনার শরীরে বেশি না হয় সেই দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তাই সকল ধরনের ভুল ধারণা থেকে নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে দূরে রাখুন এবং এইচআইভি সম্পর্কে জানতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন।

এইচআইভি টেস্ট কিভাবে করা হয়

এইচআইভি টেস্ট সম্পর্কে অনেকের ভুল ধারণা আছে এই ভুল ধারণা দূর করতে মূলত এই অংশ যেখানে আপনারা জানতে পারবেন এইচআইভি টেস্ট কিভাবে করা হয়। সাধারণত কোনো রোগীর শরীরে যদি এমন কোন উপসর্গ দেখা দেয় যে উপসর্গগুলো দেখে চিকিৎসকের ধারণা করেন অবশ্যই তাকে এইচআইভি টেস্ট করাতে বলবেন। এই পরীক্ষায় মূলত রোগের শরীর থেকে স্যাম্পল হিসেবে রক্ত সংগ্রহ করা হয় এবং সেই রক্তের মাধ্যমে পরীক্ষা করানো হয়।বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের কিট ব্যবহার করে এইচআইভি পরীক্ষা করা হয়। বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করা হলেও এর মান সঠিক থাকার জন্য প্রয়োজন একটি ভালো দক্ষ ল্যাব যার মাধ্যমে এই টেস্ট করানো হয়ে থাকে। আশা করছি এইচআইভি সম্পর্কে আপনারা ভালো একটি ধারণা পেলেন আমাদের এই ছোট্ট অনুচ্ছেদ থেকে পরবর্তীতে নতুন কোন তথ্য পেতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।