বাচ্চাদের হিমোগ্লোবিন কত থাকে

বাচ্চাদের ক্ষেত্রে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়াটা অস্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু যে কোন বাচ্চার ক্ষেত্রে এটা হতে পারে। অবশ্যই কিছু উপসর্গ আছে যে উপসর্গ গুলো খেয়াল করলে বোঝা যায় বাচ্চা শরীরে রক্তশূন্যতা দেখা দিয়েছে। শরীরে রক্তশূন্যতা আছে কিনা সেটা পরীক্ষা করা হয় হিমোগ্লোবিন টেস্টের মাধ্যমে। এই হিমোগ্লোবিন কি পরিমাণে আছে তার উপর নির্ভর করে মূলত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় শরীরের রক্ত কতটুকু আছে। যারা বাচ্চাদের শরীরের রক্তের হিমোগ্লোবিনের সঠিক পরিমাপ সম্পর্কে জানেন না তারা আজকে আমাদের এই আর্টিকেল থেকে সেটা জানবেন।

সাধারণত হিমোগ্লোবিন এর মাত্রা প্রতি ডেসি লিটারে প্রকাশ করা হয়। শিশুর হিমোগ্লোবিন এর মাত্রা প্রতি ডিএসসি লিটারে যদি ৭-৮ গ্রামের নিচে না নামে তাহলে সেটা সবথেকে ভালো। অর্থাৎ বাচ্চাদের হিমোগ্লোবিনের আদর্শ মান হচ্ছে এটা । যদি কোন লক্ষণ দেখা যায় তাহলে অবশ্যই হিমোগ্লোবিন টেস্ট করাতে হবে এবং হিমোগ্লোবিন টেস্ট করার পরে যদি এই মান এর মধ্যে থাকে তাহলে একেবারে নিশ্চিত থাকতে পারেন আপনি আপনার বাচ্চাকে নিয়ে।

শিশুর রক্তশূন্যতার কিছু লক্ষণ

সাধারণত হিমোগ্লোবিন টেস্টের পরীক্ষার মান কত হলে বোঝা যায় শিশুর রক্তশূন্যতা হয়েছে এটা অনেকেই জানেন না। শিশুর হিমোগ্লোবিন পরীক্ষার পরে সেই রেজাল্টে যদি হিমোগ্লোবিন এর মান প্রতি ডেসি লেটারে ৭ এর নিচে হয় তাহলে সেটা রক্তশূন্যতার লক্ষণ। তবে প্রাথমিক অবস্থাতে শিশুর শরীলে যে লক্ষণগুলো দেখলে অভিভাবক এই সন্দেহ করতে পারেন তার মধ্যে একটা হচ্ছে শিশুর শরীর ফেক আসে হয়ে যাওয়া এবং হঠাৎ করে অতিরিক্ত দুর্বল হয়ে যাওয়া।

হঠাৎ করে মানসিক দিক দিয়ে শিশুটিতে হয়ে যাবে এবং তার মেজাজ থাকবে সবসময় অন্যরকম। অতিরিক্ত দুর্বলতার কারণে ঘুম কমে আসবে এবং অল্পতেই হাঁপিয়ে যাবে সেই শিশু। এছাড়াও চোখের ভেতরের সাদা অংশ এছাড়াও হাতের নখ ও অন্যান্য জায়গা গুলো যদি খেয়াল করা যায় তাহলে মনে হবে ফ্যাকাসে হয়ে গেছে। এ ধরনের উপসর্গ যদি শিশুর শরীরে দেখা যায় তাহলে অবশ্যই খুব দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে তার কারণ হচ্ছে এ বিষয়ে কোনো দেরি করা ঠিক হবে না।

বাচ্চাদের হিমোগ্লোবিন কম হওয়ার কারণ

বাচ্চাদের হিমোগ্লোবিন কম হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। সাধারণত বাচ্চাদের হিমোগ্লোবিন কম হয় শারীরিক দুর্বলতার কারণে। কিছু কিছু বাচ্চা আছে যারা একেবারে খাবারদাবার করতে চায় না যার কারণে তারা অতিরিক্ত দুর্বল শুরু থেকে। এরপরে যখন তাদের বাড়তি বয়স আছে তখন পর্যাপ্ত পুষ্টি এবং খাবার না পাওয়ার কারণে তারা সঠিকভাবে বেড়ে উঠতে পারে না এবং রক্তশূন্যতায় ভোগে। এগুলো একেবারেই স্বাভাবিক ব্যাপার যার কারণে শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়ার খাওয়ানো উচিত এবং সেই খাবারে সঠিক পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেলস ও সকল পুষ্টি উপাদান যেন থাকে সেগুলো নিশ্চিত করা উচিত। রক্তশূন্যতা আরো বড় কারণে হতে পারে যেটা সাধারণত একটি বড় ধরনের অসুখ এটা হয়ে থাকে শিশুর বাবা এবং মায়ের ব্লাড গ্রুপ একি হওয়ার কারণে।

বাচ্চাদের হিমোগ্লোবিন কমে গেলে করণীয়

বাচ্চাদের যদি হিমোগ্লোবিন কমে যায় তাহলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং সে দেখতে হবে সাধারণ কারণে হিমোগ্লোবিন কমেছে কিনা। যদি সাধারণ কারণে হিমোগ্লোবিন কম এ তাহলে অবশ্যই বাচ্চাকে পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হবে এবং তার হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি পেয়েছে কিনা সেটা দেখার জন্য চেক করতে হবে।

যদি সাধারণ খাবার দাবারে হিমোগ্লোবিন না কমে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রক্ত দেওয়া লাগতে পারে। অবশ্যই এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তার কারণ হচ্ছে এমন রোগী অনেক পাওয়া গেছে প্রথমদিকে বোঝা যায়নি হিমোগ্লোবিন কমেছে কিন্তু পরবর্তীতে শিশু যখন অতিরিক্ত দুর্বল হয়ে গেছে তখন চিকিৎসকের কাছে এসেছে। তাই এর এমন ঘটনা যদি আপনার সন্তানের সঙ্গে না দেখতে চান তাহলে অবশ্যই পূর্ব থেকে সতর্ক থাকুন।