ভরা পেটে ডায়াবেটিস কত থাকে

ডায়াবেটিস পরীক্ষা করার বেশ কয়েকটি পদ্ধতি আমাদের দেশে প্রচলিত আছে। এই পদ্ধতি গুলো যদি আমরা সঠিকভাবে দেখি তাহলে বুঝতে পারবো ডায়াবেটিসের অবস্থা কেমন আছে। সাধারণত ভরা পেটে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করার ক্ষেত্রে আপনাকে জানতে হবে এই ডায়াবেটিস কত হওয়া উচিত। আমরা যে নরমাল রেঞ্জ পেয়েছি সেখানে যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের ক্ষেত্রে ভরা পেটে ডায়াবেটিস স্বাভাবিক হবে ১৪০ এমজি। অবশ্যই সব নিয়ম সঠিকভাবে মেনে আপনাকে এই পরীক্ষা করাতে হবে যদি সঠিকভাবে নিয়ম না মেনে এই পরীক্ষাতে কোন ধরনের ভুল হয় তার পরিমাণ ওঠানামা করতে পারে।

যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগী আছেন তাদের ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সঠিক নিয়মে ডায়াবেটিস করা। আমাদের দেশে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডায়াবেটিস পরীক্ষার ক্ষেত্রে ভুল নিয়ম ব্যবহার করা হয় যার কারণে ডায়াবেটিসের সঠিক পরিমাপ আমরা বুঝতে পারি না এবং যার কারণে ডায়াবেটিসের সঠিক চিকিৎসাও আমরা গ্রহণ করতে পারি না। এই বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং অত্যন্ত লক্ষণীয় যেটা আমরা মোটেও করি না।

ডায়াবেটিস পরিমাপ করার পদ্ধতি

ডায়াবেটিস পরিমাপ করার যে পদ্ধতি আছে সেই পদ্ধতি সাধারণত ৫ ধরনের হয়ে থাকে এই পাঁচ ধরনের ডায়াবেটিসের পরীক্ষা কেউ একসঙ্গে করে না। যখন যে পরিবেশে থাকে সে সেই ধরনের পরীক্ষা করে। সাধারণত খাওয়ার আগে খালি পেটে একটা ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা হয় অনেকের ক্ষেত্রে খাওয়ার দুই ঘন্টা পরেও একটি ডায়াবেটিস পরীক্ষা করানো হয়। যেকোনো সময় হঠাৎ করে কোন ডায়াবেটিস পরীক্ষা করানো হলে সেটাকে বলা হয় র্যান্ডম ব্লাড সুগার।

সাধারণত আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা আছে যেটা ডায়াবেটিসের সব থেকে বড় পরীক্ষা যেটাকে বলা হয় এইচবিএ১ সি। এই পরীক্ষাতে সাধারণত গত ছয় মাসে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা হয়। এটা এতটাই সুন্দর পরীক্ষা যে গর্ত ছয় মাসের ঘর ডায়াবেটিসের পরিমাপ এখানে এমনিতে চলে আসে। ডায়াবেটিস পরীক্ষার ক্ষেত্রে এই পরীক্ষা সম্পর্কে জানাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণতার কারণ হচ্ছে বিভিন্ন পরীক্ষা বিভিন্ন রোগীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। যার শারীরিক অবস্থা যেমন তার ক্ষেত্রে পরীক্ষা তেমন দিতে হবে তাই অবশ্যই এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে।

ডায়াবেটিস পরীক্ষার নাম

খালি পেটে ডায়াবেটিস পরীক্ষার নাম হচ্ছে ফাস্টিং ব্লাড সুগার। যদি কেউ খাওয়ার দুই ঘন্টা পরে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করে তাহলে সেটা হবে টু আওয়ার্স আফটার ব্রেকফাস্ট ব্লাড সুগার। যাদের হঠাৎ করে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা হয় তাদের ক্ষেত্রে যে কোন সময় এই পরীক্ষার নাম হচ্ছে রেনডম ব্লাড সুগার। এর বাইরে যদি আপনি ছয় মাসের রেশিও বের করতে চান অর্থাৎ গত ছয় মাসে ডায়াবেটিসের পরিমাণ আপনার শরীরে কতটুকু ছিল সেটা যদি আপনি বের করতে চান একটি পরীক্ষার মাধ্যমে তাহলে সেটা হবে অনেক বড় একটি পরীক্ষা যার নাম হচ্ছে এইস বি এ ওয়ান সি।

আমার মনে হয় যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগী আছেন তাদের অনেকেই এই বিষয়গুলো সম্পর্কে অবগত নন যেটা অনেক ক্ষেত্রেই আপনাকে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে বাধা দান করে। আপনি যদি সঠিকভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে এই তথ্যগুলো সম্পর্কে জানতে হবে যাতে করে যে কোন সময় যেকোনো ধরনের সমস্যা হলে আপনি তার সমাধান সহজেই করতে পারেন।

ডায়াবেটিস পরীক্ষা করতে কত টাকা লাগে

ডায়াবেটিস পরীক্ষা করতে খুব বেশি টাকা লাগে না সাধারণত যে ডায়াবেটিস পরীক্ষাগুলো রয়েছে সেগুলো বিভিন্ন হাসপাতাল এবং প্রতিষ্ঠান ভেদে 50 টাকা থেকে 150 টাকার মধ্যে হয়ে যায়। তবে ডায়াবেটিসের যে বড় পরীক্ষা আছে অর্থাৎ ছয় মাসের গড় ডায়াবেটিস পরীক্ষা সেখানে ডায়াবেটিস পরীক্ষার খরচ হতে পারে এক হাজার টাকা থেকে বারোশো টাকার মত। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষা এবং এই পরীক্ষাতে খরচের পরিমাণ অনেক বেশি তাই সরকারি রেট অনুযায়ী এটার খরচ অনেক বেশি।