আমাদের দেশে যেসব গরিব গর্ভবতী মায়েরা রয়েছেন তাদের কথা চিন্তা করে বাংলাদেশ সরকার মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর করতে গর্ভবতী ভাতা প্রদান করার একটি উদ্যোগ নিয়েছেন। বেশিরভাগ এটি দরিদ্র নারীদের জন্যই একটি সামাজিক নিরাপত্তা স্কিম। মা ও শিশুর পুষ্টি চাহিদা ও গর্ভকালীন সেবা যত্নের জন্য একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে এটি প্রদান করা হয়ে থাকে গর্ভবতী মায়েদের হাতে হাতে।
এতে করে অনেক দরিদ্র গর্ভবতী মায়েরা নিশ্চিন্তে থাকেন তার গর্ভাবস্থার সময়। আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন গর্ভবতী ভাতা কত টাকা এ সম্পর্কে। তাই আমরা আজকে নিয়ে এসেছি আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নতুন একটি আর্টিকেল আজকের আর্টিকেলের আলোচ্য বিষয় হলো গর্ভবতী ভাতা কত টাকা এই সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্য।
দরিদ্র মায়েদের জন্য মাতৃত্বকাল ভাতা প্রদান কর্মসূচি ২০২৩
যেসব গর্ভবতী দরিদ্র মায়েরা রয়েছেন তাদের কথা ভেবেই সরকারে উদ্যোগটি নিয়েছেন। বাজেট বরাদ্দ সাপেক্ষে সোনালী ব্যাংক এ মাতৃত্বকালীন ভাতা নামের অ্যাকাউন্টে জমা প্রদান করা হয়ে থাকে। পরবর্তীতে ভাতা ভোগীদের মাঝে ভাতার অর্থ প্রেরণের লক্ষ্যে জেলা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত মাদার একাউন্ট হতে শসা ভাতা ভোগীদের নামে একটি হিসাব খোলা হয়ে থাকে। এই হিসাবটি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট চেক এর মাধ্যমে হাতে হাতে পৌঁছানো হয়ে থাকে।
নির্বাচিত উপকার ভোগী প্রতিজন প্রথম অথবা দ্বিতীয় গর্ভধারণকালের যেকোনো একবার মোট দুই বছর মেয়াদের জন্য এ ভাতা পেয়ে থাকেন। নির্বাচিত ভাতা ভোগী কে প্রতি মাসে জন প্রতি 800 টাকা হারে ভাতা ভোগীদের নিজস্ব ব্যাংক হিসেবে ছয় মাস পরপর মোট 24 মাসের অর্থ প্রদান করা হয়ে থাকে।
গর্ভবতী ভাতা প্রাপ্তির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
গর্ভবতী মায়েদের জন্য সরকার যে ভাতা প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে সে ভাতা পাওয়ার জন্য অবশ্যই কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের প্রয়োজন পড়ে। এই কাগজপত্রগুলো একজন গর্ভবতী মায়ের থাকতে হবে। এই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো জমা দেওয়ার মাধ্যমে তার গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার জন্য নির্বাচন করা হবে।
২০২১ থেকে ২০২২ অর্থবছরে দরিদ্র মায়েদের জন্য মাতৃত্বকাল ভাতা প্রদান কর্মসূচির আওতায় নতুন উপকার ভগিনী নির্বাচন করা হবে। ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, এছাড়াও তিন কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, গর্ব করণ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার নিকট হতে সনদপত্র সহ আবেদন পরবর্তী সময়ে যোগাযোগ করতে হবে গর্ভবতী মাকে।
ইউনিয়ন গর্ভবতী কার্ডের মাধ্যমে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ইউপিতে গর্ভবতী ভাতা প্রদান করা হয়ে থাকে। আপনারা যারা ইউনিয়নের গর্ভবতী মা রয়েছেন তাদের জন্য এ ভাতা প্রদান করা হবে।
মাতৃত্বকালীন ভাতা ভোগী হওয়ার কিছু শর্তাবলী
আপনি যদি গর্ভবতী মা হয়ে থাকেন আর আপনি যদি মনে করেন যে আপনি মাতৃত্বকালীন ভাতা পাওয়ার যোগ্য একজন তাহলে আপনি অবশ্যই মাতৃত্য্বকালীন ভাতা পাবেন তবে মাতৃত্বকালীন ভাতা ভোগী হওয়ার কিছু শর্তাবলী রয়েছে যেগুলো আপনাকে অবশ্যই মানতে হবে। এছাড়াও আপনি যদি এই শর্তাবলীগুলোর মধ্যে পড়েন তাহলে অবশ্যই নিশ্চিন্তা আপনাকে মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান করা হবে তো চলুন সবার আগে আমরা শেষ হর্তাবলী গুলো সম্পর্কে জেনে আসি।
প্রথমবার দ্বিতীয় গর্ভধারণকাল হতে হবে একজন গর্ভবতী মায়ের। তবে এই ভাতা একজন মা সর্বোচ্চ একবারই পাবে দুই বছর মেয়াদ এর মাধ্যমে। সেই গর্ভকালীন মা যদি প্রথম সন্তান হয়ে থাকে তাহলেও পাবে অথবা যদি দ্বিতীয় সন্তান গর্ভধারণ করে থাকে তাহলেও এ ভাতা পাবে তবে যেকোনো একবারেই পাবে।
বয়স হতে হবে গর্ভবতী মায়ের 20 বছর হতে 35 বছরের মধ্যেই।
দরিদ্র প্রতিবন্ধী মা এ ভাতার ব্যাপারে বেশি অগ্রাধিকার পাবেন।
মোট মাসিক আয় হতে হবে ১৫০০ টাকার নিচে।
কেবল বসত বাড়ি রয়েছে বা অন্যের জায়গায় বসবাস করে থাকে এরকম মায়ের জন্য এ ভাতার অগ্রাধিকার বেশি।
উপকার ভগিনী নির্বাচনের সময় অর্থাৎ জুলাই ২০২৩ উপকারভোগীকে অবশ্যই পাঁচ মাস গর্ভবতী থাকতে হবে।