ডায়ালাইসিস কতদিন পর পর করতে হয়

সাধারণত কিডনির বিভিন্ন ধরনের রোগের কারণে যদি কিডনির অবস্থা খুব খারাপ পর্যায়ে চলে যায় তাহলে সেই ক্ষেত্রে কিডনি ডায়ালাইসিস করতে হবে। সাধারণত দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগের কারণে এই ডায়ালাইসিস করা হয়। সাধারণত ক্রনিক কিডনি ডিজিস বা কিডনি ফেইলর এর শেষতম ধাপে পৌঁছে গেলে চিকিৎসা এসে থামে তিন প্রকারে। এই তিন প্রকার চিকিৎসার মধ্যে হিমো ডায়ালাইসিস এবং পেরিটোরিয়াল ডায়ালাইসিস অথবা কিডনি প্রতিস্থাপন হচ্ছে দুইটি। সাধারণত কিডনি প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে তার আগে চতুর্থ ধাপে হিমো ডায়ালাইসিসের জন্য রোগীকে প্রস্তুত করার দরকার হয়।

এই সমস্যার কারণে রোগীদের শারীরিক এবং মানসিকভাবে প্রস্তুত করানো হয়। যদি বিস্তারিত ভাবে বলতে চায় তাহলে প্রথমে আসু ডায়ালাইসিস এর সমাধান করার জন্য একটি দরকারি অষ্টোপাচার বা ফিস্টুলা তৈরি করা হয় এবং তার সঙ্গে হেপাটাইটিস বি নিউমোনিয়া ও ইনফ্লুয়েঞ্জারের টিকা চতুর্থ ধাপে দেওয়া শুরু করতে হবে। সাধারণত ডায়ালাইসিস করার ক্ষেত্রে সপ্তাহে দু-তিন দিন নির্দিষ্ট একটি হাসপাতালে ডায়ালাইসিস নেওয়ার জন্য আসতে হয়।

এ ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে প্রতিদিন চার ঘন্টা হিসেবে রক্ত পরিশোধন করা হয় এবং পঞ্চম ধাপে ক্রনিক কিডনি ডিজিজের রোগীদের বেলায় এটি জীবনভর চলতে থাকে।তবে যাদের কিডনি বিকল হয়ে গেছে তাদের ক্ষেত্রে বিষয়টি ভিন্ন । সাধারণের ক্ষেত্রে সাধারণ কয়েকটি ডায়ালাইসিস এর পর তাদের কিডনি রোগ ভালো হয়ে যায়।

কিডনির পয়েন্ট কত হলে ডায়ালাইসিস করতে হয়

কিডনির দীর্ঘমেয়াদী রোগের কারণে সাধারণত কিডনি ড্যামেজের সংখ্যা থাকে। কিডনির অবস্থা যখন এতটাই খারাপ অবস্থানে চলে যায় যেখানে ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন পড়ে সেখানে অবশ্যই রোগীকে ডায়ালাইসিস এর আওতায় আনতে হবে। ডায়ালাইসিস করতে যদি কিছুটা দেরি হয় তাহলে সেটা কিডনির সমস্যা কে আরো বেশি বৃদ্ধি করতে পারে এবং হঠাৎ করে কিডনে ড্যামেজের কারণে রোগী মারা যেতে পারে। সব সময় খেয়াল রাখবেন সঠিক সময় যেন রোগীর ডায়ালাইসিস করা হয়।

ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষার মাধ্যমে যদি এই পরীক্ষার মান 5.0 এর বেশি হয় তাহলে রোগীদের ক্ষেত্রে ডায়ালাইসিস করার প্রয়োজন পড়ে। তবে এই মান বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে যেমন মনে করুন যাদের একটা কিডনি নেই তাদের ক্ষেত্রে এর মান আলাদা হতে পারে যাদের মনে করুন বিভিন্ন ধরনের সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রেও এর মান বিভিন্ন হতে পারে। আমরা এখানে শুধুমাত্র একটি প্রাথমিক ধারণা দিতে পারি।

ডায়ালাইসিস রোগের খাবার তালিকা

যাদের কিডনি ডায়ালাইসিস করার প্রয়োজন রয়েছে তারা এই অবস্থাতে কি ধরনের খাবার খাবে? এরকম প্রশ্ন অনেকে করে থাকে। সাধারণত এই অবস্থাতে অবশ্যই এমন কিছু খাবার তাকে দিতে হবে যেই খাবারগুলো তার কাছে একেবারে হালকা মনে হয় এবং তার পাকস্থলীর খুব সহজেই এই খাবারগুলো হজম করতে পারে। এখন আপনি যদি মনে মনে এ বিষয়টি চিন্তা করেন তাহলে এই উত্তরগুলো আপনি নিজেই খুঁজে পেতে পারেন অর্থাৎ এমন কিছু খাবার সেই রোগীকে দিতে হবে যে খাবারগুলো রোগী সহজে হজম করতে পারে।

এই খাবার গুলোর মধ্যে একেবারে নরম ভাত থেকে শুরু করে বিভিন্ন সুপ জাতীয় খাবার ও তরল জাতীয় খাবার তাকে দিতে হবে যাতে পাকস্থলীতে এগুলো দীর্ঘ সময় না থাকে এবং খুব সহজে হজম হয়ে যায়। কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে চেষ্টা করতে হবে যাতে করে আঁশ জাতীয় বা ফাইবার জাতীয় খাবার যেমন ফলমূল ও শাকসবজি এবং গরুর মাংস এই ধরনের খাবারগুলো যাতে কম খাওয়ানো হয়।

ডায়ালাইসিস কখন প্রয়োজন

সাধারণত কিডনির অবস্থা যদি একেবারে খারাপ হয়ে যায় এবং কিডনি অকার্যকর অবস্থাতে চলে যায় তখন ডায়ালাইসিস করার প্রয়োজন পড়ে। তবে কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে সাধারণ সমস্যার কারণেও ডায়ালাইসিস করার প্রয়োজন পড়ে এই অবস্থাতে তাদের দুই একবার ডায়ালাইসিস করার পরে কিডনি সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ক্রনিক ডিজিজের কারণে কিডনির অবস্থা অবনতি হওয়ার কারণে ডায়ালাইসিস করতে হয়।