কিভাবে বাচ্চা নিতে হয়

বৈবাহিক জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সন্তান। সবকিছুই আছে কিন্তু সন্তান নেই কোনভাবেই আপনার বৈবাহিক জীবন সম্পূর্ণ হবে না। তাই সবসময় আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা করতে হবে যেন প্রত্যেকটি পরিবারে একটি করে সন্তান থাকে যেটা সেই পরিবারকে পরিপূর্ণ করে তুলে। আজকে আমরা চেষ্টা করব আপনাদের কিছু তথ্য জানা আছে যেহেতু তথ্য গুলো আপনাদের বৈবাহিক জীবনে সন্তান গ্রহণের ক্ষেত্রে অনেক কাজে আসবে।

মূলত এটা নির্ভর করছে সম্পূর্ণ সৃষ্টিকর্তার উপরে যেটা নিয়ন্ত্রণে মানুষের কোন হাত নেই। আল্লাহ তাআলা যাকে বেশি ভালোবাসেন তাকে সন্তান দেন আবার অনেককে পরীক্ষা করার জন্য সন্তান না দিয়ে রেখে দেন। তবে এই বিষয়গুলো আমাদের মাথায় কখনোই আসবেনা কেন তিনি এমন করেন। যাদের সন্তান নেই তাদের সব সময় আল্লাহ তাআলার উপর ভরসা রাখতে হবে এবং চেষ্টা করতে হবে এবং যে চেষ্টা গুলো আপনারা করতে পারেন সে সম্পর্কে আজকে জানানোর চেষ্টা করব।

সন্তান নেওয়ার জন্য সবার প্রথমে যে পরিকল্পনাটা আপনার করা উচিত সেটা হচ্ছে খুব অল্প বয়সে বিয়ে করা। ছেলেদের ক্ষেত্রে সেটা ৩০ বছরের নিচে এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে সেটা ২০ বছরের নিচে হলে সবথেকে ভালো হয়। এই সময় শারীরিক এবং মানসিক দিকগুলো সন্তান নেওয়ার জন্য সবথেকে উত্তম অবস্থানে থাকে।নিজের সঙ্গের সঙ্গে ভালো ব্যবহার এবং সবসময় হাসিখুশি থাকা। সন্তান গ্রহণের জন্য এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার। চেষ্টা করুন নিজের সঙ্গীকে সবসময় ভালো রাখতে এবং হাসিখুশি থাকতে যাতে করে এটা সবসময় আপনার মস্তিষ্ককে ভালো রাখে এবং যেটা সন্তান গ্রহণের জন্য অনেক ভালো একটি দিক।

বৈবাহিক জীবনের শুরুর দিকে অনেকে অনেক ধরনের ভুল করে বসেন যে ভুলের কারণে অনেক সময় সন্তান গ্রহণে বাধা সৃষ্টি হয়। আধুনিক যুগে এই ভুলগুলোর কারণে বর্তমানে বন্ধ্যাত্বের সংখ্যা প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগে যেখানে মেয়েদের মধ্যে বন্ধ্যাত্বের সংখ্যা বৃদ্ধি ছিল অবাক করা ঘটনা বর্তমানে ছেলেদের মধ্যে বন্ধ্যাত্বের ঘটনা হচ্ছে আরও একটি অবাক করা ঘটনা।এমন কোন সিদ্ধান্ত আমরা শুরুর দিকে গ্রহণ করব না যেটা ভবিষ্যতে অভিভাবক হওয়া থেকে আমাদের বঞ্চিত করবে। চেষ্টা করব কোন ধরনের পিল বা এই জাতীয় ওষুধ ব্যবহার না করতে যেটা উভয়ের শরীরের জন্য ক্ষতিকারক।

গর্ভবতী হওয়ার নিয়ম

গর্ভবতী হতে হলে সবার প্রথমে যেই কাজটি আপনাকে করতে হবে সেটা হচ্ছে নিজের শরীরকে সুস্থ এবং শক্তিশালী করে গড়ে তোলা। সাধারণত ১৮ বছরের আগে মেয়েদের নিজের শরীর গঠনের প্রক্রিয়া চলমান থাকে তাই সেই সময় যদি কেউ বিয়ে করে তাহলে সেটা হয় তার জন্য অনেক ক্ষতির কারণ। তাই মেয়েদের সব সময় ১৮ বছরের পরে বিয়ে দিতে হয় যাতে করে সে তার সঠিক শরীর গঠন এর সময় টুকু পায় তারপরে তার সন্তান গ্রহণ করতে পারে।নিজের সন্তান গ্রহণের পূর্বে আগে নিজেকে ঠিক করে নিন আস্তে আস্তে দেখবেন আপনার শরীর এমনিতেই সন্তান গ্রহনের জন্য প্রস্তুত হয়ে গেছে। সব সময় নিজের সঙ্গীকে ভালো রাখুন এবং খুশি রাখার চেষ্টা করুন।

গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ

গর্ভবতী হওয়ার পরে সবার প্রথমে গর্ভবতী মা নিজে থেকে বুঝতে পারে তার গর্ভে সন্তান এসেছে। এর জন্য কিছু কিছু লক্ষণ তাকে সাহায্য করে তার মধ্যে প্রথম এবং প্রধান লক্ষণ হচ্ছে তার মাসিক মিস হয়ে যাওয়া। এরপরে গর্ভবতী মা ঘন ঘন প্রস্রাব এর চাপ অনুভব করে যার মাধ্যমে সে আরো ভালোভাবে বুঝতে পারে তার গর্ভে সন্তান এসেছে। এছাড়া আরো কিছু লক্ষণ আছে যেমন খাওয়ার প্রতি অনীহা এবং অনেকের ক্ষেত্রে প্রথম তিন মাসে প্রচুর পরিমাণে বমি হওয়া এই ধরনের সমস্যা গর্ভবতী হওয়ার বড় বড় লক্ষণ। এছাড়া আপনারা চাইলে ৪৫ দিন পরে প্রেগনেন্সি টেস্টের মাধ্যমে নিশ্চিত হতে পারবেন।

বাচ্চা নেওয়ার প্রস্তুতি