আজকে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ রোগ নিয়ে আলোচনা করা হবে যেটা বাংলাদেশের মানুষের কাছে একটি ভয়ের নাম। এটা এমন একটি রোগ যে কোন বয়সের মানুষের শরীরে থাকতে পারে এমনকি গর্ভে থাকা সন্তান এই রোগ সঙ্গে করে নিয়েই পৃথিবীতে আসতে পারে। তবে এটা একটি নিয়ন্ত্রণ করার মতো রোগ এবং আগে থেকে যদি প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয় তাহলে ডায়াবেটিস হবে না এমন অনেক উদাহরণ দেখা গেছে।আজকে আমরা জানার চেষ্টা করব ঔষধ ছাড়া ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার কিছু কৌশল। আমরা এখানে মূলত আপনাদের এমন কিছু জিনিস জানাতে চাচ্ছি যেটা আপনাদের জীবনের অনেক কিছুকে পরিবর্তন করবে অর্থাৎ ঔষধ ছাড়া ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা আপনার জন্য কতটা উপকারী এবং শরীরের জন্য কতটা ভালো সে বিষয়ে কথা বলার চেষ্টা করব। ঔষধ খেয়ে তো সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করা যায় কিন্তু আপনি যদি ঔষধ না খেয়ে কোন কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন তার মজাটা কত ভালো সেটা আজকের এই আর্টিকেল করলেই বুঝতে পারবেন।
প্রাকৃতিক উপায়ে ডায়াবেটিস কমানোর নিয়ম
সাধারণত যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে গেছেন তাদের প্রধান লক্ষ্য থাকে সবসময় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা। এর জন্য তারা বরাবরই চেষ্টা করে বিভিন্ন ওষুধ সেবন করতে তবে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ঔষধের পাশাপাশি কিছু কৌশল এবং কিছু অভ্যাস আপনাকে অনেক বেশি সাহায্য করবে।প্রাকৃতিক উপায়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সবার প্রথমে সেটা হচ্ছে নিজের খাদ্যাভ্যাস এর পরিবর্তন। আপনাকে ঠিক করতে হবে দিনে তিন বেলা না খেয়ে কিভাবে দুই বেলা খেয়ে জীবন যাপন করা যায় এবং এটা অভ্যাসে পরিণত করতে হবে।এছাড়া অনেকের ক্ষেত্রে শারীরিক পরিশ্রম অত্যন্ত জরুরি একটি ব্যাপার অর্থাৎ নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করতে পারলে ডায়াবেটিস সবসময় নিয়ন্ত্রণে থাকে।
নিয়মিত পরিশ্রমের ফলে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্ট ভালো পাওয়া যায় এবং ডায়াবেটিস সহজেই নিয়ন্ত্রিত হয়।সব সময় চেষ্টা করবেন যাতে অতিরিক্ত তেল চর্বিযুক্ত খাবার না খান। তার কারণ হচ্ছে এটা আপনার শরীরে অতিরিক্ত মেয়েদের সৃষ্টি করতে সাহায্য করে এবং যার ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আপনার সমস্যা হতে পারে।ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চিনি খাওয়া কে না বলা হয়েছে তবে আমার মতে শুধুমাত্র যে চিনি খাওয়া কে না বলতে হবে এমন নয় এর পাশাপাশি আপনাকে সবার প্রথমে চিনতে হবে শর্করা জাতীয় খাবার গুলো কোন কোন খাবার। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের অন্যতম প্রধান অভ্যাস হচ্ছে শর্করা জাতীয় খাবার পরিত্যাগ করা।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায় যেভাবে
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের বেশ কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশী মানুষেরা সবথেকে বেশি ব্যবহার করে ঔষধের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ। এর পাশাপাশি আপনি আপনার খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন এর মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের আরও একটি পদ্ধতি হচ্ছে নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম এবং পরিশ্রম করা। এছাড়া আপনি চাইলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য ইনসুলিন ব্যবহার করতে পারেন। তবে ইনসুলিন এর ব্যবহার সাধারণত সেই সকল রোগীদের ক্ষেত্রে করা হয় যে সকল রোগীদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এবং হঠাৎ করে সেটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
ডায়াবেটিস চেক করার পদ্ধতি
ডায়াবেটিস চেক করার ক্ষেত্রে সাধারণত প্যাথলজিক্যাল ল্যাব ব্যবহার করা সব থেকে উত্তম। বিভিন্ন ধরনের কিট ব্যবহার করে ঘরে বসে বর্তমানে ডায়াবেটিস পরিমাপ করা যায়। তবে এর মাধ্যমে শতভাগ সঠিক রেজাল্ট আসে না শতভাগ সঠিক রেজাল্ট পেতে হলে আপনাকে প্যাথলজিকাল ল্যাবে উপস্থিত হয়ে সেখানে রক্ত এবং প্রস্রাব সেম্পেল হিসেবে প্রদান করে সেখান থেকে রিপোর্ট নিতে হবে।যারা এখন পর্যন্ত ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন নেই তাদেরকে বলব সব সময় নিজের শরীরের খেয়াল রাখুন এবং নিজেকে অন্তত প্রতিদিন দুই থেকে তিন ঘণ্টা সময় দিন এতে করে ভবিষ্যতে আপনার শরীরে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে।