আমাদের আর্টিকেলে আপনাদের সবাইকে জানাই স্বাগতম। আপনারা যারা কিডনি নিয়ে খুবই চিন্তিত রয়েছেন তাদের জন্য আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি হবে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করতে যাচ্ছি কিডনি ভালো আছে কিনা তা বোঝার উপায় সম্পর্কে।
আমরা ঠিক কিভাবে বুঝব যে আমরা সুস্থ আছি এবং আমাদের কিডনি ভালো আছে। এটি বোঝার জন্য আমাদের কি করা উচিত সেই সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে। আপনারা যারা আমাদের আর্টিকেল নিয়মিত ভিজিট করেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি আপনারা আমাদের আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ুন তাহলে খুব ভালোভাবে জেনে নিতে পারবেন কিডনির সম্পর্কিত বিশেষ বিশেষ কিছু তথ্য। অবশ্যই এটি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক কিডনি ভালো আছে কিনা তা বোঝার উপায় সম্পর্কে।
কিডনি টেস্টের জন্য কিছু পরীক্ষা
কিডনি টেস্ট করার জন্য বিশেষ কিছু পরীক্ষা রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে আমাদের জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরী। বিশেষ করে যাদের বয়স ৪০ পেরিয়ে গেছে তাদের এসব বিষয়ে জেনে রাখা অবশ্যই প্রয়োজন কারণ ৪০ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর শরীরে কিডনির বিভিন্ন রকমের সমস্যা হওয়াটা স্বাভাবিক।
এছাড়াও যাদের ডায়াবেটিকস এবং উচ্চ রক্তচাপ এর সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে কিডনি টেস্ট করা প্রয়োজন। আগে আমরা ডায়াবেটিক্স শব্দটি শুনলে অনেকটাই ভয় পেতাম। তবে এখন আমরা লক্ষ্য করলে দেখতে পাই যে প্রায় প্রতিটি ঘরে ঘরেই একজন মানুষ হলেও ডায়াবেটিস এর সাথে জড়িত রয়েছে। ডায়াবেটিস কখনোই ভালো একটি রোগ হতে পারে না। তবে নিয়মিত চিকিৎসা এবং রুটিন মেনে চললে ডায়াবেটিস হলেও অনেক ভালোভাবে বেঁচে থাকা সম্ভব।
জানি এটি খুবই কষ্টসাধ্য একটি ব্যাপার নিয়মিত রুটিন মেনে চলা নিয়মিত হাঁটাচলা করা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যেন অনেক কঠিন হয়ে যায় একজন ডায়াবেটিকস রোগীর পক্ষে। তবে কিছুই করার নেই অসুস্থ যেহেতু হয়েছে সেহেতু অবশ্যই সকল প্রকারের রুটিন মেনে চলা আবশ্যক তাহলেই তো সুন্দরভাবে জীবন যাপন করা সম্ভব। এরপর আসি উচ্চ রক্তচাপ। যাকে আমরা বলে থাকি হাই প্রেসার। বেশিরভাগ মানুষ এই এখন উচ্চ রক্তচাপ এর সাথে সম্পর্কিত।
এই ডিজিটাল যুগে এসে মানুষের আরাম যেন আরো আগের তুলনায় বহু গুণ বেড়ে গিয়েছে। তার সাথে বেড়ে গিয়েছে বিভিন্ন রকমের অসুস্থতা। তবে এতে ভয়ের কিছু নেই অসুস্থতার পাশাপাশি এখন ডাক্তারেরও অভাব মনে হয় নেই। অভাব রয়েছে শুধু টাকা-পয়সার। অসুস্থ হওয়ার সাথে সাথে আমরা ছুটে চলে যায় ডাক্তারের কাছে আর ডাক্তারেরা তখন দিয়ে থাকেন বিভিন্ন রকমের টেস্ট। তাই এই সকল কিছু মোকাবেলা করার জন্য প্রয়োজন টাকা-পয়সার।
কিডনির সুস্থতায় যেসব পরীক্ষা করা ভালো
কিডনি সুস্থ রাখার জন্য যেসব পরীক্ষা করলে ভালো হবে সেই পরীক্ষাগুলো সম্পর্কে আমরা এখন আলোচনা করতে যাচ্ছি।
কিডনি সুস্থতায় ইউরিন টেস্ট করা জরুরি। ইউরিনে আমিষ বা অ্যালবোনি ম নির্গত হওয়া কিডনি রোগের অন্যতম লক্ষণ। অনেক সময় দেখা যায় এর পরিমাণ এত কম হয় যে সাধারণ রুটিন ইউরিন টেস্টে ধরা পড়ে না। ঠিক তখনই মাইক্রো অ্যালবোনিন টেস্ট করা প্রয়োজন।
এছাড়াও কখনো চিকিৎসকরা 24 ঘন্টার জমানো প্রসাব টেস্ট করে আমিষের পরিমাণ পরীক্ষা করতে পারে। এছাড়াও কিডনির আকার, পাথর, সিস্ট, মূত্র তন্ত্র ইত্যাদির অবস্থা বুঝতে আল্ট্রা সাউন্ড একটি কার্যকর পরীক্ষা। এছাড়াও আপনারা যদি দেখতে চান যে কিডনি কতটা ভালো আছে তা পরীক্ষা করার জন্য সবচেয়ে ভালো টেস্ট হলো জিএফ আর। জি এফ আর টেস্ট করার মাধ্যমে আপনি খুব সহজে জেনে নিতে পারবেন যে আপনার কিডনি কতটা ভালো রয়েছে।
আপনি যদি মনে করেন যে কিডনি কতটা জটিলতায় রয়েছে সেটি দেখার জন্য অবশ্যই আপনাকে রক্তের মাধ্যমে হিমোগ্লোবিন টেস্ট করে দেখাও প্রয়োজন। এরকম বিভিন্ন রকমের টেস্টের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই জেনে নিতে পারবেন যে আপনার কিডনি ভালো রয়েছে কিনা । আশা করি আমাদের আর্টিকেল থেকে আপনি এ বিষয়ে জেনে নিতে পেরেছেন।
কিডনি বিষয়ে আরো কিছু জানার থাকলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন এবং আমাদের দেওয়া আর্টিকেলগুলো মনোযোগ সহকারে পড়বেন। আমরা শুধু আপনাদের সুবিধার্থে আমাদের ওয়েবসাইটে দিয়েছি কিডনি সম্পর্কিত নতুন নতুন সব আর্টিকেলগুলো আপনারা চাইলে অবশ্যই আর্টিকেলগুলো ভিজিট করতে পারবেন।