কিডনি রোগের মধ্যে একটি কমন এবং বড় ধরনের রোগ হচ্ছে কিডনিতে পাথর। আমরা সকলে অবগত আছি যে আমাদের শরীরের প্রত্যেকটি ফোটা তরল কিডনির মাধ্যমে পরিশোধিত হয়ে আমাদের শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। সেই তরল গুলোতে এমন কিছু ক্ষতিকারক পদার্থ থাকে যেগুলো কিডনির মধ্যে জমা হতে হতে একদিন সেটা পাথরে রূপান্তর হয়।কিডনি পাথর নিরাময়ের জন্য বহু চিকিৎসা আবিষ্কৃত হয়েছে আজকের এই আর্টিকেল থেকে আমরা কিডনির পাথরের কিছু লক্ষণ এবং প্রতিকার সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব। কোন ব্যক্তির কিডনির পাথর যদি হয় তাহলে কোন কোন লক্ষণ দেখলে সে বুঝতে পারবে তার কিডনিতে পাথর হচ্ছে সে সম্পর্কে জানব।
কিডনির পাথরের লক্ষণসমূহ
কিডনির পাথর হলে সবার প্রথমে যে লক্ষণ দেখা যাবে সেটা হচ্ছে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া। প্রচুর প্রস্রাব চেপেছে কিন্তু যখন প্রস্রাব করতে যাচ্ছেন তার পরিমাণ আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে এবং অনেক সময় প্রস্তাবের রং পরিবর্তন অথবা প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত বের হওয়ার মতন লক্ষণও দেখা দিতে পারে।কিডনির পাথরের অন্যতম আরেকটি কারণ হচ্ছে কোমরের পেছনে ব্যথা। কোমরের পেছনে ব্যথা কি সাধারণত অনেকে মেরুদন্ডের ব্যথা হিসেবে গণ্য করেন কিন্তু কিডনির পাথর হলে পেছনের ব্যথা হওয়া অন্যতম বড় একটি লক্ষণ।
কিডনির ফাংশনের মধ্যে যদি কোথাও পাথর হয় তাহলে অবশ্যই সেটা তার কার্যক্রমকে ব্যঘাত ঘটাবে। তাই এ অবস্থাতে রোগীর শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলে ওঠা কিডনি পাথরের অন্যতম একটি লক্ষণ।হঠাৎ করে কোন কোন রোগের বমি বমি ভাব বা বমি হওয়ার প্রবণতা হতে পারে কিডনির পাথর থেকে। এখানে শারীরিক দুর্বলতার সৃষ্টি হতে পারে কিডনির পাথরের কারণে তাই এই লক্ষণগুলোকে ফলো করতে হবে।কিডনিতে পাথর হলে রোগীর উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টি হতে পারে তাই অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যদি উচ্চ রক্তচাপ হয় তাহলে সেটাকে অবহেলা না করতে। সাধারণত কম বয়সে যে উচ্চ রক্তচাপ গুলো রয়েছে সেগুলো কিডনির সমস্যার কারণে হতে পারে তাই এই বিষয়ে সতর্ক থাকুন।কিনেদে পাথর হওয়ার মানসিক সমস্যা গুলোর মধ্যে আরেকটি বড় সমস্যা হচ্ছে মনোযোগে অনীহা। অর্থাৎ কোন কিছু মনোযোগ দিতে আপনাকে ভালো লাগবে না এবং কোন কিছু মনোযোগ দিয়ে আপনি করতে পারবেন না এটা কিডনির সমস্যার অন্যতম একটি লক্ষণ।
কিডনির পাথর হলে কি ব্যায়াম করতে হবে
কিডনিতে যদি পাথর ধরা পড়ে এবং সেই পাথরের সাইজ যদি অনেক ছোট হয় তাহলে স্বাভাবিকভাবেই ডাক্তারেরা একটি প্রচেষ্টা চালান এবং সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে রোগীদের অন্তত ১৫ থেকে ১ মাস ব্যায়াম করতে বলেন। একটি ডাক্তারের সঙ্গে কথোপকথন এর মাধ্যমে আমরা এটা জানতে পেরেছি যে কিডনির পাথরের সাইজ যদি ছোট হয় তাহলে সেগুলো প্রস্রাবের পথ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এর জন্য তারা প্রাথমিক পর্যায়ে রোগীদের এমন কিছু ঔষধ দেন যেখানে ব্যথা কম থাকে এবং কিছু শারীরিক ব্যায়াম করতে বলেন যার মাধ্যমে কিডনির ওই পাথরগুলো আস্তে আস্তে প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে বেরিয়ে যাবে। এজন্য প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসকেরা রোগীদের ১০ থেকে ১২ ক্লাস পানি নিয়মিত খেতে বলেন এবং প্রতিদিন দুই বেলা অন্তত ৩০ মিনিট করে বল দড়ি খেলতে পারেন। ছোটবেলায় আমরা দড়ি দিয়ে যে লাফালাফি খেলা খেলতাম সেই খেলাকেই বলা হচ্ছে বল দড়ি খেলা।
কিডনির পাথর চিকিৎসার ঘরোয়া পদ্ধতি
কিডনির পাথর চিকিৎসায় ঘরোয়া কোন পদ্ধতি নেই আপনাকে শুধু কিছু নিয়ম ফলো করতে হবে যে নিয়মগুলো আপনার কিডনির পাথর নিরাময়ের জন্য আপনাকে সাহায্য করবে। তাদের মধ্যে কিছু কিছু জিনিস আমরা উপরে উল্লেখ করেছি যেমন নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং নিয়মিত পানি পান করা। এছাড়াও এর পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ কিডনির পাথর নিরাময় অন্যতম কারণ তার কারণ হচ্ছে যেই খাবারগুলো খেলে পাথর বৃদ্ধি পাবে সেই খাবার গুলো আপনাকে বর্জন করতে হবে।