শরীর এতটাই সুন্দরভাবে কাজ করে যে সেখানে যদি কোন গরমিল পাওয়া যায় তাহলে সেই শরীর নিজেই জানান দেয় এখানে গরমিল হচ্ছে। আমরা যদি সঠিক নিয়ম মেনে শরীরকে সাপোর্ট দিতে পারি তাহলে আমরা সুস্থ ভাবে জীবন যাপন করতে পারব তবে আমাদের ভুল হয় শরীরকে সঠিক সাপোর্ট না দেওয়া। শরীরের যেটা প্রয়োজন সেই কাজটি আমরা করি না উল্টো তাকে খারাপ জিনিস গুলো উপহার দেই যার কারণে সে আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে।
নিজের ফুসফুসে কোন সমস্যা হয়েছে কিনা সেটা নিজেই উপলব্ধি করা যায় সব থেকে ভালোভাবে তারপরও কিছু উপসর্গ আছে বা কিছু জিনিস আছে যেগুলো এপ্লাই করে যে কেউ চেক করে নিতে পারে নিজের ফুসফুসের অবস্থা। সাধারণত নিজের ফুসফুস ভালো আছে কিনা তার কিছু ভালো দিক আছে যেমন মনে করুন কোন ধরনের শ্বাসকষ্ট না থাকা। যাদের কোনদিন কোন ধরনের শ্বাসকষ্ট নেই তাদের ফুসফুস এমনিতেই ভালো থাকে এছাড়াও আরেকটি লক্ষণ হতে পারে হঠাৎ করে যদি সর্দি লাগে তাহলে সেই সর্দি অনেক তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যাওয়া।
মনে করুন আপনার সর্দি লেগেছে আপনার সঙ্গে আপনার পাশের একজনের সর্দি ঠান্ডা লেগেছে কিন্তু আপনার তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যাচ্ছে কিন্তু পাশের জনের ভালো হচ্ছে না তার মানে অবশ্যই আপনার ফুসফুসের অবস্থা ভালো। এছাড়াও ফুসফুসের অবস্থা চেনার জন্য কিছু ব্যায়াম আছে যেগুলো আপনারা ধরে করে দেখতে পারেন। ধুম টেনে নিয়ে যতক্ষণ পর্যন্ত দম ধরে রাখা যায় এবং আস্তে আস্তে সেটা ছাড়া নিয়ন্ত্রণ করা যায় এভাবে আপনি চেক করে নিতে পারেন আপনার ফুসফুসের অবস্থান কেমন আছে
ফুসফুস ভালো রাখার অভ্যাস
ফুসফুস ভালো রাখার সবথেকে ভালো অভ্যাস হচ্ছে ধূমপান থেকে বিরত থাকা। যারা জীবনে কখনো ধূমপান করেননি তারা সব দিক দিয়ে বেঁচে যাবেন এবং এই ভালো মানুষ গুলোর ফুসফুস চিরকাল ভালো থাকবে। বর্তমানে কল কারখানা এবং শিল্পায়নের প্রভাবে পৃথিবীর বাতাস দূষিত অবস্থায় আছে সে দূষিত বাতাস থেকে নিজের ফুসফুস কে দূরে রাখতে একটি ভালো অভ্যাস আপনি গড়ে তুলতে পারেন সেটা হচ্ছে মার্কস ব্যবহার করা। এছাড়া প্রতিদিন খুব ভোরবেলা উঠে একটু খোলামেলা জায়গাতে গিয়ে শারীরিক ব্যায়াম করা ফুসফুস ভালো রাখার একটি বড় অভ্যাস। মেয়েদের ক্ষেত্রে চেষ্টা করা যাতে খড়ির চুলাতে রান্না করা কম করা হয় তার কারণ হচ্ছে খড়ির চুল্লতে রান্নাবাড়া করলে ধোঁয়ার সৃষ্টি হয় যেটা তাদের ফুসফুস এর জন্য ক্ষতিকারক।
ফুসফুস ভালো রাখার খাবার
সাধারণত ফুসফুস ভালো রাখার আলাদা তেমন কোন খাবার নেই। ফুসফুস ভালো রাখতে আপনাকে সব সময় সতেজ খাবার খেতে হবে এবং সব সময় পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। সাধারণত ঠান্ডা খাবার গুলো ফুসফুসের ক্ষতি করে বেশি তাই চেষ্টা করতে হবে গরম অথবা কুসুম গরম খাবার বেশি খেতে যা আপনার শরীরের জন্য উপকারী এবং আপনার ফুসফুসের জন্য উপকারী। শিশু বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সব সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে কোন ধরনের সমস্যা তৈরি না হয় তার ফুসফুসের জন্য এর জন্য তাকে সবসময় গরম খাবার খাওয়ান এবং নিয়মিত এই অভ্যাস বজায় রাখুন।
ফুসফুসের নিয়মিত চিকিৎসা
যাদের ফুসফুসের কোন সমস্যা নেই তারা অবশ্যই এই বিষয়ে অনেক ভালো আছেন কিন্তু তাদের ফুসফুসের সমস্যা আছে তাদের নিয়মিত চিকিৎসা করার প্রয়োজন রয়েছে। এ ধরনের রোগীদের প্রচুর শ্বাসকষ্ট হয় তাই অবশ্যই নিয়মিত চিকিৎসার অধীনে থাকতে হবে এছাড়া অনেকের বুকে ব্যথা আবার নিউমোনিয়া এ ধরনের সমস্যা তৈরি হয় অল্পতেই। এদের একটু সতর্ক অবস্থানে সবসময় থাকতে হয় কোনোভাবেই যাতে ঠান্ডা না লাগে এবং কোনভাবে যেন ফুসফুসের ক্ষতি হয় এমন কাজ না করা হয় এই বিষয়ে তারা যদি একটু সতর্ক থাকে এবং নিয়মিত একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যায় তাহলে অবশ্যই ফুসফুসের বিভিন্ন রোগবালায় থেকে দূরে থাকতে পারবে।