আল্ট্রা সাউন্ড রিপোর্ট বোঝার উপায়

আল্ট্রা সাউন্ড রিপোর্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাজের ক্ষেত্রে। তবে সব ক্ষেত্রেই যে গর্ভাবস্থায় আল্ট্রাসাউন্ডের ব্যবহার করা হয় এটা ভুল ধারণা আল্ট্রাসাইন্ড এর ব্যবহার প্রত্যেকটি রোগ নির্ণয়ের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে আজকের আর্টিকেলে আমরা গর্ব অবস্থায় আল্ট্রাসাউন্ডের বিভিন্ন ধরনের ব্যবহার সম্পর্কে একটু বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টা করবো তাই আশা করছি এই ধরনের তথ্য যাদের প্রয়োজন তারা আমাদের সঙ্গে থাকবেন।

আটা সাউন্ড রিপোর্ট সাধারণত অনেক সহজ একটি ব্যাপার যদি আপনি বিষয়টি বোঝেন আর যদি বিষয়টি আপনার বোধগমন না হয় তাহলে কখনোই আপনি বিষয়টি বুঝবেন না। এখানে রোগের শারীরিক অবস্থার সবকিছুই তুলে ধরা হয় এবং গর্ভবতী মায়ের সঙ্গে গর্ভবতীর সন্তান কেমন আছে সে সম্পর্কেও জানানো হয়। তাহলে চলুন জানার চেষ্টা করে এই সম্পর্কে বিস্তারিত।

আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায়

আল্টাসনোগ্রাফি রিপোর্ট দেখে অনেকে জানতে চাই ছেলে হবে না মেয়ে হবে সেই বিষয়ে। আপনাদের জানিয়ে রাখি ছেলে হোক বা মেয়ে হোক সন্তান হওয়াটাই সবথেকে বড় ব্যাপার তার কারণ হচ্ছে সৃষ্টিকর্তা রহমত হিসেবে পরিবারের সন্তান দান করেন। এখানে ছেলে অথবা মেয়ের ভেদাভেদ করার কোন প্রশ্নই আসে না এবং যারা বোকার মত ভেদাভেদ করেন তারা হয়তো পরে এই বিষয়টি নিয়ে পস্তান। আরেকটি বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী আপনি গর্ব অবস্থায় সন্তান মেয়ে না ছেলে এটা আল্ট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে আগে দেখার কোনো অধিকার রাখেন না এবং এটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্ট দেখে কখনো এটা বোঝা যাবে না এটা বুঝতে হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং আলট্রাসনোগ্রাফি করার সময় ডাক্তারেরা কিছু বৈশিষ্ট্য দেখে বুঝতে পারে গর্ভে থাকা সন্তান ছেলে অথবা মেয়ে কিনা। আপনার উদ্দেশ্যই যদি থাকে ছেলে অথবা মেয়ে যাচাই করা তাহলে কোন ডাক্তার আপনাকে এইভাবে সেটা বলবে না এবং এটা বলা পাপ এবং পাশাপাশি অন্যায়। তবে হ্যাঁ যদি খুশির বসে ডাক্তারেরা এটা বলে ফেলে সন্তান ছেলে অথবা মেয়ে তাহলে বিষয়টি ভিন্ন ব্যাপার।

আল্ট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্ট বিস্তারিত

আল্টাসনোগ্রাফি রিপোর্টে গর্ভবতী মায়ের গর্ভে থাকা সন্তানের বিভিন্ন খুঁটিনাটি কথা উল্লেখ করা হয়। এখানে গরমে থাকা সন্তানের মাথার সাইজ এবং পায়ের একটি হাড়ের সাইজের কথা উল্লেখ করা হয় যার মাধ্যমে তার ওজন নির্ধারণ করা হয়। এর পাশাপাশি বাচ্চার হার্টবিট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জিনিস আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্টে অর্থাৎ বাচ্চার হার্টবিটের ওপর নির্ভর করে বোঝা যায় বাচ্চা কতটা সুস্থ আছে। এছাড়াও বাচ্চার নড়াচড়া ডাক্তারেরা খুব ভালোভাবে বুঝতে পারে আল্ট্রাসনোগ্রাফির সবাই সেই সময় নড়াচড়ার উপর নির্ভর করেও বাচ্চার সুস্থতা নির্ধারণ করা হয়। এর পাশাপাশি বাচ্চার হওয়ার তারিখ সম্পর্কে রিপোর্টে খুব সুন্দর ভাবে উল্লেখ করা হয় তাই আঠাসনোগ্রাফি রিপোর্টে এই বিষয়গুলো খুব সুন্দর ভাবে বিস্তারিতভাবে তুলে দেওয়া থাকে।

গর্ভাবস্থায় আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট

গর্ভাবস্থায় আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট অত্যন্ত জরুরি ব্যাপার। যদিও কিছু কিছু মানুষ এখনো মনে করে গর্ভাবস্থায় হাঁটাসনোগ্রাফি করার কোনই দরকার নেই এমনিতেই যেটা হওয়ার সেটা তো হবেই। সবার ক্ষেত্রে আলট্রাসনোগ্রাফি প্রয়োজন না হলেও কিছু কিছু গুরুতর রোগীদের ক্ষেত্রে এটার প্রয়োজন পড়ে তাই সকলকেই আল্টাসনোগ্রাফি করার অনুমতি দেন চিকিৎসকেরা। আর যাদের মনে ভ্রান্ত ধারণা আছে বারবার আল্টাসনিক গ্রাফি করার ফলে শিশুর শরীরে অনেক ক্ষতি হয় তাদেরকে বলব এই ভুল ধারণা থেকে বেরিয়ে আসুন অবশ্যই রেডিয়েশনের সমস্যা আছে তবে সেখানে খুবই অল্প পরিমাণে রেডিয়েশনের চাপ থাকে এতে শিশুর কোন ধরনের ক্ষতি হয় না।

যেকোনো ধরনের সমস্যা হলে বাড়িতে না বসে অবশ্যই সবার প্রথমে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করা উচিত যার কারণে এখানে অনেক শিশুর অনেক ধরনের সমস্যা নির্বাচন করা যায়। তাই আশা করছি বর্তমান চিকিৎসা বিজ্ঞানের যে আবিষ্কার গুলো রয়েছে সেগুলোর সঠিক ব্যবহার আমরা শিখব আমরা খারাপ দিকগুলো নিয়ে কখনোই চিন্তা-ভাবনা করব না।