সাধারণত শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে সেটাকে আমরা জ্বড় বলি। মানব শরীরে তাপমাত্রা যদি 99 ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হয় তাহলে সেটাকে জ্বর হিসেবে ধরা হয়। জ্বর হওয়ার জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে শারীরিক সুস্থতা। এই অবস্থাতে যে যত বেশি সুস্থ থাকতে পারবে তার জ্বর ততো বেশি ভালো হবে এবং যে যত বেশি ভেঙ্গে পড়বে তার জ্বর আরো বেশি বেড়ে যাবে।
শিশুদের ক্ষেত্রে জ্বর হওয়া অত্যন্ত কষ্টের ব্যাপার তার কারণ হচ্ছে এই অবস্থাতে শিশুরা অনেক বেশি নাজেহাল অবস্থায় চলে যায়। অভিভাবক হিসেবে অনেক চিন্তা এবং অনেক ভাবনার মধ্যে পড়ে যেতে হয় বাবাকে অথবা মাকে। যাইহোক আজকে আমরা সাধারণ জন নিয়ে আপনাদের সঙ্গে কিছু আলোচনা করব এবং জ্বর হলে আপনি কোন ঔষধ খাবেন এবং সেটা কিভাবে খাবেন তার একটি ভালো নির্দেশনা আমরা দেব।
বাচ্চাদের জ্বর হলে কি ওষুধ খাবে
বাচ্চাদের জ্বর হলে অবশ্যই আমাদের সতর্কতার সঙ্গে তাকে ঔষধ খাওয়াতে হবে। আমরা সকলে অবগত আছি যে জ্বরের একমাত্র প্রধান ওষুধ হচ্ছে প্যারাসিটামল। শিশুদের ক্ষেত্রেও এই প্যারাসিটামল জ্বরের প্রধান ঔষধ তাই কোনভাবে প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য ঔষধ শিশুকে দেওয়া যাবে না। তবে প্যারাসিটামল শিশুকে খাওয়ানোর কিছু নিয়ম রয়েছে এবং অবশ্যই এক্ষেত্রে আপনাকে সেই নিয়মগুলো মানতে হবে এ নিয়ম না মেনে যদি আপনি শিশুকে অতিরিক্ত প্যারাসিটামল খাওয়ান তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
সবার প্রথমে এটা নিশ্চিত হতে হবে শিশুর জ্বর এসেছে কিনা অর্থাৎ গা গরম হওয়া মানেই যে জ্বর আসা এটা একেবারেই ভুল। তাই অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যখন গা গরম হবে তখন একটি থার্মোমিটার যেন বাড়িতে থাকে এবং এ থার্মোমিটারের মাধ্যমে জ্বর মাপতে হবে প্রতিবেলা। যদি শিশুর শরীরে তাপমাত্রা ৯৯ ডিগ্রি এর বেশি হয় তাহলে তাকে প্যারাসিটামল খাওয়াতে হবে এবং শিশুর বয়স ওজনের উপর ভিত্তি করে মূলত এই প্যারাসিটামলের পরিমাণ খাওয়াতে হবে এবং দিনে কতবার খেতে হবে সেটাও এটা নির্দেশ করবে। আপনি চাইলে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন যদি সম্ভব না হয় তাহলে ওষুধের গায়ে খুব সুন্দরভাবে এটা উল্লেখ করা আছে তা না হলে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন যেখানে প্যারাসিটামলে সঠিক ব্যবহার উল্লেখ করা আছে।
জ্বর হলে করণীয়
জ্বর হলে সবার প্রথমে যেই কাজটি আপনাকে করতে হবে সেটা হচ্ছে জ্বর মাপা। আমরা সব থেকে বড় যে ভুলটা করি সেটা হচ্ছে জ্বর ভেবে ওষুধ খায় এবং একটু গা গরম হলে মনে করে জ্বর এসেছে। কিন্তু আপাত দৃষ্টিতে আপনি যদি প্রতি ১০ জনের মধ্যে দশ জনের শরীরে জ্বর মাপেন তাহলে দেখবেন দুইজনের জ্বর আসেনি তাও তারা অযথা ওষুধ খাচ্ছে এটা হচ্ছে এই ভুল হওয়ার কারণে হয়ে আসছে।
এরপরে আপনাকে যে কাজটি করতে হবে যদি জ্বর আসে তাহলে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যেতে হবে পরামর্শ নেওয়ার জন্য। রোগীর বয়স এবং শারীরিক ওজনের উপর ভিত্তি করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অবশ্যই জ্বরের ঔষধ দেবেন প্যারাসিটামল। প্যারাসিটামল আপনি সঠিক নিয়ম মেনে যদি দুই থেকে তিন দিন সেবন করেন তাহলে সাধারণ জ্বর গুলো দুই থেকে তিন দিনের মধ্যেই পুরোপুরি চলে যাবে। তবে অসাধারণ যে জ্বরগুলো রয়েছে সেগুলোর জন্য আরও বড় চিকিৎসার প্রয়োজন আছে।
প্যারাসিটামল এর কার্যকারিতা
প্যারাসিটামল এর কার্যকারিতা বলে শেষ করা যাবে না এটা এমন একটি ওষুধ যা একই সঙ্গে প্রায় ২০ ধরনের রোগের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে। প্যারাসিটামল সরাসরি জ্বরের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে অর্থাৎ শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে প্যারাসিটামল একমাত্র ঔষধ। এর পাশাপাশি শরীরে যে কোন অঙ্গে যেকোনো অংশে যে কোন ধরনের ব্যথার জন্য একটি মাত্র প্রধান এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া ওষুধের নাম হচ্ছে প্যারাসিটামল।