ইনসুলিন প্রাকৃতিক নিয়মে আমাদের শরীরের অভ্যন্তরে তৈরি হয়। কিন্তু যারা ডায়াবেটিসের রোগী আছে তাদের দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস হওয়ার কারণে এবং সেটা অনিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে চলে যাওয়ার কারণে শরীরের অভ্যন্তরে এই ইনসুলিনের উৎপাদন ক্ষমতা কমতে শুরু করে। যখন শরীরের অভ্যন্তরে এর উৎপাদন ক্ষমতা কমতে শুরু করে তখন অবশ্যই সেটা অস্বাভাবিক মনে হয় এবং যার কারণে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হয়।
তখন চিকিৎসা করা যদি মনে করেন তাদের বাইরে থেকে ইনসুলিন দেবেন তাহলে সেটি করতে পারেন। এই ক্ষেত্রে ডায়াবেটিসের পরিমাণ যদি ১৫ অতিক্রম করে সে ক্ষেত্রে রোগীর ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত হিসেবে ধরা হয়। ডায়াবেটিসের পরিমাণ অতিক্রম করলে তাকে অবশ্যই অত্যন্ত শক্তিশালী ঔষধ দেওয়া হয়। এরপরেও যদি সেটা নিয়ন্ত্রণের না থাকে তাহলে পুনরায় ডায়াবেটিস মাপা হয় এবং এই ডায়াবেটিস যদি ১৮ থেকে ২০ অতিক্রম করে তাহলে তাকে ইনসুলিন দেওয়া হবে। বিভিন্ন ধরনের ইনসুলিন বিভিন্নভাবে চিকিৎসা করা দিতে পারে অর্থাৎ কোন কোন ইনসুলিন দুইবেলা আবার কোন কোন ইনসুলিন তিন বেলা দেওয়া হয় এগুলো সম্পূর্ণ নির্ভর করছে চিকিৎসকের পরিকল্পনার উপর।
টাইপ টু ডায়াবেটিস কি
টাইপ টু ডায়াবেটিস অনেকেই এই সম্পর্কে জানেন না। ডায়াবেটিসের বিভিন্ন ধরন আছে তার মধ্যে এটি হচ্ছে একটি। সাধারণত এই ধরনের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরের অবস্থা একটু খারাপ অবস্থাতে থাকে। সাধারণত যাদের শরীরে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে না তাদের বলা হয় টাইপ টু ডায়াবেটিস। এই অবস্থাতেই ইনসুলিন শরীরের অভ্যন্তরে খুব কম পরিমাণ উৎপাদন হয় এবং এই উৎপাদন কম হওয়ার কারণে ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে চলে যায়। ঠিক তখন বাইরে থেকে ইনসুলিন দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে আর এই ধরনের ডায়াবেটিস কেই বলা হয় মূলত টাইপ টু ডায়াবেটিস।
এই ধরনের রোগীরা সবসময় অনেক বেশি রিক্সে থাকেন তাই চেষ্টা করতে হবে এই ধরনের রোগীদের ভালো মানের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিতে। সাধারণত এই অবস্থাতে পরিশ্রম একটু কম হয়ে যায় বলে মূলত ইনসুলিন উৎপন্ন হয় না যেমন 60 বছরের বেশি বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে এ বিষয়টি বেশি হয়। এখানে অবশ্যই নিয়মিত চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে হবে এই ধরনের রোগীদের। একটু ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে নিয়মিত চেকআপের প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়াও এই ধরনের রোগীদের শরীরের কোন স্থানে যদি ক্ষত তৈরি হয় তাহলে সে ক্ষত সেরে উড়তে অনেক বেশি সময় লাগে।
টাইপ টু ডায়াবেটিসে রোগীদের চিকিৎসা
আমরা উপরে খুব সুন্দর ভাবে টাইপ টু ডায়াবেটিস রোগীদের শারীরিক অবস্থা কেমন হতে পারে সে সম্পর্কে আপনাদের ধারণা দিলাম। এরপরেও আপনাদের অবশ্যই অনেক কিছু জানার প্রয়োজন রয়েছে যেমন এই ধরনের রোগীদের কিভাবে চিকিৎসা করাবেন। সাধারণত এই ধরনের রোগীদের চিকিৎসা করানোর জন্য ইনসুলিন ব্যবহার করা হয়। শরীরের অভ্যন্তরে ইনসুলিন তৈরি হয় না বলে বাইরে থেকে ইনসুলিন দেওয়া হয় এবং এটা অত্যন্ত জরুরি ব্যাপার।
আরেকটি বিষয় হচ্ছে টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে যাতে শরীরের কোন অংশে কোন ধরনের ক্ষতের সৃষ্টি না হয়। এটা যদি হয় তাহলে যেকোনো সময় সে রোগই সেখান থেকে ইনফেকশনের শিকার হতে পারে এবং এই ইনফেকশনগুলো এতটাই খারাপ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের অঙ্গ হানির সম্ভাবনা থাকে। টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে সবসময় সতর্ক অবস্থানে থাকা উচিত।
ডায়াবেটিস টেস্টের খরচ
ডায়াবেটিস টেস্টের খরচ সম্পর্কে বলতে গেলে আপনি কোন ডায়াবেটিস টেস্ট করাতে চাচ্ছেন সেই সম্পর্কে জানতে হবে। আপনি যদি রেনডাম ব্লাড সুগার করেন তাহলে আপনার খরচ হতে পারে ৫০ টাকা থেকে 150 টাকা। এই ধরনের ব্লাড সুগার গুলোর খরচ হয় 50 টাকা থেকে 150 টাকা আপনি যতবার করবেন ততবার এই খরচ বাড়বে। তবে আপনি যদি HBA1C টেস্ট করাতে চান তাহলে আপনার খরচ হবে এক হাজার টাকা।