লো প্রেসার হলে কি কি ফল খাওয়া উচিত

লো প্রেসার সাধারণত শারীরিক দুর্বলতার কারণে বেশি হয়ে থাকে। এছাড়াও লো প্রেসার হয়ে থাকে কিছু ভুল সিদ্ধান্ত বা কিছু ভুল ওষুধ খাওয়ার কারণে। তবে নিয়মিতভাবে যদি কারো শরীরে হঠাৎ করে লো প্রেসার দেখা দেয় তাহলে সেটা দুশ্চিন্তার কারণ এবং চেষ্টা করতে হবে সেটা সমাধানের। লো প্রেসার নিয়ন্ত্রণে ভালো খাদ্যাভ্যাস অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। তবে আপনাকে অবশ্যই এখানে কিছু জিনিস বেশি বেশি খেতে হবে সেটা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এবং অবশ্যই সেটা তালিকাভুক্ত করতে হবে।

লোকেশন নিয়ন্ত্রণে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিকর এবং ভিটামিনযুক্ত খাবার খেতে হবে। ফলমূলের মধ্যে চেষ্টা করতে হবে যে ফর্মগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন আছে এবং পুষ্টি আছে সেই ফলগুলো বেশি খেতে। এর পাশাপাশি আরও কিছু সবজি যেগুলোতে প্রচুর পরিমাণে মিনারেলস আছে সেই সবজিগুলো খেতে হবে এবং প্রোটিনযুক্ত খাবারের উৎস থেকে আপনাকে প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে হবে। আপনি যদি আপনার খাদ্য তালিকায় খাবার গুলো সঠিকভাবে রাখতে পারেন তাহলে অবশ্যই সেটা আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।

লো প্রেসারের খাবার

সাধারণত যাদের এই ধরনের সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে নিয়মিত দুধ খাওয়া এবং নিয়মিত ডিম খাওয়া অত্যন্ত জরুরী ব্যাপার। এই খাবারগুলো খাবার পাশাপাশি আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে অবশ্যই ভাতের সঙ্গে আপনি পরিমাণ মতো সবজি খাচ্ছেন এবং পরিমাণ মতো আমিষ খাচ্ছেন। আমিষের উৎস থেকে আপনি এই আমিষের ঘাটতি পূরণ করতে পারেন যেমন মাছ খেয়ে অথবা ডাল জাতীয় খাবার খাবে। এই খাবারগুলো অবশ্যই খাবার খেতে আপনাকে একটি জিনিস খেয়াল করতে হবে অতিরিক্ত মাত্রায় কখনোই এই খাবার খাওয়া যাবে না।

আমি এমন ঘটনা অনেক দেখেছি যেখানে সাধারণত যাদের এই সমস্যা হয়েছে তারা এই খাবারগুলো অতিরিক্ত মাত্রা খাওয়ার ফলে আরো শারীরিক দুর্বল হয়ে গেছে এবং আরো অন্য অসুস্থতা দেখা দিয়েছে। যখনই খাবেন সতর্ক অবস্থানে থেকে খাবেন এবং যাতে অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়া না হয় সেই দিকে খেয়াল রাখবেন। অবশ্যই প্রেশার কমে গেলে খাদ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জিনিস তবে নিয়ন্ত্রণ পর্যায়ে যদি এটা না থাকে তাহলে সেটা আপনার জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।

লো প্রেসার নিয়ন্ত্রণে করনীয়

যাদের লো প্রেসার হয়েছে তাদের সবার প্রথমে একটা জিনিস নিশ্চিত করতে হবে সেটা হচ্ছে লো প্রেসার সত্যিই হয়েছে কিনা। অনেকেই আছে একবার দুবার প্রেসার মাপার পরে দেখছে তার লো প্রেসার হয়েছে তারপরেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে চিকিৎসা করার কিন্তু এটা যদি নিয়মিত না থাকে তাহলে চিকিৎসা করার কোনো প্রয়োজন নেই। আমি এটা বোঝাতে চাচ্ছি যে সাধারণত কিছু কিছু ক্ষেত্রে লো প্রেসার একেবারেই স্বাভাবিক কারণে হয়ে থাকে যেটা এমনিতেই ঠিক হয়ে যায় তাই এত অতি উত্তেজনার প্রয়োজন নেই।

তবে হ্যাঁ লো প্রেসার যদি আপনার অসুস্থতার কারণ হয়ে থাকে তাহলে চিকিৎসা করুন এবং এই চিকিৎসায় সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে খাবার। পরিবারের রেস্ট গ্রহণ করুন এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান তাহলেই দেখবেন আপনার লো প্রেসার নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। এটা যদি আপনি সঠিকভাবে করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার লো প্রেসার নিয়ন্ত্রণ হয়ে যাবে এমনিতেই এবং এটার জন্য কোন ধরনের অসুস্থতা আপনার থাকবে না।

লো প্রেসার এর ঔষধ

লো প্রেসার নিয়ন্ত্রণের জন্য যদি ওষুধের ব্যবহার করা হয় তাহলে অবশ্যই সেটা খুব অল্প পরিমাণে করা যেতে পারে। সাধারণত এখানে ভিটামিন এবং মিনারেলস যুক্ত ঔষধ ব্যবহার করা হয় যাতে রোগের শারীরিক সুস্থতার উন্নতি হয় এবং সে আরো আগের থেকে শক্তিশালী হয়। এই ওষুধের ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আপনাকে লো প্রেসার নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে হবে। আশা করছি লো প্রেসার সম্পর্কে আপনারা অনেক কিছু জানতে পারলেন।