কোলন ক্যান্সার কি নিরাময় যোগ্য

ক্যান্সার মরণঘাতী একটি রোগ এবং এ ক্যান্সার বর্তমানে পৃথিবীতে তার প্রকোপ দেখিয়ে চলছে। এখন পর্যন্ত ক্যান্সারের বিরুদ্ধে সরাসরি লড়াই করতে পারবে এমন ঔষধ কোন বিজ্ঞানী বা কোন চিকিৎসক আবিষ্কার করতে পারেনি। পৃথিবীতে বহু ধরনের ক্যান্সার পাওয়া গেছে তবে এই ক্যান্সার গুলোর মধ্যে সবথেকে ক্ষতিকারক ক্যান্সারের তালিকায় কোলন ক্যান্সার একটি। করুন ক্যান্সার হলে এই ক্যান্সার থেকে পুরোপুরি মুক্তি পাওয়া যায় কিনা অনেকে জানতে চান।

অবশ্যই সঠিক চিকিৎসা আপনাকে নিতে হবে এবং সেটা হতে হবে সঠিক সময় তা না হলে মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করতে হবে। বলুন ক্যান্সারের একটি প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতি আছে এবং সেই চিকিৎসা পদ্ধতিতে কোলন কেটে ফেলা দেওয়া হয় যা রোগীকে বিকল্প পথে মলত্যাগ করার ব্যবস্থা করে দেয়। এখানে ল্যাপারোস্কপি অপারেশন এর মাধ্যমে এই কাজটি সম্পাদন করা হয়। এখানে লেখারোস্কোপি অপারেশন আসার পর থেকে পেট না কেটে এবং মলদ্বার অপসারণ না করে ক্যান্সার টি সম্পূর্ণরূপে শরীর থেকে বিচ্ছেদ করা হয় এবং এখান থেকে আরোগ্য লাভ করা সম্ভব।

তবে বিষয়টা আমি আবারো আপনাদের বুঝিয়ে দিচ্ছি আপনারা যদি সঠিক সময়ে এই অপারেশন না করাতে পারেন তাহলে সেটা আপনাদের জন্য ক্ষতির কারণ। এখানে আমাদের কাছে একটি তথ্য আছে যে তথ্য মোতাবেক অধ্যাপক ডক্টর এ কে এম ফজলুল হক যিনি কিনা ইডেন মাল্টিকেয়ার হাসপাতাল ল্যাপারোস্কোপিক ও ক্লোরেক্টাল সার্জন তিনি বলেছেন:- মলাশয়ের ক্যান্সার সাধারণত পায়ুপথে রক্তক্ষরণ এবং মলত্যাগের অভ্যাস এর পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় তাই এই অভ্যাসগুলো আমাদের পরিবর্তন করতে হবে। যখন পায়খানার চাপ আসবে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের এই পায়খানা এবং প্রস্রাব করার চেষ্টা করতে হবে। এছাড়াও পায়েলসে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রেও এটা বেশি হয়ে থাকে।

কোলন ক্যান্সারের লক্ষণ

করুন ক্যান্সারের প্রাথমিক কিছু লক্ষণ আছে যে লক্ষণ গুলো ফলো করলে আপনি বুঝতে পারবেন কোলন ক্যান্সার হয়েছে। সাধারণত মলাশয়ের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা শতকরা পাঁচ ভাগ বৃদ্ধি পায় জিনগত কারণে এবং বৃহদন্ত্র কারণে। এছাড়াও অভ্যাসগত কারণ আছে যার কারণে এই ক্যান্সার বৃদ্ধি পায় তবে কিছু লক্ষণের মাধ্যমে সেটা বাইরে থেকে বোঝা যায়। প্রথমদিকে রোগীটি তেমন কোন উপসর্গ বুঝতে না পারলেও কিছু কিছু উপসর্গ আস্তে আস্তে বোঝা যায়।

যেমন মনে করুন মলাশয় এর কোন জায়গায় ক্যান্সার রয়েছে তার ওপর ভিত্তি করে উপসর্গের বিভিন্নতা দেখা যায় যেমন পায়খানার সঙ্গে রক্ত কিংবা পেটে ব্যথা নিয়ে অধিকাংশ রোগী প্রথমে চিকিৎসকের কাছে আসেন।অনেক রোগীদের ক্ষেত্রে মলত্যাগের অভ্যাস পরিবর্তন কখনো কখনো ডায়রিয়া আবার কখনো কখনো কষা পায়খানা এরকম সমস্যা নিয়ে আবার অনেক রোগীকে দেখা যে যে রক্তশূন্যতা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে এসেছেন।

এছাড়াও কিছু গুরুতর অবস্থায় রয়েছে যেমন ওজন শূন্যতা আবার অনেকের ক্ষেত্রে পেটে চাকা বের হওয়া এবং পেটে পানি জমা। অনেকের ক্ষেত্রে কাশির সঙ্গে রক্ত বের হওয়া এবং এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসকের কাছে আসার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা বুঝতে পারেন তার বড় কোন সমস্যা হয়েছে।

কোলন ক্যান্সার এর চিকিৎসা

সবার প্রথমে বায়োপসি এবং কোলোনোস্কোপি করানোর মাধ্যমে ক্যান্সার সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। এরপরে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা যেমন সিটি স্ক্যান থেকে শুরু করে রক্তে অ্যান্টিজেন এর পরিমাণ ইত্যাদি পরীক্ষার মাধ্যমে ক্যান্সারের ধাপ নির্ণয় করা হয়। চিকিৎসার ক্ষেত্রে এই ধাপ নির্ণয় করা সব থেকে বড় কাজ তার কারণ হচ্ছে ক্যান্সার যদি চিকিৎসার পর্যায় থাকে তাহলে দ্রুত চিকিৎসা করতে হবে তা না হলে বেকার বেকার চিকিৎসা করে কোন লাভ হবে না।প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসার ক্ষেত্রে সন্তোষজনক ফলাফল পাওয়া যায় এছাড়াও আমরা উপরে উল্লেখ করেছি ল্যাপারস প্রকৃতির মাধ্যমে কোলন ক্যান্সারের অপারেশন করানো হয় যাতে করে রোগী এখান থেকে পুরোপুরি সুস্থ হতে পারে যদি তার ক্যান্সার প্রাথমিক অবস্থাতে ধরা পড়ে এবং অন্য অবস্থা গুলো ভালো থাকে।