বর্তমান বিশ্বে সব কিছুর সঙ্গে তাল মিলিয়ে একটি রোগ আমাদের সকলের মাঝে ছড়িয়ে পড়ছে সেটা হচ্ছে ফ্যাটি লিভার। এই রোগটা এতটাই বড় আকার ধারণ করেছে যে বর্তমানে প্রায় অধিকাংশ মানুষের এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সাধারণত যকৃতে চর্বির আধিক্য হলে এর গঠনের যে পরিবর্তন হয় সেটাকে বলা হয় ফ্যাটি লিভার। সাধারণত যকৃতের যে ওজন আছে সেই ওজনের উপর নির্ভর করে স্বাভাবিকভাবে 5 থেকে 10 ভাগ চর্বি জমলে সেখানে কোন সমস্যা হয় না।
তবে এ থেকে বেশি যদি চর্বি জমে তাহলে সেটাকে বলা হচ্ছে ফ্যাটি লিভার যার কারণে অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় উক্ত ব্যক্তিকে। ফ্যাটি লিভার চিকিৎসায় বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা আছে এবং ফ্যাটি লিভার সম্পর্কে অনেকের মধ্যে অনেক ধরনের ভুল তথ্য ঘোরাঘুরি করছে। বর্তমানে বিশ্বে অত্যন্ত চিন্তা জনক একটি রোগ হচ্ছে ফ্যাটি লিভার এবং সেই রোগের সম্পর্কে বিভিন্ন খুঁটিনাটি তথ্য আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা জানতে পারবেন।
ফ্যাটি লিভার হলে কি সমস্যা হয়
সাধারণত ফ্যাটি লিভার হওয়ার বেশ কিছু কারণ আছে। যেমন মনে করুন ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ অনেকের ক্ষেত্রে এই ধরনের আরও কিছু রোগ আছে যার কারণে ফ্যাটি লিভার হতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে দ্রুত ওজন কমাতে গেলে ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় অনেককে পড়তে হয় আবার অনেকের কিছু সমস্যা আছে যেমন ফলে সিসটিক ওভারিয়ান সিনড্রোম এ ধরনের সমস্যার কারণে হতে পারে।
ফ্যাটি লিভার হলে সাধারণত অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে যেমন মনে করুন হঠাৎ করে পেট বড় হয়ে যায়। প্রচন্ড ক্ষুধা পেয়েছে কিন্তু যখন খেতে বসছেন তখন অল্প খাবার খেয়েই আপনাকে উঠতে হচ্ছে তার কারণ হচ্ছে অল্প খাওয়ারে আপনার ক্ষুধা নিবারণ হচ্ছে। এটাই অত্যন্ত জালা যন্ত্রণা এবং প্রচুর পরিমাণে গ্যাস এই ধরনের সমস্যা দেখে বোঝা যায় যে ফ্যাটি লিভার হয়েছে এবং ফ্যাটি লিভার হওয়ার কারণে এই সমস্যাগুলো হতে পারে।
ফ্যাটি লিভার হলে কি খাওয়া উচিত
ফ্যাটি লিভার হলে সবার প্রথমে একজন চিকিৎসকের কাছে গিয়ে আপনাকে পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অবশ্যই আপনাকে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে তার কারণ হচ্ছে আপনি যদি সঠিক খাওয়ার গ্রহণ করতে পারেন এবং সঠিক নিয়ম মেনে তাহলে অবশ্যই ফ্যাটি লিভার সম্পূর্ণ ভালো করা যাবে। ফ্যাটি লিভার ভালো করতে সবার প্রথমে যে সিদ্ধান্ত আপনাকে নিতে হবে সেটা হচ্ছে সকল ধরনের চর্বি এবং তেল খাওয়া বাদ দিতে হবে। এটা সাধারণত অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনের জন্য হয়ে থাকে তাই নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করতে হবে।
শাকসবজির পরিমাণ বেশি খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে যাতে করে এখানে ফ্যাটের পরিমাণ কম থাকে এবং আপনার শরীর আরো বেশি সতেজ থাকে। এছাড়াও শারীরিক ব্যায়াম এবং ফ্যাটি লিভারের কিছু আলাদা ব্যায়াম আছে যেগুলো আপনারা করতে পারেন নিয়মিত যে ব্যায়ামগুলোর মাধ্যমে আপনার এই সমস্যার সম্পূর্ণ দূর হবে।
ফ্যাটি লিভার এর চিকিৎসা
সাধারণত সঠিক সময় যদি এর চিকিৎসা করা হয় তাহলে ওষুধের মাধ্যমে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হওয়া যায়। তবে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো মেডিকেল চিকিৎসার থেকে আপনি বাড়িতে যে চিকিৎসা প্রদান করবেন সেটা। ফ্যাটি লিভার কে ভাল করতে হলে আপনাকে নিজের খাদ্যাভ্যাসের আমল পরিবর্তন করতে হবে। শুধু খাদ্যের পরিবর্তন করতে হবে এটা ভুল ধারণা নিজের জীবনেরও পরিবর্তন করতে হবে অর্থাৎ আপনি একটি সুন্দর লাইফস্টাইলে জীবনযাপন করতে শুরু করবেন।
যেখানে আপনার শরীর এবং মন ভালো থাকে সেখানে সময় দিতে হবে এবং শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে। এবং অবশ্যই কিছুদিন পর পর চেকআপ করাতে হবে আপনার ফ্যাটি লিভারের অবস্থা জানার জন্য এইভাবে আপনি যদি কিছুদিন অতিক্রম করতে পারেন তাহলে দেখবেন আপনার সমস্যা কমে আসতে শুরু করেছে এবং আস্তে আস্তে এভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ হতে পারবেন।