বিলিরুবিনের মাত্রা কত হলে জন্ডিস হয়

সাধারণত এই উপাদান আমাদের শরীরে পরিমাণ বজায় রেখে যদি থাকে তাহলে আমরা কোন সমস্যা বুঝতে পারিনা। কিন্তু কোনো কারণে যদি এর পরিমাণ আমাদের শরীরে বেড়ে যায় তাহলে আমরা বুঝতে পারি এর সমস্যা। এই অবস্থাতে যখন আমরা পরীক্ষা করতে চাই তখন পরীক্ষার একটি মান দেখা যায় এবং সেই মানের উপর নির্ভর করে বোঝা যায় কোনটা স্বাভাবিক অবস্থা এবং কোনটা অস্বাভাবিক অবস্থা।

কারো শরীরে যদি স্বাভাবিক অবস্থায় এই সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই সমস্যার সমাধান করতে হবে কিন্তু তার আগে তাকে জানতে হবে এর স্বাভাবিক মান কত। আপনি যদি বিলিরুবিন পরীক্ষা করেন এবং রক্তে বিলিরুবিনের মাথা যদি ০.৫ থেকে ১.২ মিলিগ্রামের মধ্যে থাকে তাহলে সেটা একেবারে স্বাভাবিক অবস্থা। এইমাত্র যদি ১.৫ মিলিগ্রামের ওপরে চলে যায় তাহলে ধরে নেওয়া হয় এটা হচ্ছে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে এবং যার কারণে জন্ডিস হয়েছে।

জন্ডিস হওয়ার মাত্রা কত

জন্ডিস হওয়ার স্বাভাবিক মাত্রা কত এরকম অনেকেই জানতে চান। সাধারণত যাদের জন্ডিস হয় তাদের ক্ষেত্রে জন্ডিসের একটি পরীক্ষা করাতে হয় এবং সেই পরীক্ষার মাধ্যমে রেজাল্ট পাওয়া যায়। সেখানে যে পরীক্ষা করা হয় সেটা হচ্ছে বিলিরুবিন অর্থাৎ রক্তে বিলিরুবিনের পরিমাণ কেমন আছে সেটা জানা হয়। এই পরীক্ষা করানোর জন্য অবশ্যই রোগীকে প্রস্তুত হয়ে যেতে হয় এবং সেখানে পরীক্ষার যে রেজাল্ট হয় সে রেজাল্টে অবশ্যই উল্লেখ করা থাকে গত এসেছে।

আন্তর্জাতিক যে মান আছে সেই মান অনুযায়ী একজন রোগীর রক্তে বিলিরুবিনের পরিমাণ যদি ০.৫ থেকে ১.২ মিলিগ্রামের মধ্যে থাকে তাহলে সেটা হচ্ছে একেবারেই পারফেক্ট। কিন্তু এর মান কত বেশি হলে জন্ডিস হয়েছে এটা ধারণা করা হয় এরকম প্রশ্ন অনেকেই করেন। এ প্রশ্নের উত্তরে আমরা বলছি যে এর মান যদি এক দশমিক পাঁচ মিলিগ্রামের বেশি হয় অর্থাৎ মানব শরীরে রক্তে বিলিরুবিনের পরিমাণ যদি 1.5 মিলিগ্রামের বেশি হয় তাহলে সেটা জন্ডিস রোগের দিকে নির্দেশ করে।

জন্ডিস পরীক্ষার রেজাল্ট

জন্ডিস পরীক্ষার ক্ষেত্রে অবশ্যই রেজাল্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এমনিতেই জন্ডিস হলে উপসর্গ গুলো খুব ভালোভাবেই বোঝা যায় কিন্তু তারপরও রেজাল্ট জানা টা অত্যন্ত জরুরী তার কারণ হচ্ছে প্রাথমিক পর্যায়ে জন্ডিস কোন রোগ না কিন্তু সেটা যদি গুরুতর পর্যায়ে হয় তাহলে সেটা একজন রোগীর কিডনি নষ্ট করে দিতে পারে একজন রোগীর যকৃত নষ্ট করে দিতে পারে। এর জন্য অবশ্যই পরীক্ষা করতে হয় এবং পরীক্ষা যেটা করানো হয় তার নাম হচ্ছে বিলিরুবিনের টেস্ট।

এ অবস্থাতে শুধুমাত্র রক্ত প্রদান করতে হয় রোগীকে এবং কয়েক ফোটা রক্ত প্রদান করে অপেক্ষা করতে হবে সর্বোচ্চ ১ ঘন্টা লাগবে এই পরীক্ষা করানোর জন্য। এক ঘন্টা পরে যে রেজাল্ট আসবে সেখানে যদি এর মান এক দশমিক পাঁচ মিলিগ্রামের আশে পাশে থাকে তাহলে সেটা স্বাভাবিক জন্ডিস।

নবজাতক এর বিলিরুবিন কমানোর উপায়

নবজাতকের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে চোখ হলুদ এবং গায়ের রং হলুদের মাধ্যমে অনেকে মনে করেন তার জন্ডিস হয়েছে। সাধারণত নবজাতক যখন পৃথিবীতে আসে তখন হঠাৎ করেই তার যকৃতের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায় যার কারণে হঠাৎ করে তার রক্তের বিলিরুবিন বেড়ে যেতে পারে এছাড়াও বাইরের আবহাওয়াতে সে থাকে না বলেও এই বিলিরুবিন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। এক্ষেত্রে বাবা মাকে কোন ধরনের চিন্তা করতে হবে না আপনাকে আজকে আমরা দুইটি পদ্ধতি শিখিয়ে দিচ্ছি যে দুটি পদ্ধতি অবলম্বন করলে বিলিরুবির নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

বাচ্চার পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম নিশ্চিত করুন এটা হচ্ছে প্রথম পদ্ধতি। আর দ্বিতীয় পদ্ধতি হচ্ছে একেবারেই সকালের রোধ অর্থাৎ যদি সূর্য ছয়টার দিকে ওঠে তখন যে রোদ পাওয়া যাবে সেই রোদ আপনাকে 30 মিনিট বাচ্চাকে খাওয়াতে হবে। শুধুমাত্র বাচ্চার নিম্নাঙ্গের দিকে একটি কাপড় দিয়ে ঢেকে রেখে পুরো বাচাকে খালি গায়ে সেই ভোরবেলার প্রথম রোধে আপনি যদি ৩০ মিনিট শুনে রাখতে পারেন তাহলে দেখবেন বাচ্চার এই সমস্যা এমনিতেই সমাধান হয়ে গেছে।