সাধারণত যখন আমাদের শরীরের ওপর প্রচুর পরিমাণে খারাপ প্রভাব পড়ে এবং আমরা যেগুলোকে অবহেলা করি ঠিক সেই সময় আমাদের রক্তে বিলিরুবিনের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। এই অবস্থাতে আমরা পানির পরিমাণ খুব কম খায় এবং সঠিক পরিমাণে রেস্ট করি না যার কারণে এর পরিমাণ বাড়তে পারে। যার কারণে কিছু উপসর্গ দেখা দেয় এবং উপসর্গ গুলো দেখার পরে আমরা বুঝতে পারি আমাদের জন্ডিস হয়েছে তখন আমরা চিকিৎসা সেবা নিতে চাই।
সাধারণত জন্ডিস রোগ হলে যে উপসর্গগুলো দেখা দেয় সেগুলো আমাদের কাছে অত্যন্ত পরিচিত তারপরেও যারা এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে সঠিক তথ্য সম্পর্কে অবগত নন তারা আমাদের এখান থেকে সে তথ্যগুলো সংগ্রহ করতে পারবেন। জন্ডিস রোগে আক্রান্ত হলে কোন কোন উপসর্গ হতে পারে এবং এই রোগের প্রতিকারের উপায় কি সে সম্পর্কে আমাদের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে।
জন্ডিস হলে কি লক্ষণ দেখা দেয়
জন্ডিস হলে বেশ কয়েকটি লক্ষণ দেখা দেয় যে লক্ষণ গুলো খুব ভালোভাবেই বোঝা যায়। জন্ডিসে আক্রান্ত রোগীর প্রস্রাবের রং পরিবর্তন হবে এবং প্রস্তাবের রং হলুদ এবং চোখের রং হলুদ হয়ে যাবে এই দুইটি লক্ষণ সবার প্রথমে দেখা দেবে। এখানেই শেষ নয় জন্ডিসের আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে মুখের ভেতরেও হলুদ রং হয়ে যেতে পারে এবং অনেকের ক্ষেত্রে পুরো শরীরের রং পরিবর্তন হয়ে হলুদ হলুদ মনে হবে মনে হবে তার শরীরে রক্ত কমে যাচ্ছে এরকম কিছু।
প্রচুর পরিমাণে শারীরিক দুর্বলতা এবং অলসতা তৈরি হবে যার কারণে রোগীর খাওয়ার উপর মনোযোগ বসবে না এবং আস্তে আস্তে ক্ষুধা মন্দার সৃষ্টি হবে। অনেক রোগীদের ক্ষেত্রে হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দিতে পারে এবং এটা একেবারে সাংঘাতিক একটি ব্যাপার যেটা কখনো এড়িয়ে যাওয়া যায় না। এরপরে অনেক রোগের বমি বমি ভাব বা বমি হওয়ার প্রবণতা দেখা যায় অনেকে চিকিৎসকের কাছে পেটের ব্যথা নিয়ে হাজির হয়। সব মিলিয়ে এগুলো হচ্ছে জন্ডিসের প্রাথমিক লক্ষণ যেগুলো কখনো এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়।
প্রাথমিক পর্যায়ে জন্ডিস ধরা পড়লে সেটা অতি সাধারণ ব্যাপার এবং সামান্য বিশ্রামের মাধ্যমে সেখান থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।তবে যারা জন্ডিসকে অবহেলা করেন তাদের ক্ষেত্রে লিভারের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা অথবা হেপাটাইটিস বি নামক রোগে আক্রান্ত হওয়া সম্ভাবনা আছে যেটা অত্যন্ত সাংঘাতিক রোগ যার কারণে মৃত্যুবরণ করা সম্ভাবনা অনেক থাকে। তাই কোন কিছুকে অবহেলা না করে সঠিক সময় সঠিক চিকিৎসা করার প্রয়োজন রয়েছে।
জন্ডিস থেকে প্রতিকারের উপায়
জন্ডিস থেকে প্রতিকারের উপায় সম্পর্কে বলতে গেলে বলতে হয় যে জন্ডিসের প্রতিকারের প্রধান নিয়ম হচ্ছে বিশ্রাম করা। এটা নতুন ভাবে বলার কিছু নেই তবে যারা এখন পর্যন্ত এগুলোকে ভুল ধারনা বলে চালিয়ে আসছেন তাদেরকে বলব আপনি একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যেতে পারেন তিনি আপনাকে এই পরামর্শ দেবেন।রক্তে বিলিরুবিন নিয়ন্ত্রণ করতে হলে আপনাকে বিশ্রাম করতে হবে। আপনি যদি আপনার রক্তে বিলু রোগের নিয়ন্ত্রণ করতে চান তাহলে বিশ্রাম করুন এবং বিশ্রামের পরিমাণটা এতটাই জোরালো হবে যে খুব তাড়াতাড়ি বিলিরুবেন কমতে শুরু করবে। এইভাবে আস্তে আস্তে জন্ডিসকে প্রতিকার করা যায়।
অনেকে এই অবস্থাতে বিভিন্ন ধরনের কবিরাজি ঔষধ খেয়ে থাকেন আবার অনেকেই বিভিন্ন ধরনের হোমিও ঔষধ খেয়ে থাকেন তবে এই ওষুধগুলো খাওয়া একেবারেই বেকার বলে মনে হয়। বরঞ্চ আপনি যত ঔষধ খাবেন আপনার পাচন ততো কার্যকর হয়ে উঠবে এবং সেই অবস্থাতে আপনার বিলিরুবিন পুনরায় বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।তবে তাদের উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস আছে সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করার জন্য অবশ্যই ঔষধ খেতে হবে একটু কষ্ট হলেও তাছাড়া উপায় নেই। জন্ডিস রোগে ভুল বোঝাবুঝি নয় জন্ডিসকে সঠিক তথ্য জানুন এবং খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ করে ফেলুন নিজেকে।