সাধারণত জন্ডিসের প্রাথমিক লক্ষণগুলো ধরা পড়লে আমরা যখন চিকিৎসকের কাছে যায় চিকিৎসক অবশ্যই পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে শতভাগ নিশ্চিত হতে চাই জন্ডিস হয়েছে কিনা। তাইতো আমাদের এই টেস্ট গুলো খুব তাড়াতাড়ি করে নেওয়া উচিত এবং এ পর্যায়ে যদি চিকিৎসা করা বিলিরুবিন টেস্ট করতে বলে তাহলে অবশ্যই দেরি না করে বেলি রবিন টেস্ট করাতে হবে।
তবে আজকে এই আর্টিকেল থেকে আমরা যে বিষয়টি জানতে চাচ্ছি সেটা হচ্ছে এই বিলিরুবিন টেস্ট এর মান কত হলে ধরে নেয়া যায় সেটা জন্ডিস। সাধারণত আমরা বিভিন্ন তথ্য থেকে এটা জানতে পেরেছি যে বিলিরুবিনের মান বা ঘনত্ব 1.2 এর নিচে থাকে। তবে যদি এই মান বৃদ্ধি পেয়ে 3.0 এর বেশি হয় তাহলে ধরে নিতে হবে সেটার জন্ডিস হয়েছে। সাধারণত বিভিন্ন ল্যাবে বিভিন্নভাবে এই জন্ডিসের পরীক্ষা করা হয় তাই মানের পার্থক্য দেখা দিতে পারে সে ক্ষেত্রে সেখানে তাদের আদর্শ মান উল্লেখ করা থাকবে।
জন্ডিসের স্বাভাবিক মাত্রা কত
জন্ডিস পরীক্ষা করতে গিয়ে আপনি বুঝতে পারছেন না আপনার জন্ডিস হয়েছে কিনা। অবশ্য এটা বোঝার আপনার অধিকার আছে এবং আপনি যদি জন্ডিসে আক্রান্ত ব্যক্তি হন তাহলে আপনাকে নিজের জন্ডিস নিজেই সহ্য করতে হবে তাই এক্ষেত্রে আপনাকে জানতে হবে কি অবস্থাতে আছে আপনার জন্ডিসের অবস্থা। সাধারণত প্যাথলজিক্যাল ল্যাবে যে পরীক্ষা করা হয় সেই ল্যাবের পরীক্ষার মান যদি ১.২ এর নিচে থাকে তাহলে সেটা একেবারে স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে সেই মান যদি বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং ৩.০ এর বেশি হয় তাহলে সেটা জন্ডিস হয়েছে হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।
আশা করছি বিষয়টি আপনারা ক্লিয়ার ভাবে বুঝতে পারলেন। সাধারণত এই মাল যদি ঠিক থাকে তাহলে অবশ্যই জন্ডিসের চিকিৎসা করা যাবে তবে কিছু কিছু পরীক্ষা আলাদা রয়েছে যেগুলো জন্ডিসের চিকিৎসায় কাজে লাগে সেগুলোর মান আবার ভিন্ন। যদি মনে করেন বিলিরুবিন অস্বাভাবিক মান ধরা পড়ে তাহলে সেই ক্ষেত্রে আরো কিছু টেস্ট করাতে হবে যেমন মনে করুন লিভার ফাংশন টেস্ট থেকে শুরু করে আল্টাসনোগ্রাফি। এছাড়া রক্তের সি বি সি টেস্ট করানো হয় রক্তে কোন ইনফেকশন ছড়িয়েছে কিনা এটা নিশ্চিত করার জন্য। সব মিলিয়ে রোগীর সার্বিক সুস্থতা কামনায় চিকিৎসকেরা তাকে বিভিন্ন ধরনের টেস্ট করতে বলে এবং টেস্টের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে তাকে চিকিৎসা প্রদান করে।
বিলিরুবিন মাত্রা কত হলে জন্ডিস হয়
ফিলিরুবিনের মাত্রা যদি ৩.০ এর বেশি হয় তাহলে অবশ্যই তার জন্ডিস হয়েছে। সাধারণত পরীক্ষার মাধ্যমে এটা নিশ্চিত করা হয় তাই আপনাকে অবশ্যই এটা পরীক্ষা করার জন্য হাসপাতালে আসতে হবে এবং কয়েক ফোটা রক্ত প্রদান করতে হবে এটা পরীক্ষা করার জন্য সিম্পল স্বরূপ। অনেকের মনে অনেক ভয় ভীতি আছে অর্থাৎ অনেকে মনে করেন যে পরীক্ষা করতে গেলে অনেক রক্ত দিতে হয় যার কারণে সে ভয় পায় পরীক্ষা করতে চায় না কিন্তু এটা একেবারেই ভুল ধারণা। আপনি যদি নিজের ভালো চান তাহলে বাড়িতে বসে না থেকে জন্ডিসের লক্ষণগুলো দেখা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে চলে আসুন তার কারণ হচ্ছে জন্ডিস আপনার শরীরে খুব বেশিদিন থাকলে আপনার জন্ডিসের কারণে লিভার ফাংশন নষ্ট হতে পারে।
জন্ডিস কতদিনে ভালো হয়
অনেকেই জানতে চেয়েছেন জন্ডিস কতদিনে ভালো হয় এ প্রসঙ্গে। সাধারণত সঠিক সময় যদি চিকিৎসা করা হয় তাহলে জন্ডিস ১৪ থেকে ২১ দিনের মধ্যে পুরোপুরি ভালো হয়ে যায়। তবে কিছু কিছু রোগীদের ক্ষেত্রে জন্ডিস সহজে শরীর থেকে যেতে চায় না এখানে তাদের গাফেলতি এবং শারীরিক দুর্বলতা দায়ী। সাধারণত তারা এমন একটি জীবন যাপন করে যে জীবন-যাপনে জন্ডিস হওয়া একেবারে স্বাভাবিক ব্যাপার সে সকল রোগীদের ক্ষেত্রে জন্ডিস ভালো হতে একটি দেরি লাগে তাই এখানে সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না কতদিনের মধ্যে জন্ডিস রোগ ভালো হবে।