সাধারণত লিভারের সমস্যা নির্ণয়ের জন্য লিভার ফাংশন পরীক্ষা করা হয়। যারা এই পরীক্ষার নাম সম্পর্কে অবগত নন তারা আমাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে এই পরীক্ষার নাম সম্পর্কে অবগত হতে। লিভার ফাংশন এই পরীক্ষাগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একজন রোগীর ক্ষেত্রে। লিভারের যেকোনো ধরনের সমস্যা হলে সাধারণ একটি রক্তের টেস্টের মাধ্যমে যে সমস্যা ধরা পড়ে সেটা হচ্ছে লিভার ফাংশন পরীক্ষা। সাধারণত এই পরীক্ষা আবিষ্কার হওয়ার পরে মানুষের জন্য একটি বড় ধরনের উপকার হয়েছে যেটা হয়তো এই পরীক্ষা আবিষ্কার হওয়ার আগে হতো না।
লিভার ফাংশন পরীক্ষার ক্ষেত্রে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সঠিক সময়ে এই পরীক্ষা করানো। সাধারণত এই পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত ভাবে বোঝা যায় যে একজন রোগীর লিভারে সমস্যা হয়েছে তবে কি সমস্যা হয়েছে সেটা আলাদাভাবে বুঝতে হলে আলাদা পরীক্ষা করাতে হবে। আমাদের এই আজকের আর্টিকেলে শুধুমাত্র লিভার ফাংশন পরীক্ষা নিয়ে আলোচনা করা হবে আশা করছি এই লিভার ফাংশন পরীক্ষার খুঁটিনাটি তথ্য আপনারা আমাদের এখান থেকে জানতে পারবেন। চলুন জানার চেষ্টা করি লিভার ফাংশন পরীক্ষা সম্পর্কে খুঁটিনাটি অনেক তথ্য।
লিভার ফাংশন পরীক্ষা কিভাবে করে
লিভার ফাংশন পরীক্ষা কিভাবে করে? এরকম প্রশ্নের উত্তরে অনেকে জানতে চেয়েছেন লিভার ফাংশন পরীক্ষা সম্পর্কে বিষয়টি একেবারেই সহজ। সাধারণত রক্তের মাধ্যমে মূলত এই লিভার ফাংশন পরীক্ষা করা হয় এর জন্য অন্য কিছুর প্রয়োজন পড়ে না। যদি লিভারের কোন সমস্যা বা কোন উপসর্গের মাধ্যমে চিকিৎসকরা এটা মনে করেন লিভারের সমস্যা হয়েছে তাহলে তাকে লিভার ফাংশন পরীক্ষা করাতে বলবেন।
এর জন্য রোগীকে সরাসরি ল্যাবে উপস্থিত হতে হবে এবং ল্যাবে সেখানে ব্লাড স্যাম্পল প্রদান করতে হবে। এরপরে খুব অল্প সময়ের মধ্যে লিভার ফাংশন পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশ করা হয় এটা করতে খুব বেশি ঝামেলা পোহাতে হয় না।
লিভার ফাংশন পরীক্ষার প্রস্তুতি
আমরা অবশ্যই অবগত আছি যে বিভিন্ন ধরনের রক্তের পরীক্ষার ক্ষেত্রে প্রস্তুতির প্রয়োজন রয়েছে তবে লিভার ফাংশন এমন একটি পরীক্ষা যেখানে কোন ধরনের প্রস্তুতির প্রয়োজন নেই। অর্থাৎ আপনি যেই অবস্থানে আছেন সেই অবস্থানে থেকে লিভার ফাংশন পরীক্ষা করাতে পারেন এটা আপনার ব্যাপার। কিছু কিছু রোগীর খেতে হঠাৎ করে সমস্যা দেখা যাওয়ার কারণে লিভার ফাংশন পরীক্ষা করা হয় এটাও একেবারেই স্বাভাবিক ব্যাপার।
সহজ ভাষায় বলতে গেলে লিভার ফাংশন অর্থাৎ এসজিপিটি পরীক্ষা করার ক্ষেত্রে কোন ধরনের পূর্ব প্রস্তুতির প্রয়োজন নেই একজন রোগী যেই অবস্থাতে আছে সেই অবস্থাতে ব্লাড স্যাম্পল দিতে পারবে এই পরীক্ষা করানোর জন্য। তাই আপনারা নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন এবং যেকোনো সময় এই পরীক্ষা করানোর জন্য ব্লাড স্যাম্পল দিতে পারেন।
লিভার ফাংশন পরীক্ষা খরচ কত বাংলাদেশ
লিভার ফাংশন পরীক্ষার খরচ সম্পর্কে বলতে গেলে বলতে হয় যে এটা অত্যন্ত মূল্যবান একটি পরীক্ষা এবং এই পরীক্ষার কাছে যে পরীক্ষার খরচ ধরা হয়েছে সেটা অতি নগণ্য। সাধারণত যারা মনে করেন লিভার ফাংশন পরীক্ষা করতে অনেক বেশি খরচ হয় তাদেরকে বলব এটা করতে কোন খরচি হয় না এক কথায়। আপনি যদি সরকারি হাসপাতালগুলোতে এই পরীক্ষা করেন তাহলে আপনার খরচ হতে পারে ২৫০ টাকা থেকে 350 টাকার মতবেসরকারি যে প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে সেই প্রতিষ্ঠানের অবস্থান এবং প্রতিষ্ঠানের মানের উপর ভিত্তি করে এই পরীক্ষা করাতে সেখানে খরচ হতে পারে ৪৫০ টাকা থেকে ৫৫০ টাকার মতো।
সব মিলিয়ে এরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষা তাই আপনি যদি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন এই পরীক্ষা করাবেন তাহলে অবশ্যই দ্রুত এই পরীক্ষা করে ফেলুন। এই পরীক্ষা আপনাকে সুস্থ ভাবে জীবন যাপন করতে অনেক উপকার করবে তাই সামান্য টাকার বিনিময়ে এই পরীক্ষা করে নিয়ে নিজে সুস্থ থাকুন।