লো প্রেসার এর লক্ষণ ও প্রতিকার

হঠাৎ করে যদি কারো শরীরে লো প্রেসার দেখা যায় তাহলে সেটা সত্যিই দুশ্চিন্তার কারণ। আমাদের রক্তচাপ আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এ রক্তচাপ যদি নিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে থাকে তাহলে আমাদের হৃদপিণ্ড থেকে রক্ত শরীরের প্রত্যেকটি শিরা-উপশিরায় পরিমাণ পর্যায়ে যেতে পারবে। রক্তের এই গতি যদি বেশি হয় তাহলেও সেটা আমাদের জন্য ক্ষতিকারক এবং রক্তের এইচ গতি যদি কম হয় তাহলে সেটা আমাদের জন্য ক্ষতিকারক।

সাধারণত রক্তের এই স্বাভাবিক মাত্রা কোন সময় অনিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে চলে যেতে পারে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যখন আমাদের পারিবারিক দায়িত্ব বেড়ে যায় এবং যখন আমরা এই পৃথিবীর মায়াতে আবদ্ধ হয়ে যায় তখন কেন জানিনা কোথায় থেকে হুট করে আমাদের মাথায় দুশ্চিন্তা চলে আসে। আমরা নিজের পরিবারের সবকিছু ঠিক করতে গিয়ে নিজের শরীরের উপর যত্ন নেওয়া ভুলে যায় এবং এই ভাবেই আস্তে আস্তে রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাঁধে। এখানে লো ব্লাড প্রেসার অর্থাৎ নিম্ন রক্তচাপ অনেক বড় একটি বাধা। আজকে আমরা নিম্ন রক্তচাপ সম্পর্কে জানব।

কিভাবে বুঝবেন লো প্রেসার হয়েছে

যদি ব্লাড প্রেসার লো হয়েছে এটা বুঝতে পারেন তাহলে সেটা সত্যিই ভালো দিক। তাপের শরীরে কোন কোন উপসর্গ দেখলে এটা বোঝা যায় সে সম্পর্কে এখন আলোচনা করব। সবার প্রথমে যে জিনিসটা দেখা যায় সেটা হচ্ছে শারীরিক দুর্বলতা। হঠাৎ করে যদি শারীরিক দুর্বলতা বৃদ্ধি পায় তাহলে সেটা ব্লাড প্রেসার কমে যাওয়ার একটি প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে।

ঘুম কম হয়ে যাওয়া ব্লাড প্রেশার কমে আসার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। স্বাভাবিকভাবেই যে ঘুম হতো সেই ঘুমের চেয়ে যদি ঘুম কমে আসতে শুরু করে এবং সেটা নিয়মিত হতে থাকে তাহলে সেটা ব্লাড প্রেসার কমে যাওয়ার আরেকটি লক্ষণ। ব্লাড প্রেসার কমে যাওয়ার আরেকটি লক্ষণের মধ্যে ঘন ঘন জ্বর আসা একটি হতে পারে। এ অবস্থাতে রোগীর শরীরে আরো কোন সমস্যা দেখা যেতে পারে।

ব্লাড প্রেসার কমে আসছে এমন রোগীদের ক্ষেত্রে মাথা ঘোরার প্রবণতা প্রায় লক্ষ্য করা যায়। এবং মাথা ঘোরার কারণে সেই রোগী উঠে দাঁড়াতে বা হাঁটাচলা করতে অনেক সময় সমস্যায় পড়তে পারে। এগুলো হচ্ছে ব্লাড প্রেসার কমে আসার প্রাথমিক লক্ষণ যেগুলো একইসঙ্গে ধরা পড়লে অবশ্যই আপনাকে একবার ব্লাড প্রেসার মেপে চেক করে নেওয়া উচিত।

লো প্রেসার হওয়ার কারণ

রক্তচাপ আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত সাংঘাতিক একটি বিষয়। এই রক্তচাপ যদি আমরা সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ না করতে পারি তাহলে সেটা আমাদের শরীরের বড় ধরনের রোগের কারণ হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ যতটা সাংঘাতিক নিম্ন রক্তচাপ ততটা সাংঘাতিক না হলেও এটা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকারক।

সাধারণত যে কারণে এই রক্তচাপ হতে পারে তার মধ্যে একটি কারণ হচ্ছে খাওয়া দাওয়া কম করা। খাওয়া-দাওয়া কম করার পেছনে কিছু কারণ থাকতে পারে যেমন মনে করুন হঠাৎ করে এমন কোন অসুখে পড়া যে অসুখের কারণে খেতে ভালো লাগছে না এমন কোন অসুখ হলে উক্ত ব্যক্তি যদি খাওয়া দাওয়া একেবারেই কমিয়ে দেয় তাহলে তার রক্তচাপ কমে আসতে পারে।

এছাড়া অন্য রোগে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে ঔষধ ম্যানেজমেন্ট যদি ভুল হয় অর্থাৎ যেটার প্রয়োজন নেই সেই ওষুধ দীর্ঘদিন ধরে খাওয়া এবং অনেক ওষুধ খাওয়ার কারণেও সাধারণত এই নিম্ন রক্তচাপ তৈরি হতে পারে।

রক্তশূন্যতা নিম্ন রক্তচাপের আরেকটি বড় কারণ এবং এটা শুধুমাত্র নিম্ন রক্তচাপের কারণ নয় এটা আরো বড় কোন রোগের কারণ হতে পারে। তাই এই সমস্যাগুলো সমাধান করার চেষ্টা করতে হবে যাতে আমরা আমাদের রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। আর আমরা যদি রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি তাহলে অবশ্যই বিভিন্ন ধরনের বড় সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারব।