M-kast 10 এর কাজ কি

আপনি ওষুধ খাচ্ছেন কিন্তু জানেন না সেটা কেন খাচ্ছেন এটা আপনার দুর্বলতা। আমি হলে কখনোই কোনো কিছু না জেনে কোন ওষুধ খেতাম না। এখন যদি কেউ প্রশ্ন করেন এই ওষুধ সম্পর্কে কোথায় কিভাবে জানব তাহলে বলবো আপনি আরও বেশি বোকা। আমরা রয়েছি আপনাদের পাশে সবসময় যেখান থেকে আপনারা ঔষধ সম্পর্কে খুঁটিনাটি সকল তথ্য জানবেন। আজকে যে ট্যাবলেট সম্পর্কে আলোচনা করছি সেটা ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের মন্টিলুকাস্ট সোডিয়াম। এই ট্যাবলেটের তারা নামকরণ করেছে M-kast 10 ট্যাবলেট।

মূলত শুধুমাত্র যে ১০ মিলিগ্রামের ট্যাবলেট সবসময় বাজারে পাওয়া যায় এমন নয় এর পাশাপাশি আপনি চার মিলিগ্রামের ট্যাবলেট এবং পাঁচ মিলিগ্রামের ট্যাবলেট পাবেন। আমরা এখন জানার চেষ্টা করব সঠিক কোন রোগের বিরুদ্ধে এটা নির্দেশিত হয় অর্থাৎ কোন কোন সমস্যার বিরুদ্ধে এটা কাজ করতে পারে এবং এর পাশাপাশি কি পরিমানে এই ঔষধ খেতে হবে। চলুন আমরা এই ঔষধ সম্পর্কে আরো বহু ধরনের বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা করি।

M-kast 10 কি কাজ করে

মন্টিলুকাস্ট সোডিয়াম সাধারণত এমন এক ধরনের ঔষধ যেটা আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের এজমার আক্রমণ প্রতিরোধে ব্যবহার করা হয়। মনে করুন ডাক্তারের কাছে এমন কিছু রোগী গেছে যাদের শরীরে উপসর্গ দেখে বোঝা যাচ্ছে যে সাধারণত এজমার কারণে তাদের এই সমস্যা হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই M-kast 10 ট্যাবলেট খাওয়ার অনুমতি ডাক্তার দিবেন। এছাড়াও অ্যাজমার ক্রনিক চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় এই একই ট্যাবলেট তাই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এজমা চিকিৎসায় সঠিকভাবে এই ট্যাবলেট এর ব্যবহার করুন অবশ্যই আপনি এর সুফল পাবেন।

এর পাশাপাশি ব্যায়াম জনিত শ্বাসনালীর সংকোচন ও প্রতিরোধে এই ঔষধ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনার যদি এই ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে দেরি না করে ঝটপট একজন ডাক্তারের কাছে গিয়ে সঠিক পদ্ধতিতে ওষুধ খাওয়া শুরু করুন অবশ্যই আপনি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হতে পারবেন। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা যেটা আমাদের সকলের হতে পারে সেটা হচ্ছে অ্যালার্জিক রাইনাইটিস।

এলার্জিক রাইনাইটিস এর উপসর্গ যদি কোন শরীরে পাওয়া যায় তাহলে অবশ্যই তাকে M-kast 10 ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দিবেন একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। আপনি যদি এমন কোন সমস্যা নিয়ে ডাক্তারের কাছে যান যেখানে উপসর্গ দেখে বোঝা যাচ্ছে মৌসুমী এলার্জিক রাইনাইটিস অথবা পেরিনিয়াল এলার্জিক রাইনাইটিস রোগের মধ্যে যেকোন একটি এবং ডাক্তারেরা আপনাকে দেখার পরে যদি প্রেসক্রিপশনে এই M-kast 10 না লিখে তাহলে মনে করবেন ডাক্তার ভুল করেছে। তার কারণ এই ওষুধ ছাড়া এই রোগের কোন চিকিৎসায় পরিকল্পনা করা যায় না।

M-kast 10 খাওয়ার সঠিক মাত্রা

সাধারণত প্রাপ্তবয়স্ক এবং কিশোর কিশোরীদের হাঁপানি ও মৌসুমী এলার্জিক রাইনাইটিস রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে M-kast 10 ট্যাবলেট ১০ মিলিগ্রাম প্রতিদিন একবার খাওয়াতে হবে। সাধারণত মন্টিলুকাস্ট সোডিয়াম এর প্রতিদিনের স্বাভাবিক মাত্রা হচ্ছে 10 মিলিগ্রাম এর বেশি কোনোভাবেই খাওয়ানো যাবে না প্রয়োজনে এর থেকে কম শিশুদের খাওয়াতে হবে। শিশুদের ক্ষেত্রে আপনি যদি সতর্কতা অবলম্বন না করেন তাহলে কখনোই সফল হতে পারবেন না তাই অবশ্যই শিশুদের ক্ষেত্রে সব সময় একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আপনাকে ঔষধ খেতে হবে। উপরে উল্লেখিত যেকোনো ধরনের সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য মন্টিলুকাস্ট সোডিয়াম ৫ মিলিগ্রাম থেকে দিনে সর্বোচ্চ ১০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত ব্যবহার করা যেতে পারে।

M-kast 10 দাম ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

বেশ কয়েক ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে তার মধ্যে সাধারণ গুলো হচ্ছে পরিপাকতন্ত্রের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ঊর্ধ্ব স্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ। গুরুতর যেমন স্নায়বিক যন্ত্রণা দুশ্চিন্তা হওয়া পেশির বেদনা অনেক সময় অস্বাভাবিক চিন্তাভাবনা বা হতাশা হতে পারে। ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড এর M-kast 10 ট্যাবলেটের বর্তমান দাম 12.05 টাকা।