সাধারণত কিডনি রোগের চিকিৎসা একটি দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা তাই এখানে কোন ঔষধের নাম আলাদাভাবে উল্লেখ করা যাবে না যে ঔষধ খেলে কিডনি রোগ থেকে পুরোপুরি মুক্তি পাওয়া যায়। সাধারণত রোগের শারীরিক অবস্থা এবং কিডনি র অবস্থার উপর নির্ভর করে মূলত কিডনির ঔষধ লেখা হয়। কিডনি রোগ এমন একটি রোগ যেটা ছোট থেকে আস্তে আস্তে বড় হয় যেহেতু বাইরে থেকে কোন কিছু বোঝার উপায় নেই তাই ছোট অবস্থাতে কোন কিছু আমরা ধরতে পারি না।
এর জন্য অবশ্যই প্রয়োজন পড়বে ভালো এবং উন্নত মানের চিকিৎসা। কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগীদের সবার প্রথমে শারীরিক অবস্থা দেখতে হবে। তার কারণ হচ্ছে এই রোগের সঙ্গে আরও অন্যান্য রোগ ট্রান্সক্রিপশন তাই এই বিষয়ে চিকিৎসকের সুখ পরামর্শ অত্যন্ত প্রয়োজন রয়েছে। সঠিক পরামর্শ করতে পারলে অবশ্যই এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। যদি দেরি হয়ে যায় তাহলে এই ক্ষেত্রে এই রোগ থেকে পুরোপুরি মুক্তি পাওয়ার কোন উপায় নেই।
কিডনি রোগের লক্ষণ
সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপনের মাঝে যদি কোন অস্বাভাবিক জিনিস আমাদের শরীরে হয় তাহলে অবশ্যই আমরা সেটা উপলব্ধি করতে পারব। যেকোনো ধরনের সমস্যা শরীরের বাইরে থেকে বোঝা না গেলেও যার শরীর সে অবশ্যই কিছু কিছু লক্ষণের মাধ্যমে বুঝতে পারবে কি ধরনের সমস্যা হয়েছে। কিডনি রোগের কিছু বিশেষ লক্ষণ রয়েছে আপনারা যদি একটু গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে পারেন তাহলে অবশ্যই এই লক্ষণগুলো সম্পর্কে আগে থেকে ধারণা পাবেন।
কিডনি রোগের প্রধান লক্ষণ হচ্ছে প্রস্রাবের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা। তবে প্রস্রাবে সমস্যা হলেই যে কিডনির সমস্যা এটা ভুল ধারণা প্রস্রাবের ইনফেকশনের কারণে প্রায়ই বিভিন্ন মানুষের প্রস্রাবের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। কিডনি জটিল রোগ সেই রোগের কারণে প্রস্রাবে বিভিন্ন ধরনের জ্বালাপোড়া এবং প্রস্রাব থেকে দুর্গন্ধ এবং ঘনঘন প্রস্রাবের বেগ পাওয়া অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত বের হওয়ার মতন প্রবণতা দেখা দিতে পারে।অনেক রোগীর ক্ষেত্রে কোমরে ব্যথা ব্যাপক আকার ধারণ করতে পারে কিডনির জন্য। অনেকের কিডনি ব্যথা থেকে শুরু করে পাকস্থলীর ব্যথা বা বমি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। কিডনি রোগ থেকে পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার জন্য এই লক্ষণগুলো অবশ্যই আপনাকে ফলো করতে হবে।
কিডনি রোগ থেকে মুক্তির উপায়
কিডনির রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার প্রাকৃতিক বা ঘরোয়া কোন উপায় নেই। তবে হ্যাঁ একটা বিষয় নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি যদি আপনি সুস্থ থাকার সময়ে নিজের কিডনির যত্ন রাখতে পারেন তাহলে কখনোই কিডনি রোগে আক্রান্ত আপনি হবেন না। এর জন্য সবার প্রথমে যে কাজটি আপনাকে করতে হবে সেটা হচ্ছে প্রতিদিন পরিমাণ মতো পানি পান করতে হবে অর্থাৎ প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ২.৫ লিটার থেকে ৩.৫ লিটার পানি প্রতিদিন খেতে হবে।এছাড়াও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সব সময় সচেতন থাকতে হবে অর্থাৎ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ না হলে সেটা আপনার জন্য অনেক বড় একটি ক্ষতির কারণ হতে পারে যার কারণে আপনার কিডনি ড্যামেজ হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন আপনার কিডনিকে ভালো রাখতে আপনাকে সাহায্য করবে।
কিডনি রোগের পরীক্ষার নাম
কিডনি রোগে সাধারণত যে পরীক্ষা করা হয় তার নাম হচ্ছে সিরাম ক্রিয়েটিনিন। প্রাথমিকভাবে এই পরীক্ষা করানোর মাধ্যমে কিডনিজনিত কোন সমস্যা থাকলে সেটা ধরা পড়ে। এখন অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন এই পরীক্ষা কোথায় করানো যাবে। আপনার শরীরে যদি কিডনির সমস্যার কোন লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে আপনাকে একজন কিডনি চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে তিনি আপনাকে সব কিছু বুঝিয়ে দিবেন কিভাবে কি পরীক্ষা কখন করতে হবে। অসুস্থ হয়ে গেলে দুশ্চিন্তা মানুষের মাঝে বিরাজ করে তাই চেষ্টা করবেন সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা রেখে যেন সব সময় দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকতে পারেন।