হঠাৎ করে যদি কারো এমন সমস্যা ধরা পড়ে যে সমস্যা দেখে বোঝা যাচ্ছে তার রক্তে হিমোগ্লোবিন কমেছে তাহলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়া মানে সেটা রক্তশূন্যতার লক্ষণ তাই কোনভাবেই এই অবস্থাতে বাড়িতে বসে থাকা যায় না চেষ্টা করতে হবে জানো সঠিক চিকিৎসা নেওয়া হয়। রক্তের হিমোগ্লোবিন নিয়ন্ত্রণে অবশ্যই কিছু ঔষধ আছে যে ঔষধ গুলো খাওয়ার ফলে রক্তে হিমোগ্লোবিন ঠিক থাকবে।
সাধারণত বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং বিভিন্ন ধরনের ঔষধ দেওয়া হয় এটা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। ফলিক অ্যাসিড ট্যাবলেট ব্যবহার করা হয় এই ক্ষেত্রে এবং এর সঙ্গে ব্যবহার করা হয় ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। আমাদের রক্তে যে লাল রক্ত কণিকা রয়েছে এই ফলিক অ্যাসিড সেটাকে তৈরি করতে সাহায্য করে। এছাড়াও হেমোফিক্স নামক একটি ক্যাপসুল রয়েছে যেই ক্যাপসুল ব্যবহারের ফলে খুব অল্পদিনের মধ্যে রক্তে হিমোগ্লোবিন এর মাত্রা স্বাভাবিক অবস্থানে চলে আসে। তবে এই ক্ষেত্রে শুধু ওষুধের অপর নয় আপনাকে খাবারের ওপর নির্ভরশীল হতে হবে।
রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির হোমিও ঔষধ
রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির অবশ্যই কিছু হোমিও ঔষধ আছে কিন্তু হোমিও ঔষধের গোপনতা অনেক বেশি থাকায় এটা বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকতে পারে। আপনারা যারা রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির জন্য হোমিও ঔষধের ওপর নির্ভরশীল তাদের অনুরোধ জানাচ্ছি অবশ্যই একজন এমন চিকিৎসকের কাছে যাবেন যিনি হোমিও বিষয়ে পড়াশোনা করে ডিগ্রী অর্জন করেছেন। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সব থেকে বেশি সমস্যা হলো ঔষধারে যারা চিকিৎসা করে তাদের ৯৯ পার্সেন্ট লোক কোন ধরনের পড়াশোনা না করে এটা করে।
সামান্য দুই একটা বই পড়ে কোন শিক্ষা গ্রহণ করে যদি সেটা চিকিৎসা দেওয়া হয় তাহলে সেটা অবশ্যই সঠিক নয়। অবশ্যই এই ক্ষেত্রে ওষুধের ব্যবহারের ফলে হিমোগ্লোবিন নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে তবে অবশ্যই সব সময় চোখ কান খোলা রাখতে হবে এবং সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে। যাতে করে কোন ধরনের সমস্যা না হয়।
হিমোগ্লোবিন কম হওয়ার কারণ
হিমোগ্লোবিন কম হওয়ার বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা হতে পারে। সাধারণত হিমোগ্লোবিন কম হওয়ার পেছনে দায়ী করা হয় শারীরিক দুর্বলতা এবং এই শারীরিক দুর্বলতা যদি দীর্ঘদিন ধরে থাকে তাহলে সেটা অবশ্যই হিমোগ্লোবিন কমার কারণ। হঠাৎ করে যদি কারো রক্তে ইনফেকশন দেখা যায় তাহলে সে কারণে তার হিমোগ্লোবিন কমতে পারে। এছাড়াও হিমোগ্লোবিন কমার আরেকটি কারণ হচ্ছে অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হওয়া যার কারণে তার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং হিমোগ্লোবি উৎপন্ন হওয়া বন্ধ হয়ে যায়। যেকোনো ধরনের অসুখ-বিসুখ এবং যেকোনো ধরনের সমস্যা যদি শরীরে থাকে তাহলে স্বাভাবিকভাবেই তার শরীরে হিমোগ্লোবিন কমতে পারে।
হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি সমস্যা হয়
হিমোগ্লোবিন কমে গেলে সাধারণত যে সমস্যা হয় তার মধ্যে সবথেকে বড় ধরনের সমস্যা হচ্ছে রক্তশূন্যতা। রক্ত আমাদের শরীরের কতটা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সেটা আমরা সকলেই জানি সেই রক্ত যদি কোন ধরনের সমস্যা তৈরি হয় তাহলে অবশ্যই সেটা আমাদের জন্য বড় ধরনের ধাক্কা। সাধারণত রক্তশূন্যতায় পড়লে যে কোন ধরনের সমস্যা আরো বেশি হয় তার কারণ হচ্ছে এই অবস্থাতে সেই রোগের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকে এবং আরো বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হয়।
হিমোগ্লোবিন কমে গেলে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যাতে রোগের সঠিক পরিচর্যা নেওয়া হয় তা না হলে যেকোনো ধরনের সমস্যাই হতে পারে। ঘুম কমে যাওয়া থেকে শুরু করে খাওয়ার প্রতি আগ্রহ কমে যাওয়া হঠাৎ করে রোগীর ওজন কমে যাওয়া এবং চেহারা ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়ার মতন সমস্যাও তৈরি হতে পারে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার কারণে। এছাড়াও আরো অন্যান্য সমস্যাগুলো অবশ্যই পর্যবেক্ষণ করতে হবে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার কারণে মূলত কি কি সমস্যা হতে পারে।