যাদের কিডনিতে সমস্যা হয়েছে তাদের ক্রিয়েটি নিন বৃদ্ধি হওয়া একেবারে স্বাভাবিক ব্যাপার। এটা যদি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেতে থাকে তাহলে যেকোনো সময় যেকোনো ধরনের সমস্যা হতে পারে। এ সমস্যাগুলো একসময় মৃত্যুর কারণ হতে পারে তাই আগে থেকে এই বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত। যাদের কিডনির সমস্যা ধরা পড়েছে তাদের অবশ্যই কিছুদিন পর পর পরীক্ষা করেছে করে নেওয়া উচিত তাদের অবস্থা কেমন আছে।
এখানে ওষুধের মাধ্যমে ক্রিয়েটিনিন নিয়ন্ত্রণ করার ব্যবস্থা আছে। তবে সরাসরি এমন কোন ঔষধ পাওয়া যাবে না যেখানে এটা সরাসরি নিয়ন্ত্রিত হবে। সাধারণত কিডনিতে যে সমস্যা হয়েছে সেই সমস্যা সমাধানে ওষুধ দেওয়া হয় এবং সেই ওষুধে যদি কাজ হয় তাহলে এমনি এমনি এটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। আলাদাভাবে যারা ঔষধ করছেন তাদেরকে বলব যে সমস্যার কারণে বৃদ্ধি পেয়েছে সেই সমস্যার সমাধান করলেই এটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। আশা করছি বিষয়টি আপনারা বুঝতে পেরেছেন।
ক্রিয়েটিনিন কমানোর প্রাকৃতিক উপায়
প্রাকৃতিক উপায়ে কমানোর মধ্যে বলতে গেলে সবার প্রথমে যেটা পড়ে সেটা হচ্ছে খাবার। এমন কিছু খাবার আছে যে খাবারগুলো নিয়মিত খাবার ফলে শরীর অনেক সুস্থ হয় এবং শরীরের যে রোগ গুলো থাকে সেগুলো নিয়ন্ত্রিত হয়। খাবারের মধ্যে রয়েছে অ্যাপেল সিড ভিনেগার। অ্যাপেল সিড ভিনেগার অন্যতম একটি পুষ্টিকর জিনিস এ যেটা নিয়মিত আপনি যদি আপনার খাবার তালিকায় রাখতে পারেন তাহলে এখান থেকে আপনি অনেক বেশি উপকার পাবেন এবং আপনার রক্তের ক্রিয়েটিনি নিয়ন্ত্রণ হবে। প্রতিদিন এক গ্লাস হালকা কুসুম গরম পানির সঙ্গে এক চা চামচ অ্যাপেল সিড ভিনেগার মিশিয়ে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
এর পাশাপাশি এমন কিছু খাওয়ার আপনাকে খেতে হবে যেগুলো আপনার কিডনির সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণ করে একেবারে হালকা খাবার গুলো খেতে পারলে খুব ভালো। নরম করে ভাত খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে এবং তরকারিতে অতিরিক্ত পরিমাণে মসলা অতিরিক্ত পরিমাণে ঝাল এবং অতিরিক্ত পরিমাণে তেল বর্জন করতে হবে। প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ ক্লাস পানি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন যেটা আপনার কিডনিকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করবে এবং এর ফলে আপনার রক্তের ক্রিয়েটিনিন এমনি কমে যাবে। এছাড়াও আপনি কিছু ব্যায়াম করতে পারেন যে সম্পর্কে নিজে আলোচনা করা হচ্ছে।
ক্রিয়েটিনিন কমানোর ব্যায়াম
কিডনির যে কোন ধরনের সমস্যা হলেই ব্যায়াম করা যাবে এমন নয় কিডনির এমন কিছু সমস্যা আছে যেগুলো ব্যায়াম করার ফলে আরো বেশি বৃদ্ধি পেতে পারে। সাধারণত যাদের কিডনিতে পাথর হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু ব্যায়াম আছে যেগুলো প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসকেরা রোগীদের করতে বলেন। তার কারণ হচ্ছে এই ব্যায়ামগুলোর মাধ্যমে তার কিডনিতে থাকা পাথরগুলো নিজে থেকে অপসারণ হয়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে তাই এই বিষয়গুলো সেখানে উঠে আসে।
ক্রিয়েটিনিন কত হলে ডায়ালাইসিস করতে হয়
কিডনির অনেক ধরনের রোগ আছে। রোগগুলোর ধরন এবং বৈশিষ্ট্য যেমন আলাদা এগুলোর চিকিৎসা পদ্ধতিও প্রত্যেকটা আলাদা আলাদা। কিডনির পাথর থেকে শুরু করে কিডনিতে ইনফেকশন এবং অন্যান্য যে সমস্যা গুলো বেশি হয়ে থাকে সেগুলো যদি প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা না পড়ে তাহলে যেকোনো সময় বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়। এগুলো থেকে কিডনি ড্যামেজ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে আর এই অবস্থাতে কিডনিতে ডায়ালাইসিস করতে হয়।
কিডনি ডায়ালাইসিস এর ক্ষেত্রে একটি পরীক্ষা নিয়মিত করা হয় আর সেটা হচ্ছে ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষা। এই পরীক্ষার মান যদি পাঁচ পয়েন্টের বেশি থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়ালাইসিস করা যেতে পারে। তবে এটা শারীরিক অবস্থা এবং অন্যান্য বিষয়গুলো বিবেচনায় আরো বেশি হলেও করা যেতে পারে। তবে কিডনি এমন একটি অঙ্গ যেটা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তাই এক্ষেত্রে কোন ধরনের অবহেলা বা কোন ধরনের কোন ভুল পদক্ষেপ নেওয়া উচিত হবে না।