নারী এবং পুরুষ উভয়ে এখন মলদ্বারের রক্ত পড়া সমস্যা নিয়ে নানা রকম ভাবে ভুগছেন। এই সকল সমস্যার জন্য বর্তমানে চিকিৎসা রয়েছে কিন্তু অনেক মানুষ আছে যারা ডাক্তারের কাছে গিয়ে এই সকল সমস্যাগুলো বলতে চায় না। তবে মলদ্বারের এই রক্ত পড়া সমস্যা থেকে মানুষের অনেক বড় সমস্যা হতে পারে যেমন ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে যেতে পারে সেজন্য এই বিষয়টার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে এবং বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের মাধ্যমে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
যখন মলদ্বার দিয়ে রক্ত পড়ে তখন নানা রকম সমস্যার কারণেই হতে পারে যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে অনেক সময় মলদ্বারে দেয়ালের পর্দা ফেটে যায় যা থেকে ক্ষত সৃষ্টি হয় এবং রক্তক্ষরণ হতে থাকে। এমন সময় যদি সঠিক চিকিৎসা না নেয়া যায় তাহলে জটিলতা আরো বাড়তে পারে। মলদ্বারে দেওয়ালের পাতলা প্রথম আস্তর ফেটে বাচিরে যখন ক্ষতের সৃষ্টি হয় সেই ক্ষতকে এনাল ফিসার বলা হয়। মলত্যাগের সময় যখন কোষ্ঠকাঠিন্য সৃষ্টি হয় তখন ক্ষতের সৃষ্টি হয়ে এনাল ফিশারের সূচনা হয়। মলতাকে ব্যথা ও রক্তক্ষরণ এনাল ফিশারের প্রথম প্রধান উপসর্গ।
তাই যখন আপনার এমন সমস্যা দেখা দিবে তখন আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। সাধারণত ছোট বাচ্চাদের অ্যানাল ফিসার হয়ে থাকে তবে বর্তমানে নারী এবং পুরুষ সবারই এই সমস্যাটি অধিক দেখা দিচ্ছে। অনেক সময় নারীরা এ সকল সমস্যা লুকিয়ে রাখে এবং ডাক্তারের কাছে যায় না চিকিৎসা গ্রহণ করে না এর থেকে আস্তে আস্তে এত বড় আকার ধারণ করে যে শেষ পর্যন্ত অপারেশন ছাড়া এ রোগ ভালো করা সম্ভব হয় না। তবে এই সমস্যাগুলোর জন্য যদি অল্পতেই ডাক্তারের কাছে যাওয়া যায় তাহলে খুব তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যায়।
বর্তমানে এ ধরনের সমস্যার অনেক বেশি চিকিৎসার ব্যবস্থা বের হয়েছে যা অনেক বেশি কার্যকরী। কি কি উপায়ে আপনি এই রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে পারেন তা হলো স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য অভ্যাস ও জীবনযাপনে কিছুটা সহজ হতে হবে যেমন আপনাকে নিয়মিত শাকসবজি খেতে হবে এবং প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে। আপনাকে নিয়মিত প্রতিদিন হাঁটাচলা এবং ব্যায়াম করতে হবে যদি আপনি এ সকল নিয়মগুলো মেনে চলেন তাহলে শুধু এই সমস্যার জন্য উপকার নাই বরঞ্চ আপনার শরীরের সকল সমস্যাই দূর হবে।
যখন আপনি সঠিকভাবে নিয়ম করে জীবন যাপন শুরু করবেন তখন দেখবেন যে কোষ্ঠকাঠিন্য বা দীর্ঘস্থায়ী মলত্যাগ দিয়ে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এবং আপনি আস্তে আস্তে সুস্থ হতে পারবেন। মলদ্বার দিয়ে রক্ত বন্ধ করার জন্য কিছু চিকিৎসা রয়েছে তা হলো চিকিৎসক সাধারণত রোগের ইতিহাস জেনে সাবধানে বায়ুপত্র পর্যবেক্ষণ করবে। তারপর সাধারণত ফিশার সহজেই অবলোকন করা যায়। যদি আপনার স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য ভাস ও জীবনযাত্রার পরিচালনার উপকার না হয় তবে চিকিৎসক মেডিকেল চিকিৎসা শুরু করবেন এবং উপসর্গ ও সকল কারণগুলো ভালোভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করবেন।
যে মুহূর্তে মলদ্বারের পথ ছিঁড়ে যায় সে মুহূর্তে মলদ্বারের মাংসপেশীর সেই ব্যথাযুক্ত সংকোচন হয় এবং সেই সংকোচন ব্যথার সৃষ্টি করে এবং ফিশারের ঘা শুকাতে বাধার সৃষ্টি করে। ওষুধ স্নায়বিক নিয়ন্ত্রণ অথবা শৈল চিকিৎসা সবাই নির্ভর করে ওই পেশি সংকোচন প্রতিরোধ করার ব্যবস্থাপনার ওপর। বেশি সংকোচন বন্ধ করে বেশি শীতলতা নিশ্চিত করতে পারলে ফিসার ভালো হওয়া শুরু করে। পেশির শীতলতার জন্য ব্যবহার করা হয় নাইট্রেট জাতীয় ওষুধ যা হৃদপিণ্ডের ব্যথা এনজাইনা রোধে ব্যবহার করা হয়।
এই ওষুধ হৃদপিন্ডের পেশীর মতো পায়ুপথের পেশিকে শিথিল করে ফিশার নিরাময়ে সাহায্য করে। অনেক সময় এই সমস্যা সমাধানের জন্য ডাক্তার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ইসবগুলের ভুষি এবং যে সকল পানি ও পান করলে পায়খানা নরম হয় সেগুলো সেবন করার জন্য। এবং এভাবেই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে থাকলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় তাই আপনারা ঘরে বসে না থেকে এ সকল সমস্যার জন্য ডাক্তারের কাছে এসে সঠিকভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করুন।