একটি নির্দিষ্ট সময়ে একজন রোগের যখন হাই প্রেসার ধরা পড়ে তখন সে রোগীর সেটাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য অবশ্যই কিছু নিয়মিত ওষুধ সেবন করতে হয়। এটা এমন একটি রোগ যেটাকে আপনি সঠিক সময়ে নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে সেটা আপনার শরীরে বড় ধরনের রোগের সৃষ্টি করতে পারে। এই হাই প্রেসার কে আমরা যদি সঠিক সময় নিয়ন্ত্রণ না করতে পারি তাহলে সেটা হৃদরোগের কারণ হতে পারে এছাড়াও আরো অন্যান্য বড় ধরনের সমস্যা তৈরি করতে পারে।
হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে সবথেকে কার্যকরী উপায় হচ্ছে নিয়মিত ঔষধ সেবন এবং হাই প্রেসার পরীক্ষা করা। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যে ওষুধগুলো ব্যবহার করা হয় সব থেকে বেশি ব্যবহার করা হয় সেগুলো আমাদের কাছে অনেক পরিচিত। তবে এই ওষুধগুলো সাধারণত সকলের ক্ষেত্রে একই ধরনের হয় না হাই প্রেসার এর ধরন এবং হাই প্রেসার এর বয়স এবং রোগীর অন্যান্য সমস্যায় এবং শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ বা একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সাধারণত নির্দেশ করতে পারে কোন রোগী কোন ঔষধ কি পরিমাণে খাবে।
দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায়
যাদের শরীরে হাই প্রেসার রয়েছে হঠাৎ করে যদি তাদের হাই প্রেসার অনেক বেড়ে যায় তাহলে কি উপায় সেটাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে সেই বিষয়ে একটি প্রাথমিক ধারণা আমরা দেব। প্রথমত যদি কোন ধরনের সমস্যা বুঝতে পারা যায় তাহলে যে কাজটি করতে হবে সেটা হচ্ছে পুরোপুরি বিশ্রামে চলে যেতে হবে অর্থাৎ যেই অবস্থায় আপনি ছিলেন সে অবস্থাতে না থেকে একটু বিশ্রামের ব্যবস্থা করতে হবে। সম্ভব হলে হাই প্রেসার পরিমাপ করে দেখতে হবে এবং যদি সত্যি সেটা বৃদ্ধি পায় তাহলে চেষ্টা করতে হবে সঙ্গে সঙ্গে হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণের জন্য যে ঔষধ খাওয়া হয় সেটা একটি খেয়ে নিতে। এরপরে ঠান্ডা পানি খাওয়া এবং মাথায় পানি ঢালার মতন সাবধানতা অবলম্বন করা যেতে পারে। এতেও কাজ না হলে সরাসরি নিকটস্থ চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে তার কারণ হচ্ছে এইভাবে চলতে থাকলে সেই রোগীর বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে।
প্রেসারের ঔষধ বেশি খেলে কি হয়
প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য অনেকেই অনেক ধরনের চেষ্টা করে। নিয়মিত নির্দিষ্ট পরিমাণে ওষুধ সেবনের মাধ্যমে পেশার নিয়ন্ত্রণ করা সব থেকে সহজ এবং সবথেকে উত্তম পদ্ধতি। তবে এর জন্য অবশ্যই আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটা হচ্ছে সঠিক পরিমাণে ঔষধ খেতে হবে। আপনি যদি নিজের অজান্তেই অতিরিক্ত প্রেসারের ওষুধ খেয়ে ফেলেন তাহলে সেটা আপনার হার্টের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। এটা আপনার হৃদস্পন্দনকে অনিয়ন্ত্রণ ে নিয়ে যেতে পারে যার কারণে হার্টের আকার পরিবর্তন এবং বড় ধরনের অন্য কোন সমস্যা তৈরি করতে পারে। কখনোই একটি ওষুধ দীর্ঘ সময় ধরে খাওয়া যাবেনা চিকিৎসকের পরামর্শ এবং বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া।
হাই প্রেসার কমানোর খাবার
প্রকৃতি থেকে পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের খাবার আমরা যদি খেতে পারি তাহলে সেটা আমাদের হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা। বিশেষ করে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার এবং টক জাতীয় খাবার যেগুলোতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়ামের উপস্থিতি আছে আমরা যদি সেই খাবারগুলো নিয়মিত আমাদের খাবারের তালিকায় রাখতে পারি তাহলে সেই খাবারের মাধ্যমে প্রতিদিন অন্তত ৫ থেকে ৮ পর্যন্ত উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে এই খাবারের মাধ্যমে।
আপনারা নিজের খাবারের তালিকায় রঙিন ফলমুন এবং শাকসবজি রাখার চেষ্টা করুন যেগুলো আপনাকে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অনেক ভালো সাহায্য করবে। অতিরিক্ত খাবার কখনোই উচ্চ রক্তচাপের জন্য ভালো জিনিস নয় তাই যে খাবারই আপনি খান না কেন সেটাকে পরিমিত পরিমাণে খাওয়ার চেষ্টা করুন।