নরমাল ঘুমের ঔষধের নাম

ঘুম আমাদের শরীরের জন্য অপরিহার্য একটি জিনিস আমরা যদি সঠিকভাবে সময় মেনে নিয়মিত ঘুম না পারতে পারি তাহলে সেটা আমাদের শরীরে অনেক বেশি প্রভাব ফেলবে। যদি একদিন আমরা সঠিকভাবে ঘুম না পারতে পারি তাহলে দেখব পরবর্তী দিনগুলো কেন জানি না এলোমেলো মনে হয়। সবসময় আমাদের সঠিক সময় মেনে ঘুম  পারতে হবে।

যারা সাধারণত সঠিক সময়ে ঘুম পারতে পারেন না তাদের ক্ষেত্রে সাধারণ কিছু ঘুমের ঔষধ ব্যবহার করা হয় ঘুমানোর জন্য। মূলত চিকিৎসকের কাছে গেলে অবশ্যই চিকিৎসকের আপনাকে ভালো ওষুধ প্রেসক্রাইব করে দেবে এবং আপনি দেখবেন সেখানে সরাসরি কোন ঘুমের ঔষধ দেওয়া নেই। এখানে সাধারণ কিছু রিলাক্সের ঔষধ দেওয়া আছে যেই ঔষধ গুলো আপনাকে মানসিক দিক দিয়ে প্রশান্তি দেবে এবং যার মাধ্যমে আপনি ঘুমাতে পারবেন।

সাধারণত এই ঔষধের মধ্যে একটি ঔষধের নাম হচ্ছে ক্রোনাজিপাম। এটা হচ্ছে ওষুধের মূল গ্রুপের নাম এবং এই গ্রুপের উপাদানের মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন ধরনের ওষুধ তৈরি করেছে। তারা নিজের পছন্দ অনুযায়ী সেই ওষুধের নামকরণ করেছে। যার কারণে মূলত এই ঔষধ গুলো বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে তবে আপনি কোন ঔষধ খেতে চাচ্ছেন তার জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

ঘুমের সমস্যা হলে কি করবেন

ঘুমের সমস্যা হলে কি করবেন এ সম্পর্কে বলতে গেলে বলতে হয় যে যদি কারো ঘুমের সমস্যা হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে সবার প্রথমে যেই কাজটি সে করতে পারে সেটা হচ্ছে রিলাক্স। জীবনে প্যারা আসবে যাবে কিন্তু জীবনে যে সময়টুকু আপনার কাছ থেকে চলে যাচ্ছে সেই সময়টুকু আর ফিরে আসবে না। তাই আপনি যদি নিজের লক্ষ্যকে সামনে রেখে আস্তে আস্তে এগোতে থাকেন এবং নিজের জীবনকে উপভোগ করতে থাকেন তাহলে সেটা আপনার জীবনে প্রশান্তি এনে দেবে।এমন মানুষ অনেকেই আছে যারা কি করছে নিজেই বুঝতে পারছে না শুধু দৌড়াদৌড়ি করছে যার কারণে সে মানসিক দিক দিয়ে সুখী নয় এবং শারীরিক দিক দিয়ে সখী নয়। এই ধরনের মানুষের ক্ষেত্রে মূলত ঘুম কম হওয়ার প্রবণতা দেখা যায় তাই আমাদের সমাজে একটি সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে সেটা হচ্ছে আগে মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখুন তারপরে সবকিছু করুন।

ঔষধ ছাড়া নিয়মিত সঠিক সময়ে ঘুম পাড়ার উপায়

ওষুধ ছাড়া ঘুম হয় না এবং ঔষধ না খেলে ঘুম আসে না এরকম মানুষ অনেক পাওয়া যাবে। সাধারণত জীবনের কিছু ভুল সিদ্ধান্তের জন্য অনেক মানুষ অনেক ধরনের মানসিক সমস্যায় ভোগে এবং সে মানসিক সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য তারা ঘুমের ঔষধ খাওয়া শুরু করে। যখন এই ঘুমের ওষুধ অভ্যাসে পরিণত হয় তখন তারা আসল সমস্যা বুঝতে পারে এবং সেই অবস্থাতে এখান থেকে বেরিয়ে আসার উপায় খুঁজে। সাধারণত এমন কিছু নিয়ম আছে যে নিয়ম গুলো যদি আপনি ফলো করেন তাহলে প্রতিদিন একই সময়ে আপনি ঘুমাতে যাবেন এবং ঘুম থেকে একই সময়ে উঠবেন।

খুব ভালো করে লক্ষ্য রাখুন চেষ্টা করবেন মানসিক স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখতে এর জন্য যত ধরনের চিন্তাভাবনা আছে সেগুলোকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন।সারাদিনের কাজ শেষে চেষ্টা করুন ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত 5 থেকে 7 ঘন্টা আগে থেকে কোন ধরনের চাপা কফি যেন সেবন না করেন।ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত দুই ঘণ্টা আগে থেকে কোন ধরনের বই পড়া বা কোন ধরনের মোবাইল ব্যবহার করা থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।ঘুমানোর অন্তত দুই ঘন্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে ফেলবেন। এবং প্রতিদিন প্রায় একই সময়ে ঘুমানোর জন্য বিছানায় যান। বিছানায় ঘুমাতে যাওয়ার সময় অবশ্যই নিরিবিলি পরিবেশ তৈরি করুন।আপনি যদি প্রতিদিন ঘড়ি ধরে এই নিয়মগুলো মানতে পারেন তাহলে দেখবেন নিজে থেকেই আপনা আপনি সঠিক সময় ঘুম আসছে এবং সেই ঘুম আপনার সঠিক সময়ে ভেঙে যাচ্ছে।একজন সুস্থ মানুষের কয় ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন