টাইফয়েড টেস্ট এর নাম

সাধারণত টাইফয়েড টেস্টের যে নাম সেটা ইংরেজি শব্দ থেকে এসেছে। যদি রোগীর শরীরে টাইফয়েডের উপসর্গ গুলো দেখা যায় তাহলে এই টেস্ট করানো যেতে পারে। কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে বিষয়টি এমন দাঁড়ায় যে তার শরীরে কোন উপসর্গ নেই কিন্তু জ্বর তার শরীর থেকে যাচ্ছে না বা সে হঠাৎ করে শারীরিক দুর্বল হয়ে যাচ্ছে এই ক্ষেত্রে রোগীকে অবশ্যই টাইফয়েডের টেস্ট করাতে হবে। এখানে টাইফয়েড একটি টেস্ট এবং প্যারাটাইফয়েড একটি টেস্ট তবে আমরা যেহেতু টাইফয়েড নিয়ে কথা বলছি তাই প্যারাটাইফয়েড নিয়ে এখানে কথা বলবো না।

সাধারণত টাইফয়েড পরীক্ষার জন্য টেস্ট করা হয় সেই টেস্টের নাম হচ্ছে এই টেস্টের মাধ্যমে সাধারণত টাইফয়েডের জীবাণু মানব শরীরে আছে কিনা সেটা চিহ্নিত করা হয় । আমরা এই দেশ সম্পর্কে আরো খুঁটিনাড়ি তথ্য আপনাদের সামনে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করব আশা করছি এই টেস্ট সম্পর্কে জানতে আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকবেন।

টাইফয়েড হলে কোন টেস্ট করাবেন টেস্ট এর নাম

বিভিন্ন লক্ষণের মাধ্যমে আপনি নিশ্চিত হতে পেরেছেন আপনার টাইফয়েড হয়েছে কিন্তু আপনি এটা জানেন না টাইফয়েড জ্বর হলে কোন টেস্ট করাতে হবে। সব থেকে ভালো হয় আপনি যদি একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যান এবং তার পরামর্শ অনুযায়ী টেস্টগুলো করান। যদি সেটা সম্ভব না হয় তাহলে আপনি নিজে থেকেই Widal test করাতে পারেন যেটা টাইফয়েডের জন্য করানো হয়। এই Widal test এর মাধ্যমে আপনি নিশ্চিত ভাবে বুঝতে পারবেন আপনার শরীরে টাইফয়েডের ভাইরাস আছে কিনা।

সাধারণত টাইফয়েডের সাধারণ যে পরিমাপ আছে সেটা হচ্ছে Widal test- 1:80 তবে এর থেকে যদি বেশি দেখায় তাহলে সেখানে টাইফয়েডের জীবাণু শরীরে আছে হিসেবে ধরা হয় যেমন মনে করুন Widal test- 1:160 এটা। টাইফয়েড এর আকার যতটা বেশি হবে এই টেস্টের মান ততটা বাড়তে থাকবে । আশা করছি আপনারা এখান থেকে টাইফয়েড টেস্ট এর নাম এবং তার মান সম্পর্কে ভালো একটি ধারণা পেলেন এখন থেকে যদি এই তথ্যগুলো আপনাদের প্রয়োজন পড়ে তাহলে অবশ্যই সেটা আপনাকে বুঝতে সাহায্য করবে টাইফয়েড টেস্ট সম্পর্কে।

টাইফয়েড টেস্ট করতে কত টাকা লাগে

এই অংশে আমরা আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব টাইফয়েড টেস্ট করতে কত টাকা খরচ হবে। সাধারণত আমাদের প্রায় অধিকাংশ মানুষের পরিবার মধ্যবিত্ত পরিবার এই মধ্যবিত্ত পরিবারের সবথেকে বড় সমস্যা হচ্ছে খরচ। আমরা খুব কম খরচ করে চলতেও পারি না আবার বেশি খরচ করতেও পারি না যার কারণে খুব চিন্তা ভাবনা করে আমাদের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয় । অসুখ-বিসুখের ক্ষেত্রেও আমাদের জেনে শুনে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয় তার কারণ হচ্ছে যে পদক্ষেপ আমরা গ্রহণ করছি সেখানে যদি অর্থের ঘাটতি থাকে তাহলে গোটাটাই বৃথা যেতে পারে।

তবে সকলের জন্য সুখবর হচ্ছে এই আপনারা যদি সরকারি প্রতিষ্ঠানে টাইফয়েড টেস্ট করাতে চান তাহলে আপনার খরচ হবে ২০০ থেকে ২৫০ টাকার মত এবং আপনি যদি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে টাইফয়েড টেস্ট করতে চান তাহলে আপনার খরচ হবে 400 থেকে 500 টাকার মতো। এই খরচটা একেবারেই কম তাই যারা টাইফয়েডের উপসর্গ নিয়ে বসে আছেন তাড়াতাড়ি না করে ঝটপট টাইফয়েড পরীক্ষা করে নিন নিজের সুরক্ষার জন্য।

টাইফয়েড এর চিকিৎসা

টাইফয়েড রোগের চিকিৎসায় চিকিৎসকেরা সবার প্রথমে এন্টিবায়োটিক এর ব্যবহার করেন তবে অনেকের ক্ষেত্রে কিছু কিছু অ্যান্টিবায়োটিক কার্যকরী না হওয়ার কারণে তারা আরো বড় পরীক্ষা করেন এই বড় পরীক্ষার মধ্যে একটি নাম হচ্ছে ব্লাড কালচার। এই পরীক্ষার রেজাল্ট যখন আসে তখন সঠিক অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টাইফয়েড রোগীর ৭ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে সুস্থ অনুভব করে এবং পুরো 28 দিনের মধ্যে সে সুস্থ হতে পারে।