কিডনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ আমাদের জন্য এবং সে কিডনিতে যদি কোন ধরনের সমস্যা হয় তাহলে সবার প্রথমে যে পরীক্ষা করা হয় সেটা হচ্ছে ক্রিয়েটিনিন। কিডনিতে যেকোনো ধরনের সমস্যা হলে রক্তে এই উপাদানটি বৃদ্ধি পেতে থাকে আর এই উপাদান বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকেরা চিন্তায় পড়ে যান সেই রোগীকে নিয়ে। এই টেস্টের মাধ্যমে এটা নিশ্চিত ভাবে বলা যায় যে কিডনিতে অবশ্যই কোন না কোন সমস্যা হয়েছে কিন্তু কি সমস্যা হয়েছে সেটা নিশ্চিত করার জন্য আরো অনেক পরীক্ষা করাতে হবে।আজকের এই আর্টিকেল থেকে আমরা জানার চেষ্টা করব প্রাকৃতিক উপায় কিভাবে রক্তের ক্রিয়েটিনিন নিয়ন্ত্রণ করা যায়। সত্যিই কি প্রাকৃতিক উপায়ে রক্তের ক্রিয়েটিনিন নিয়ন্ত্রণ করা যায় কিনা এটা আমরা অনেকেই জানিনা। এটা মূলত যে সমস্যার কারণে হয়েছে আগে সবার প্রথমে সেই সমস্যাকে খুঁজে বের করতে হবে। মনে করুন কিডনির পাথরের জন্য আপনার রক্তে ক্রিয়েটিনিন বৃদ্ধি পেয়েছে তাহলে অবশ্যই সবার প্রথমে আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে কিডনির পাথরের কারণে এটা হয়েছে কিনা।
এটা নিশ্চিত হওয়ার পরে আপনাকে কিডনির পাথরের চিকিৎসা করতে হবে। আপনি যদি কিডনির পাথর অপসারণ করতে পারেন তাহলে দেখবেন এমনি এমনিতেই আপনার রক্তে ক্রিয়েটিনিন এর পরিমাণ স্বাভাবিক অবস্থায় চলে এসেছে। আশা করছি আমি আপনাদের এই বিষয়টি বুঝাতে পেরেছি যে কিডনি রোগের চিকিৎসা করলেই রক্তের ক্রিয়েটিনিন এর পরিমাণ স্বাভাবিক অবস্থায় চলে আসে।
খাবারের মাধ্যমে প্রাকৃতিক উপায়ে ক্রিয়েটিনির নিয়ন্ত্রণ
ফিদ্মতে যেকোনো ধরনের সমস্যার জন্য খাবার অনেকাংশে তাই। আমরা যে খাবারগুলো খেয়ে থাকি সেই খাবারে যদি অতিরিক্ত পরিমাণে বিষাক্ত পদার্থ থাকে তাহলে সেটা পরিশোধন হওয়ার সময় কিডনিতে গিয়ে জমা হয় এবং সেখান থেকে কিডনির পাথর এবং কিডনির ইনফেকশন দেখা দেয়। তাই খাবারের সময় আমরা যদি একটু বেশি সতর্ক হতে পারি তাহলে সেটা আমাদের বড় বড় কিডনি রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে। সব সময় আমরা কি খাবো এবং কি খেয়ে খাচ্ছি সে বিষয়ে সতর্ক থাকব।
প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের পক্ষে প্রতিদিন অন্তত ১০ থেকে ১২ লিটার পানি পান করা উচিত কিডনিকে সুস্থ রাখতে। এ বিষয়ে অবশ্যই অতিরিক্ত পানীয় পান করা যাবে না এটা আমরা বলে রাখি তার কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত পানিও কিডনির সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এরপরে যে বিষয়ে সেটা হচ্ছে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া অর্থাৎ পৃথিবীতে আল্লাহতালা নিয়ামত হিসেবে প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্যকর খাবার দিয়েছেন। আমাদের সেখান থেকে হালাল স্বাস্থ্যকর খাবারগুলো খুঁজে বের করে নিয়মিত খেতে হবে আশা করা যায় এখান থেকে কিডনির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং তিনি এমনি এমনি সুস্থ হতে শুরু করবে।
লবণ খাওয়া পরিহার করতে হবে অর্থাৎ কিডনির জন্য লবণ অনেক ক্ষতিকারক একটি পদার্থ। মুখের স্বাদ বাড়ানোর জন্য আমরা লবণ খেয়ে থাকি এবং আমাদের লবন এতটাই অপরাহার্য যে কোন খাবারে যদি লবণ না থাকে তাহলে সেই খাবার আমরা খাই না। তাহলে এখানে বুদ্ধি করে আপনাকে লবণ খাওয়ানো কমাতে হবে অর্থাৎ আগে যেখানে আপনি মাসে এক কেজি লবণ খেতেন চেষ্টা করতে হবে ২৫০ গ্রাম লবণে কিভাবে মাস চালানো যায়।
কিডনি রোগের চিকিৎসা
কিন্তু রোগের বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা আছে বলতে গেলে রোগের উপর ভিত্তি করেই চিকিৎসা ধরণ নির্ধারণ করা হয়। কিছু রোগের চিকিৎসা ঔষধের মাধ্যমে সম্পাদন করতে হয় আবার কিছু রোগের জন্য অপারেশনের প্রয়োজন পড়ে। যে সমস্যাই হোক না কেন সবার প্রথমে একজন ভালো চিকিৎসকের কাছে গিয়ে পরামর্শ করতে হবে এবং দেখতে হবে ওষুধের মাধ্যমে কোন সমাধান হয় কিনা। যদি ওষুধের মাধ্যমে কোন সমাধান না হয় তাহলে সার্জারি করিয়ে নিতে হবে তার কারণ হচ্ছে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় রেখে দিলে সেটা অন্য কিডনিগুলো নষ্ট করে দিতে পারে।