রক্তে বিলিরুবিনের স্বাভাবিক মাত্রা কত

রক্তে বিলিরুবিনের স্বাভাবিক মাত্রা অবশ্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা হচ্ছে এমন একটি স্বাভাবিক উপাদান যেটা প্লীহা থেকে উৎপন্ন হয় এবং এপ্লিহা অবস্থান করে আমাদের যকৃতের মধ্যে। এটা রক্তের মধ্যে থাকে এবং রক্তের মধ্যে থাকার পরে এটা আমাদের শরীরের বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়। এই উপাদানটির রং হলুদ এবং এই উপাদানটির রঙ হলুদ হওয়ার কারণে আমাদের প্রস্রাবের রং হালকা হলুদ এবং পায়খানার রং হলুদ হয়।

যদি এই উপাদান আমাদের শরীরে বেড়ে যায় তাহলে সেটা অস্বাভাবিক ব্যাপার এবং তার কারণে আমাদের অন্য ধরনের অসুখ হতে পারে। আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে আপনার শরীরে যে বিলিরুবিন আছে তার স্বাভাবিক মাত্রা কত আপনি যদি এ বিষয়টি জানেন তাহলে সেটা আপনার জন্য অনেক সুফল বয়ে আনতে পারে। সাধারণত বিলিরুবিন পরীক্ষার মাধ্যমে যদি প্রতি ডেসিলিটারে একজন মানুষের বিলিরুবিনের পরিমাণ ০.৫ থেকে ১.২ মিলিগ্রামের মধ্যে থাকে তাহলে সেটা একেবারে স্বাভাবিক। এর থেকে বেশি হলে সেটা অস্বাভাবিক তবে কতটা বেশি সেটার উপর নির্ভর করেই মূলত এর চিকিৎসা প্রদান করা হয়।

রক্তে বিলিরুবিন কিভাবে পরিমাপ করতে হয়

রক্তে বিলিরুবিনের পরিমাণ সাধারণত পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ণয় করতে হয়। আমরা আলাদাভাবে বিলিরুবিনের পরীক্ষা করায় না কিন্তু যখন আমাদের শরীরে এক ধরনের রোগের সম্ভাবনা থাকে তখন আমরা এই বিলিরুবিন পরিমাপ করায়। সাধারণত জন্ডিস যদি দেখা যায় তাহলে সে জন্ডিস পরীক্ষা করার জন্য মূলত আমরা বিলিরুবিন পরীক্ষা করি। আপনাদের আরো সহজ ভাষায় বিষয়টি বোঝায় সাধারণত জন্ডিস পরীক্ষার যে নাম আছে তার নামই হচ্ছে বিলিরুবিন।

এই পরীক্ষার বিষয়ে অনেকের মধ্যে কৌতুহল আছে। তবে কৌতুহল করার কিছু নেই এটা একেবারে স্বাভাবিক একটি পরীক্ষা এখানে শুধুমাত্র রোগীকে কয়েক ফাটা রক্ত প্রদান করতে হয় পরীক্ষা করার জন্য। যে ব্যক্তি এই পরীক্ষাটি করবেন তিনি রক্ত সংগ্রহ করার পরে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পরীক্ষার রেজাল্ট দিতে পারেন তার কারণ হচ্ছে এখানে খুব বেশি পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে হয় না সামান্য কিছু টেস্ট করে নিশ্চিত ভাবে বলা যায় তার শরীরে বিলিরুবিনের অবস্থান কি।

বিলিরুবিন বেড়ে গেলে কি হয়

যদি কারো হঠাৎ করে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে যায় তাহলে স্বাভাবিকভাবেই তার জন্ডিস হবে। জন্ডিস হলে যে উপসর্গ গুলো দেখা যায় তার মধ্যে প্রস্রাবের রং পরিবর্তন প্রসাবের রং অতিরিক্ত হলুদ হওয়া অনেক ক্ষেত্রে চোখের রং অতিরিক্ত হলুদ হওয়া এবং শরীরের রং অতিরিক্ত হলুদ হওয়ার মতন সমস্যা দেখা দেয়। এমন হওয়ার পেছনে দায়ী রক্তে অতিরিক্ত বিলিরুবিন আর এই বিলিরুবিনের রং হচ্ছে হলুদ। এটা আমাদের যকৃতের মধ্যে যে প্লীহা থাকে সেখান থেকে উৎপন্ন হয় এবং এর রং হলুদ এটা যদি অতিরিক্ত মাত্রায় রক্তে চলে যায় তাহলে সেটা রক্তের লাল কালার কে প্রভাবিত করে বিভিন্ন জায়গাতে হলুদ রং দেখায়।

জন্ডিস এর চিকিৎসা

স্বাভাবিক জন্ডিসের ক্ষেত্রে যে চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে সেটার মূল হচ্ছে বিশ্রাম করা। এ অবস্থাতে আপনি যত বেশি বিশ্রাম করবেন সেটা আপনার জন্য তত বেশি ভালো। স্বাভাবিক অবস্থাতে জন্ডিসের চিকিৎসা করার ক্ষেত্রে আপনাকে খেয়াল করতে হবে জানো সেই রোগীকে সঠিক পরিমাণে বিশ্রাম দেওয়া হয়। আপনি যদি সঠিক পরিমাণে বিশ্রাম গ্রহণ করতে পারেন তাহলে সেটা আপনার শরীরের জন্য ভালো এবং এমনিতেই তার মাধ্যমে আপনি জন্ডিসকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন।

যারা জন্ডিসের চিকিৎসায় বিশ্রাম কে প্রাধান্য না দিয়ে ঔষধ খান তাদেরকে বলব এটা একেবারে ভুল। আপনি যদি পুরোপুরি বেষ্টন নিতে পারেন তাহলে কোন ধরনের ঔষধ ছাড়াই ৭ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে জন্ডিস রোগ থেকে পুরোপুরি সুস্থ হওয়া যায়। তাই এই ধরনের ভুল তথ্য থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।