ছোলার পুষ্টিগুণ উপকারিতা

ছোলার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বলতে গেলে এক কথায় বলতে হয় যদি কোন প্যাকেজ থাকে যেখানে পুষ্টিগুণ দিয়ে ঠাসা আছে তাহলে সেই প্যাকেজের মধ্যে ওপরের তালিকায় থাকবে ছোলা। আপনি যদি আমাকে প্রশ্ন করেন ছোলাতে কোন পুষ্টি গুণ নেই তাহলে সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করতে আমার অনেক বেশি কষ্ট হবে। তবে আপনি যদি এটা প্রশ্ন করেন ছোলাতে কোন পুষ্টিগুণ আছে তাহলে সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করতে আমাকে খুব কষ্ট করতে হবে না খুব সহজে সেটা আমি পাব।

ছোলাতে কি কি পুষ্টিগুণ আছে এবং সেগুলো কতটুকু কি পরিমানে আছে সে সম্পর্কে আমরা আপনাদের একটি তালিকা তুলে দেবো যে তালিকা একজন দেখার পরে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। ছোলা বুটে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ থাকে সেই সঙ্গে এখানে যে পরিমাণে ফাইবার আছে সেটা আমাদের পাকস্থলীর জন্য অত্যন্ত উপকারী। মাংস ছাড়া প্রোটিনের বড় উৎস হতে পারে ছোলা বুট যা বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে একেবারেই পারফেক্ট।

ছোলা বুটের পুষ্টিগুণ

বিভিন্ন সময়ে ছোলার উপর বিভিন্ন ধরনের গবেষণা পরিচালিত হয়। এই গবেষণা থেকে এটা জানা যায় যে শলাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ আছে সেইসঙ্গে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যেমন ম্যাগনেসিয়াম পটাশিয়াম এর উপস্থিতি পাওয়া যায় এই ছোলাতে। এই ছোলাতে এতটাই ফাইবার আছে যে এটা আপনার খুদা কমাতে আপনাকে সাহায্য করবে এর পাশাপাশি এর প্রোটিনের উৎস আপনার শরীরের প্রোটিন এর ঘাটতি পূরণে আপনাকে সাহায্য করবে। চলুন এখানে কি কি পোস্টি উপাদান আছে সেগুলো সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি।

আমরা শোলাতে প্রায় ২৬৯ ক্যালোরি পাবো এর পাশাপাশি ১০০ গ্রাম ছোলাতে পাওয়া যাবে প্রায় 14.5 গ্রাম প্রোটিন। আপনি যদি এই ছলাতে উপকারী চর্বি খুঁজতে চান তাহলে ১০০ গ্রাম ছোলাতে আপনি উপকারী চর্বি পাবেন চার গ্রাম। এখানেই শেষ নয় এই ছলাতে আপনি প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট পাবেন এবং এই কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ থাকবে 45 গ্রাম যেটা সত্যি আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

এখানেই শেষ নয় প্রতি 100 গ্রাম ছোলাতে আপনি পাবেন প্রায় ১২.৫ গ্রাম ফাইবার যেটা আপনার এবং আপনার পাকস্থলীর জন্য অত্যন্ত সুন্দর একটি খাবার। আপনি যদি প্রতিদিন ১০০ গ্রাম ছোলা খান তাহলে সেটা আপনার শরীরের মেগানিজের ঘাটতি পূরণ করবে প্রায় 74%। এছাড়াও ফোনের অর্থাৎ ভিটামিন বি নাইন প্রায় ৭১% পূরণ হবে।ছোলার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানতে গিয়ে আমরা আরো জানতে পেরেছি যে জিংকের প্রায় ২৩% এবং ফসফরাসের প্রায় 22% পাওয়া যাবে এই ছোলা থেকে। থায়ামিন ও ভিটামিন বি৬ যথাক্রমে ১৬% এবং ১৩% এখান থেকে পাওয়া যাবে। পটাশিয়াম পাওয়া যাবে প্রায় ১০% । এই পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ছোলাকে কখনোই অবহেলা করা যাবে না।

টাইপ টু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ছোলার উপকারিতা

ছোলা হচ্ছে এক ধরনের শর্করা নিয়ন্ত্রক খাবার যেটা ডায়াবেটিস প্রতিরোধ এবং পরিচালনা করতে সাহায্য করতে পারে। আমরা অবশ্যই অবগত আছি যে এই খাদ্য উপাদানে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে এবং প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আছে। আমরা যখন নিয়মিত ছোলা সেবন করব তখন এখানে থাকা এই উপাদান গুলো রক্তে শর্করার মাত্রা খুব দ্রুত বাড়াতে বাধা দেবে যা ডায়াবেটিস ব্যবস্থাপনার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এছাড়াও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপযুক্ত করে তোলে এমন একটি উপকারী খাবার হচ্ছে ছোলা যা রক্তের শর্করার বৃদ্ধির সম্ভাবনা কমাতে সাহায্য করে। এখানেই শেষ নয় পুষ্টির উৎস হিসেবে ও ডায়াবেটিস রোগীদের ছোলা অনেক উপকারী একটি খাবার।

ছোলা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে

রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত জরুরি ব্যাপার তার কারণ হচ্ছে বর্তমান বিশ্বে সবথেকে বড় ধরনের সমস্যা হচ্ছে অনিয়ন্ত্রিত শর্করা। আমরা বুঝতে পারছি না কোনটি সরকার জাতীয় খাবার এবং সেই খাবারগুলো খাবার সঙ্গে সঙ্গে সেটা আমাদের রক্তে মিশে যাচ্ছে শর্করা হিসেবে এবং যেখান থেকে চিনি উৎপাদন হয় আমাদের শরীরকে অসুস্থ করে তুলছে। আপনি যদি এই বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করতে চান তাহলে নিয়মিত ছোলা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।