পেইস ১ কিসের ঔষধ

আপনারা যারা বিভিন্ন ধরনের মানসিক সমস্যা বা প্যানিক ডিসঅর্ডারের ভুগছেন তাদের জন্য খুব সুন্দর একটি ঔষধ হতে পারে এই ট্যাবলেট। চলুন সাভার প্রথমে আজকের গুরুত্বপূর্ণ এই ওষুধের কিছু পরিচিতি জেনে নেওয়া যাক। যাতে করে আপনি একবার এই ঔষধ সম্পর্কে জানবেন এবং সারা জীবন সেটা মনে রাখতে পারবেন। সাধারণত আজকের এই ঔষধ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে ক্লোনাজিপাম অর্থাৎ এটার মূল উপাদান হচ্ছে ক্লোনাজিপাম। বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি বিভিন্ন ধরনের নামকরণ করে এক গ্রুপের ঔষধের এই গ্রুপের ঔষধের নামকরণ করা হয়েছে পেইস তার কারণ এটা অপসোনিন লিমিটেডের একটি ঔষধ।

এই ওষুধের বিভিন্ন ধরনের কার্যকারিতা আছে। কার্যকারিতার ওপর বিভিন্ন ধরনের ভেরিয়েন্ট বাজার রয়েছে। সাধারণত এখানে এক মিলিগ্রাম ট্যাবলেটের সঙ্গে বাজারে আরও বিভিন্ন ধরনের ট্যাবলেট পাওয়া যাবে যেমন দুই মিলিগ্রাম অথবা ২.৫ মিলি গ্রামের ড্রপস। সাধারণত ক্লোনাজি পাম কেন একজন রোগী খাবেন সেটা নির্ভর করবে চিকিৎসকের পরামর্শের উপর।

পেইস ১ ঔষধ খাওয়ার সঠিক নিয়ম

সাধারণত আপনি যদি সঠিক নিয়ম না মেনে কোন ঔষধ খান তাহলে তার কার্যকারিতা খুব কম আপনার শরীরে থাকবে। এই একই গ্রুপের ঔষধ প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে আবার ঠিক শিশুদের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যেতে পারে। যারা প্রাপ্তবয়স্ক আছে তাদের ক্ষেত্রে সিজার ডিজঅর্ডার এ ক্লোনাজি পাম এর ব্যবহার করা হয়। এখানে সাধারণত প্রারম্ভিক মাতা হতে পারে ১.৫ মিলিগ্রাম করে দৈনিক তিনবার এবং সিজার নিয়ন্ত্রণ না হওয়া পর্যন্ত প্রয়োজন অনুসারে অন্ততপক্ষে তিন দিন অন্তর অন্তর ০.৫ থেকে ১ মিলিগ্রাম।

তবে একটু খেয়াল রাখতে হবে দৈনিক যাতে 20 মিলিগ্রামের বেশি না হয় সর্বোচ্চ মাত্রা। যাদের প্যানিক ডিজার্টার আছে তাদের ক্ষেত্রে প্রারম্ভিক মাত্রা হতে পারে 0.5 মিলিগ্রাম। দিনে দুইবার এই মাত্রায় খাওয়ানো যেতে পারে। তিন দিন অন্তর অধিকাংশ রোগীর ক্ষেত্রে ঔষধের লক্ষ্যমাত্রা দৈনিক 1 মিলিগ্রাম বৃদ্ধি করা যেতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে এ ওষুধ ব্যবহার করা যাবে।

এখানে যে নির্দেশনা আছে সেই ক্ষেত্রে ঝিমানো ভাব কমানোর জন্য পারম্ভিক মাত্রা দৈনিক ০.০১ থেকে ০.০৩ মিলিগ্রাম। অবশ্যই শিশুদের ক্ষেত্রে মাত্রাগুলো অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে। আপনি যদি সতর্কতার সঙ্গে এই মাত্রাগুলো ব্যবহার না করেন তাহলে অবশ্যই এটা আপনার জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।

পেইস ১ ঔষধ খাওয়ার কারণ

এ বিষয়ে অনেকের একটি ভুল ধারণা আছে সেটা হচ্ছে ঘুমের ঔষধ হচ্ছে এই ঔষধ। কিন্তু এখানে যে দিনটা সোনা রয়েছে সেই নির্দেশনাতে আমরা কোথাও ঘুমের ঔষধ হিসেবে এটা ব্যবহার করা হয় এমন তথ্য পেলাম না। তাই এখান থেকে বোঝা যাচ্ছে যেগুলো এক ধরনের ভুল তথ্য যেগুলো আমাদের সকলের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে। সাধারণত ঘুমের ওষুধ হিসেবে সরাসরি এই ওষুধ ব্যবহার করা হয় না। এই ঔষধ ব্যবহার করা হয় প্যানিক ডিজঅর্ডারের ক্ষেত্রে।

যাদের দীর্ঘদিনের এই ধরনের সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে এই ঔষধ ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও যাদের ঘনঘন ভয় পাওয়ার প্রবণতা আছে অর্থাৎ যে কোন কিছুতেই হঠাৎ করে ভয় পাই বা চমকে উঠে এরকম ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য মূলত এই ক্লোনাজিপাম ট্যাবলেট ব্যবহার করা হয়। সঠিক দিকনির্দেশনা অনুযায়ী ঔষধ খেলে যে কোন ধরনের ঔষধের সঠিক কার্যকারিতা পাওয়া যায়।

পেইস ১ ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

সাধারণত আপনি যদি নিয়মিত ঔষধ খান তাহলে এখানে যে সমস্যা দেখা দিতে পারে সেটা হচ্ছে মাথা ঘোরার সমস্যা। এছাড়াও চলাচলে অনিয়ন্ত্রণ এই ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। বেশিরভাগ রোগীদের ক্ষেত্রে প্রথম প্রথম এই সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে তবে সেটা আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে। তবে যদি এই সমস্যা বেশি হতে শুরু করে তাহলে সাধারণত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত ঔষধ খাওয়া সম্পর্কে।