প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগের লক্ষণ

সাধারণত প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগ হয়ে থাকে আমাদের পাকস্থলীর পেছনের একটি ছোট্ট অঙ্গের কারণে। এই অংশ থেকে বিভিন্ন ধরনের হরমোন আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। কিন্তু বিভিন্ন কারণবশত যদি এই অংশটুকুতে কোন ধরনের সমস্যা হয় এবং এখান থেকে হরমোন বের হওয়া বন্ধ হয়ে যায় তাহলে সেখান থেকে আমাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হবে এবং সেই সমস্যাকেই সাধারণত প্যানক্রিয়াটাইটিস বলা হয়ে থাকে।

আজকের এই আর্টিকেল থেকে আমরা প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগের বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ এবং এই রোগ থেকে বাঁচার জন্য কি করা যায় সে সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব। সাধারণত প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগে আক্রান্ত রোগীদের সবথেকে বেশি সমস্যা হয় পেটের বিভিন্ন ধরনের ব্যথার জন্য। এই ব্যথার সম্পর্কে বলা হয়েছে যে প্রাথমিক পর্যায়ে যদি এই ব্যথা দেখা দেয় তাহলে সেটা স্বাভাবিক কিন্তু যদি গুরুতর পর্যায়ে ব্যথা দেখা যায় তাহলে সেটা অত্যন্ত অস্বাভাবিক।

অনেক রোগী আছেন এই ব্যথা সহ্য করতে পারেন না যার কারণে অনেক কষ্ট করতে হয় এবং অনেক ছটফট করে সেই রোগী। শুধুমাত্র ব্যথা থাকলেই যে প্যানক্রিয়াটাইটিস হবে এমন নয় এর সঙ্গে আরও কিছু উপসর্গ থাকতে হবে। এই উপসর্গ গুলোর মধ্যে আরেকটি উপসর্গ হচ্ছে বমি। রোগী কিছু খাক বা না খাক যেকোনো সময় বমি হতে পারে এবং এই বমি প্রভাব অনেক গুরুতর হতে পারে।

অনেক রোগীদের ক্ষেত্রে বমির সঙ্গে রক্ত আসতে পারে এবং অনেক রোগীদের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে খাবার বদহজম হওয়া শুরু হতে পারে। এক কথায় বলতে গেলে পাকস্থলী তার সকল কার্যক্রমে ব্যর্থ হয় যার কারণে অল্প সময়ের মধ্যে শরীরের ওজন কমতে শুরু করে এবং রোগী আরো অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগ হলে কি হয়

প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগ হলে রোগীর পেট ব্যথা শুরু হয় এবং সেটা অত্যন্ত কষ্টদায়ক পেট ব্যথা। কেন পেট ব্যথা হচ্ছে এই বিষয়টি বুঝতে না পারার কারণে তখন রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে যখন রোগীর নিশ্চিত হতে পারে তার প্যানক্রিয়াটাইটিস হয়েছে তখন তাকে অবশ্যই এর চিকিৎসা করাতে হবে।

আপনারা হয়তো অনেকেই এই রোগ সম্পর্কে অবগত নন তার কারণ হচ্ছে যারা এই রোগে পড়েননি তারা খুব কম এই রোগ সম্পর্কে জানবেন। এটা অত্যন্ত জটিল একটি রোগ তাই এই রোগের জন্য সূক্ষ্ম এবং উন্নত মানের চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে। এই চিকিৎসাতে রোগীর পরিবারের সদস্যদের অত্যন্ত বড় দায়িত্ব পালন করতে হয় তার কারণ হচ্ছে রোগী যত দিন যায় তত শারীরিক দিক দিয়ে দুর্বল হতে থাকে তাই যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব সুস্থ চিকিৎসা করানো উচিত।

প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগের চিকিৎসা

এই রোগের চিকিৎসা প্রধান হচ্ছে ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা। প্রাথমিক পর্যায়ে যদি এই রোগ ধরা পড়ে তাহলে খুব সামান্য ঔষধ এবং সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন যার মাধ্যমে রোগীর সুস্থ হতে পারবে খুব তাড়াতাড়ি। সাধারণত এই সমস্যা দেখা দিলে রোগী যদি একেবারে তেল চর্বি খাওয়া ত্যাগ করতে পারে তাহলে সে সারা জীবন সুস্থ থাকতে পারবে তবে যদি সে অতিরিক্ত তেল ছবি আবার খায় তাহলে সেটা পুনরায় ফিরে আসতে পারে।

প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগ প্রতিরোধ

যারা আগে থেকেই এই রোগকে প্রতিহত করতে চাচ্ছেন তাদের অবশ্যই প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। এজন্য অবশ্যই সুস্থ খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। আপনারা আগে থেকে যতটা তেল চর্বি বাদে খাওয়ার খেতে পারবেন ততটাই আপনার শরীরের জন্য এটা ভালো। এছাড়াও আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস যেটা লিভার কে ভালো রাখতে সাহায্য করে সেই অভ্যাস যদি আপনার আগে থেকেই গড়ে তুলতে পারেন তাহলে সেটা আপনাকে উপকৃত করবে প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগ প্রতিরোধে। আশা করছি আপনারা আজকের এই আর্টিকেল সম্পর্কে ভালো ধারণা পেলেন।