আপনি যদি এই রোগে আক্রান্ত হন তাহলে সবার প্রথমে আপনাকে যে কাজটা করতে হবে সেটা হচ্ছে সঠিক রোগ নির্ণয। এর জন্য আপনাকে সবার প্রথমে আপনার রোগের বিভিন্ন লক্ষণ চিহ্নিত করতে হবে এবং একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। আপনার শরীরে থাকা বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ যে আমার চুলকানি থেকে শুরু করে ত্বকে বিভিন্ন ধরনের ফুসকুড়ি বা ইত্যাদির লক্ষণ দেখার ফলে এবং আপনার রোগের ইতিহাস সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন তা কোন ধরনের সংক্রমণ।এ রোগের বড় দিক হচ্ছে শিশু অথবা প্রাপ্তবয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে সমানভাবে এবং পুরুষ অথবা মেয়েদের রোগীদের ক্ষেত্রে সমান ভাবে আক্রান্ত হয় এই রোগ। এই রোগের পেছনে পারিবারিক কিছু ঘটনা নির্ভর করে অর্থাৎ একটি পরিবারের কারো যদি একজিমার সমস্যা হয় তাহলে সেই পরিবারের অন্য সদস্যদের ক্ষেত্রে একই ঘটনা ঘটতে পারে।
একজিমার হলে করণীয়
অবশ্যই এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন এটা নিশ্চিত হলে চিকিৎসক আপনাকে জানিয়ে দেবে কি আর কাজ আপনাকে করতে হবে। তবে অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে সাধারণ ওষুধের সমস্যার সমাধান হয় না তার জন্য সম্পূর্ণ চিকিৎসা প্রয়োজন রয়েছে আজকে আমরা আপনাদের জানাবো কয়টি পদ্ধতি রয়েছে একজিমার চিকিৎসার জন্য। তবে যারা একজিমার রোগী আছেন তাদের একটি অনুরোধ করছি একজিমা দীর্ঘস্থায়ী ত্বক অবস্থা এবং এটি নিয়ন্ত্রণ করতে কয়েক মাস বা কয়েক বছর সময় লাগতে পারে তাই ধৈর্য ধরো ।এজন্য রোগী হিসেবে যে কাজটি আপনি করতে পারেন সেটা হচ্ছে চিকিৎসা তাড়াতাড়ি শুরু করা। এবং পরিবারের প্রত্যেকটি সদস্য শারীরিক অবস্থা নিশ্চিত করা কারো যদি এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে সেই সদস্যসহ একইসঙ্গে চিকিৎসা গ্রহণ করা। প্রথমত ঔষধের মাধ্যমে চিকিৎসকরা দেখার চেষ্টা করবেন সেই রোগী সুস্থ হচ্ছে কিনা যদি ওষুধের কাজে না হয় তাহলে থেরাপিতে যেতে পারেন।
ওষুধের চিকিৎসার মাধ্যমে সাধারণত সবার প্রথমে ব্যবহার করা হয় ক্রিম যেটাকে আমরা মলম হিসেবে চিনি। আক্রান্ত স্থানের সংক্রমণের ধরন এবং পরিস্থিতি বিবেচনায় চিকিৎসকেররা সেখানে ব্যবহার করার জন্য মলম নির্ধারিত করে দেবেন। আমাদের পাশাপাশি সেখানে আপনাকে ওরাল ড্রপস ব্যবহার করা যেতে পারে। আমি কি ক্ষেত্রে এটাকে মুখে ঔষধ হিসাবেও ব্যবহার করা।এই সাধারণ ঔষধে যদি খুব একটা ভালো ফলাফল না আসে তাহলে চিকিৎসকেরা অ্যান্টিবায়োটিক এর ব্যবহার করতে পারেন। সাধারণত যেই একজিমার কারণে ঘা এর সৃষ্টি হয়েছে এবং অনেকের ক্ষেত্রে শরীরে ফেটে গেছে এমন প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছে তাদের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হতে পারে এমন সম্ভাবনা থাকলে এন্টিবায়োটিক এর ব্যবহার করা হয়।
এখানে এন্টিবায়োটিক মুখে সেবনযোগ্য ব্যবহার করা যেতে পারে অথবা অ্যান্টিবায়োটিক ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে।সবার শেষে যেটা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সেটা হচ্ছে ইঞ্জেক্ট টেবিল চিকিৎসা পদ্ধতি। এখানে কিছু ইনজেকশন প্রদান করা হবে যেগুলো শরীরে দিতে হবে এবং এর ফলে অনেক সময় তাড়াতাড়ি নষ্ট হতে শুরু করে। এইভাবে আস্তে আস্তে বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করে মুক্তি পাওয়া যাবে তবে এর জন্য অবশ্যই ধৈর্য ধারণ করতে হবে রোগীকে।
একজিমা রোগের ঔষধ
এক্সিমা রোগে বিভিন্ন চিকিৎসক বিভিন্নভাবে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ লিখে থাকেন আমরা আপনাদের ওপর একটি প্রাথমিক ধারণা দিয়েছি কোন কোন ঔষধ ব্যবহার করা যেতে পারে। তাই অনুরোধ থাকবে সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু করুন এবং ধৈর্য সহকারে চিকিৎসক যে ওষুধগুলো খেতে বলছে সেগুলো সেবন করুন।
একজিমা রোগের থেরাপি
কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রে থেরাপির ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে কিছু হালকা থেরাপি আলটা ভয়েলেট থেরাপি হিসেবেও পরিচিত যেটা বিভিন্ন ধরনের রোগীদের দেওয়া হয়। দুই বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য হালকা থেরাপি বা ফটো থেরাপি পরামর্শ দেওয়া হয় না এটা সাধারণত শিশুদের মধ্যে করা হয় না। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের থেরাপি রয়েছে এর পাশাপাশি কাউন্সিলিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সহজেই এই রোগ থেকে সুস্থ হওয়া যায় না তাই চিকিৎসকের দেওয়া কাউন্সিলিং রোগীদের গ্রহণ করতে হবে।