বাড়িতে প্রেগনেন্সি টেস্ট করেছেন কিন্তু বুঝতে পারছেন না সে রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে না নেগেটিভ এসেছে। সাধারণত প্রেগনেন্সি টেস্ট করা হয় ইউরিন এর মাধ্যমে এবং সেখানে ব্যবহার করা হয় একটি ডিভাইস যেটা বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। এই প্রেগনেন্সি টেস্টে যারা প্রথম বার করেন তাদের ক্ষেত্রে অনেকেই অনেক ধরনের চিন্তাভাবনা এবং ভয় ভীতি নিয়ে এই টেস্ট করান যার কারণে সঠিক পদ্ধতিতে অনেকেই প্রথমবার ভুল করেন। তারপরেও যদি সঠিকভাবে কাজটি সম্পাদন করেন কিন্তু রেজাল্ট দেখে সে নিশ্চিতভাবে বুঝতে পারে না সেটা পজিটিভ এসেছে না নেগেটিভ এসেছে।
সাধারণত যেই কাঠির মাধ্যমে প্রেগনেন্সি টেস্ট করানো হয় সেই কাঠিতে ইউরিন দেওয়ার পরে অটোমেটিক্যালি সেই ইউরিনগুলো ভেতরে চলে যায়। এবং মাথার দিকে দেখা যায় যে কিছুটা জায়গা ফাঁকা থাকে যেখানে লাল দাগ তৈরি হতে থাকে। এই অংশ যদি লাল দাগ দুইটি হয় তাহলে সেটা পজেটিভ। আর এখানে যদি লাল দাগ একটি হয় তাহলে সেটা নেগেটিভ। অবশ্যই খুব মনোযোগ সহকারে বিষয়টি দেখতে হবে এবং অন্তত পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে দ্বিতীয় দাগ উঠছে কিনা সেটার জন্য। অনেকের ক্ষেত্রে ৪৫ দিনে একটি দাগ ওঠে কিন্তু সে যদি দুই সপ্তাহ পরে আবার করে তাহলে দুটি দাগ পাওয়া যায় তাই এখানে অপেক্ষা শুধুমাত্র একদিনের নয় বেশ কয়েকদিনের করতে হবে সঠিক রেজাল্ট পাওয়ার জন্য।
প্রেগনেন্সি টেস্ট পজিটিভ ছবি
প্রেগনেন্সি টেস্টের পরে যদি পজিটিভ এসেছে কিনা এটা জানতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে সম্পূর্ণ পদ্ধতি জানতে হবে। অনেকেই বুঝতে পারে না রেজাল্ট পজেটিভ এসেছে না নেগেটিভ এসেছে তাদের বোঝানোর সুবিধার্থে আমরা বেশ কয়েকটি ছবি সংগ্রহ করেছি যেখানে প্রত্যেকটি রেজাল্ট পজেটিভ। আপনারা এই ছবিগুলো দেখে বুঝতে পারবেন কাঠির উপরে দুইটি স্পষ্ট দাগ দেখা যাচ্ছে যেখানে খুব সহজেই বোঝা যাচ্ছে যে এইটা পজিটিভ এসেছে। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে এই স্পষ্ট দাগ আসতে দেরি হয় তবে এগুলো বিভিন্ন সমস্যার কারণে হয়ে থাকে।
তবে এই জায়গাতে এসে ধৈর্য হারা হলে চলবে না আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য সহকারে দেখে নিতে হবে দাগ আসছে কিনা এর জন্য যখন আপনি প্রস্রাব কাঠির উপর দেবেন তারপরে প্রায় পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। যদি পজিটিভ না আসে তাহলে আবার এক সপ্তাহ পরে আপনাকে চেষ্টা করতে হবে। এভাবে কমপক্ষে আপনি ৬০ দিন পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। তারপরও যদি পজিটিভ না আসে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন এই বিষয়ে।
প্রেগনেন্সি টেস্ট পজিটিভ এর লক্ষণ
সাধারণত প্রেগনেন্সি টেস্ট পজিটিভ বলতে বোঝানো হয়েছে যারা গর্ভধারণ করেছেন তাদের প্রাথমিক যে লক্ষণগুলো আছে সেগুলোর কথা। সাধারণত এই লক্ষণগুলো বেশ কয়েকটি আছে শুধুমাত্র একটা লক্ষণ হলেই যে তিনি প্রেগন্যান্ট হয়েছেন এটা ভুল ধারণা। নিশ্চিত হওয়ার জন্য অবশ্যই সব কয়টি উপসর্গ একই সঙ্গে পাওয়া গেলে সেটা সবথেকে ভালো এর সঙ্গে আপনাকে প্রেগন্যান্সি টেস্টের রেজাল্ট পজিটিভ পেতে হবে।
সাধারণত যারা গর্ভধারণ করেন তাদের ক্ষেত্রে প্রাথমিক অবস্থাতে যে উপসর্গ দেখা দেয় সেটা প্রথম হচ্ছে মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া। এই অবস্থাতে গর্ভবতী মায়েদের মাসিক পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় এবং তার শরীরে হঠাৎ করে কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। এই সময় গর্ভবতী মায়ের খাওয়ার প্রতি অনীহার সৃষ্টি হতে পারে এবং খাওয়াতে বমি বমি ভাব লাগতে পারে। এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে যার মাধ্যমে বোঝা যায় সে গর্ভধারণ করেছে।
প্রেগনেন্সি টেস্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি টেস্ট এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমরা এই পরীক্ষা করতে গিয়ে অনেক ভুল করে বসে। সব সময় ঠান্ডা মাথায় আমাদের এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে হবে তার কারণ হচ্ছে এই সময় খুব সামান্য পরীক্ষার মাধ্যমে যদি নিশ্চিত হওয়া যায় তাহলে অতিরিক্ত পরীক্ষা করার কোন প্রয়োজন নেই। অতিরিক্ত পরীক্ষা আরো কয়েক মাস পরে করালে সব থেকে ভালো।