আপনাদের সকলকে স্বাগতম জানাচ্ছি গুরুত্বপূর্ণ এই আর্টিকেলে যেখান থেকে আপনারা আজকে একটি বিশেষ তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন। সাধারণত Pus cells হল মৃত স্লেত রক্তকণিকার একটি সংগ্রহ। আমাদের শরিলের এই গুরুত্বপূর্ণ কোষ নিয়ে আলোচনা করা হবে। এই কোষগুলি সংক্রমনের জায়গায় একটি সাদা ও হলুদ রঙের প্রোটিন সমৃদ্ধ তরল তৈরি করে। এখানে এই তরল টির নাম পুলিশ এবং এই কোষ কখনো কখনো মানব শরীরের প্রস্রাবে উপস্থিতি দেখাতে পারে।
আজকে আমরা জানার চেষ্টা করব কিভাবে এই কোষের উপস্থিতি আমাদের প্রস্তাবে কতটুকু আছে তা জানা যায় এবং এই কোষের উপস্থিতি আমাদের শরীরে বেশি হলে বা কম হলে কি হতে পারে। সাধারণত এ ধরনের কোষ শরীরে অনুপ্রবেশকারী জীবাণুর সাথে লড়াই করে জীবন চক্রকে সুস্থ রাখে। মুচকিতে যখন এই কোষের মাত্রা বাড়ে তখন তাকে বলে পিউরিয়া বলে। আজকে আমরা জানার চেষ্টা করবো এ সম্পর্কে বিস্তারিত তাই আপনারা শেষ পর্যন্ত থাকবেন বলে আমরা মনে করছি।
Pus cells টেস্ট কিভাবে কাজ করে
এই টেস্ট মূলত প্রস্তাবের মাধ্যমে করানো হয়। যখন অসুস্থতার কারণে একজন ব্যক্তি বা একজন রোগী চিকিৎসকের কাছে যাবেন চিকিৎসক অবশ্যই তাকে সবার প্রথমে সাধারণ চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করবে। সাধারণ চিকিৎসা সাথে যদি সুস্থ না হয় তাহলে পরীক্ষিত নিরীক্ষার মাধ্যমে সঠিক রোগ নির্ণয় করার চেষ্টা করবেন এবং তার মধ্যে অবশ্যই Pus cells টেস্ট থাকলে সেখানে সেটা করিয়ে নিতে হবে। এখানে রোগীকে খুব বেশি কষ্ট করতে হয় না শুধুমাত্র প্রস্রাবের স্যাম্পল প্যাথলজিক্যাল ল্যাব এ দিতে হয় এবং সেখান থেকে পরীক্ষা করে নিতে হয়।
Pus cells এর স্বাভাবিক মাত্রা কত
সাধারণত বিভিন্ন ল্যাবের মাত্রা বিভিন্ন হয়ে থাকে। বিভিন্ন ধরনের ল্যাবে বিভিন্ন মানের ঔষধ ব্যবহার করা হয় তাই বিভিন্ন ওষুধের উপর ভিত্তি করে এর মান পরিবর্তন হতে পারে। সাধারণত প্রস্রাবের সেল এর স্বাভাবিক পরিমাণ পুরুষ ও মহিলা ভেদে আলাদা আলাদা হতে পারে অর্থাৎ পুরুষের ক্ষেত্রে যে স্বাভাবিক মান সেটা মহিলাদের ক্ষেত্রে আলাদা অবশ্যই। এখানে পুরুষের ক্ষেত্রে সর্বাধিক মান হতে পারে পাস এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে সর্বাধিক মান হতে পারে ১০। সাধারণত ইউরিন কালচার করে hpf বা হাই পাওয়ার ফিল্ড অফ মাইক্রোস্কোপ এর মাধ্যমে এটা নির্ধারণ করা হয়।
Pus cells বেশি হলে করণীয়
সাধারণত এই সেল এর পরিমাণ প্রস্রাবে যদি বেশি পাওয়া যায় তাহলে ধারণা করা হয় শরীর থেকে এই ধরনের সেল বেরিয়ে যাচ্ছে প্রস্রাবের মাধ্যমে যেটা শরীরের বিভিন্ন জায়গাতে অনেক ক্ষতির কারণ। তবে সবার প্রথমে এটা সঠিকভাবে নিশ্চিত হতে হবে কি সমস্যা হয়েছে এবং নিশ্চিত করার জন্য একজন ভালো চিকিৎসক আপনাকে অবশ্যই সাহায্য করতে পারে। আপনি যখন একেবারে নিশ্চিত হতে পারবেন আপনার এই সমস্যা হয়েছে তখন অবশ্যই একজন চিকিৎসকের কাছে যাবেন এবং তার দেওয়া চিকিৎসা মোতাবেক আপনাকে চলতে হবে।
সাধারণত এই সেল এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে খুব একটা ঔষধ খেতে হয় না চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কিছু নিয়ম মেনে চললেই হয়। তবে সমস্যা যদি অতিরিক্ত হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কিছু ঔষধ খেতে হবে এবং রোগীকে ঘন ঘন তরল জাতীয় খাবার ও পানি বেশি করে খেতে হবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগীদের অন্যান্য রোগের লক্ষণ হিসেবেও এই জিনিসটা দেখা দিতে পারে।
যাদের কিডনিতে কোন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয় এবং সে সমস্যা আলাদাভাবে বোঝা যায় না তাদের Pus cells টেস্টের মাধ্যমে কিডনির সমস্যা খুঁজে বের করা যায়।তাই আপনি এই জিনিসটাকে যতটা সহজ ভাবে দেখছেন এই জিনিসটা ততটা সহজও নয়। আশা করছি আপনারা আমাদের এখান থেকে ভালো একটি তথ্য সংগ্রহ করতে পারলেন যা ভবিষ্যতে আপনাদের কাজে আসবে। এরকম আরো তথ্য পেতে সবসময় আমাদের সঙ্গে থাকুন।