আজকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি টেস্টের নানা খোঁজখবর নিয়ে হাজির হলাম। আমাদের এটা প্রতিনিয়ত করাই লাগে তাই আমরা কোন ধরনের প্যারা নেই না এই বিষয়গুলো নিয়ে। মূলত আমাদের এই বিষয়গুলো নিয়ে লিখতে ভালোই লাগে। ডায়াবেটিস বলতে গেলে জাতীয় একটি রোগ এবং এই ডায়াবেটিস পরীক্ষার জন্য আমরা প্রতিনিয়তই বিভিন্ন চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে দৌড়াদৌড়ি করি। রক্তে ব্লাড সুগার পরীক্ষা করা হয় সে পরীক্ষার নাম আছে এবং সেই নাম হচ্ছে কয়েক ধরনের।
আজকে আমরা কথা বলব রেনডম ব্লাড সুগার অর্থাৎ যেকোনো সময় রক্তের ব্লাড সুগার পরীক্ষা করার যে পদ্ধতি আছে সেই বিষয়টি নিয়ে। রক্তে ব্লাড সুগার অতিরিক্ত হলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারেন এমন অনেকে আছে। আবার ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়েছে এবং রক্তের ব্লাড সুগার নিয়মিত নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য প্রায় প্রতি মাসে একবার করে পরীক্ষা করতে চান এই ধরনের রোগীদের জন্য রেনডম ব্লাড সুগার অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। রেনডম ব্লাড সুগারের আরেকটি বিশেষ দিক হচ্ছে এটা যে কোন সময় করা যায় এতে করে যে কোন ধরনের ঝুঁকি মুক্ত হওয়া যায়।
RBS টেস্ট এর খরচ
এটা অত্যন্ত কমন একটি টেস্ট তা এই টেস্টের খরচ খুব একটা বেশি নয়। চেষ্টা করবেন সব সময় রক্ত এবং প্রসব উভয়ের মাধ্যমে টেস্ট করিয়ে নিতে এতে করে টেস্ট এর মান ভালো হবে এবং অবশ্যই রোগীর সঠিক চিকিৎসা পাবে। যেকোনো সরকারি হাসপাতালে আপনি যদি এই টেস্ট করাতে চান তাহলে আপনার সর্বোচ্চ ৫০ টাকার মত খরচ হতে পারে। তবে আপনি যদি এটা কোন বেসরকারি হাসপাতালে করিয়ে নিতে চান তাহলে আপনার খরচ হতে পারে ১০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৫০ টাকার মত। আশা করছি বিষয়টি আপনারা পরিষ্কার ভাবে বুঝতে পেরেছেন এখন টাকা খরচের ভয়ে বাড়িতে বসে না থেকে ঝটপট গিয়ে টেস্ট করে আসুন।
রক্তে ব্লাড সুগারে টেস্ট কিভাবে করে
সাধারণত ব্লাড সুগার বেশ কয়েক পদ্ধতিতে করা হয় এবং এই ব্লাড সুগার টেস্ট এর ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি পদ্ধতি ভালোভাবে পরিচিত। এই সম্পূর্ণ টেস্ট রক্তের স্যাম্পলের মাধ্যমে করানো হয়ে থাকে। তাই এক কথায় যদি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয় তাহলে বলব যে রক্তের স্যাম্পলের মাধ্যমে রক্তের ব্লাড সুগারে টেস্ট করানো হয় মাঝেমধ্যে কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রে প্রস্রাবের প্রয়োজন পড়তে পারে। এখানে খাওয়ার আগের একটি টেস্ট আছে এবং খাবার দুই ঘন্টা পরের একটি টেস্ট আছে। এবং আরো একটি টেস্ট আছে যেটাকে বলা হয় রেনডম ব্লাড সুগার যেটা নিয়ে আজকে আমরা কথা বলছি।
উপরের দুইটিতে প্রস্তুতি হল খাবার আগে আপনাকে রক্ত প্রদান করতে হবে এবং তারপরে নাস্তা করে দুই ঘন্টা পরে পুনরায় রক্ত প্রদান করতে হবে। কিন্তু RBS ক্ষেত্রে আপনাকে কোন ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে না আপনি যে কোন পরিস্থিতিতে পরীক্ষা করিয়ে নিতে পারেন। হঠাৎ করে রোগীর শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিলে সাধারণত এই টেস্ট করানো হয় যার কারণে এই টেস্টের উপকারিতা অনেক বেশি এবং এই টেস্টের ব্যবহার ও বেশি। লেটেস্ট করানোর জন্য আপনার কোন প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হচ্ছে না যে কোন ধরনের সমস্যায় পড়ার সঙ্গে সঙ্গে চেক করে নেওয়া যায়।
RBS টেস্ট করার প্রস্তুতি
RBS টেস্ট বলতে ডায়াবেটিস টেস্ট কে বোঝানো হয়ে থাকে। যেটাকে আমরা সহজ ভাষাতে ডায়াবেটিস টেস্ট বলে থাকি সেই টেস্ট এর বেশ কয়েকটি ধরন আছে তার মধ্যে তিনটি ধরন আমাদের কাছে পরিচিত। প্রথম যেটা খাওয়ার আগে এখানে প্রস্তুতিমূলক হিসাবে আপনাকে রাতে খাবার খেতে হবে এবং সারারাত আর কিছু না খেয়ে সকালবেলা উঠে গিয়ে সবার প্রথমে রক্ত স্যাম্পল হিসেবে দিতে হবে। এরপরে খেয়ে দুই ঘন্টা পরে আবার স্যাম্পল হিসেবে রক্ত দিতে হবে। তবে র্যান্ডমের ক্ষেত্রে কোন প্রস্তুতি গ্রহণ করা নেই আপনি যে পরিস্থিতিতে থাকেন না কেন আপনি রক্ত দিতে পারেন।