Reelife 20 এর কাজ কি রিলিফ ট্যাবলেট

আজকের ঔষধ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ঔষধ বিশেষ করে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষদের জন্য। বিভিন্ন ধরনের ছোট খাটো মানুষিক সমস্যা আস্তে আস্তে বড় হয় এবং এই সমস্যা একদিন এতটাই খারাপ রূপ আকার ধারণ করে যেখান থেকে ফিরে আসা সম্ভব হয় না কারো পক্ষে। এমন রোগের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে বা এমন রোগের বিরুদ্ধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে এরকম একটি ট্যাবলেট এর কথা আজকে বলতে চলেছি যে ট্যাবলেট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে এস কে এফ ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড।

মূলত এই ট্যাবলেটের দুইটি উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে এই দুইটি উপাদান একইসঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন একটি ট্যাবলেট তৈরি করেছে যেখানে দুইটি উপাদান আলাদা আলাদা ভাবেও ট্যাবলেট ফরমেটে পাওয়া যাবে বাজারে। প্রথম উপাদান অ্যামিটিট্রায়ালিন হাইড্রোক্লোরাইড যেটা ১২.৫ মিলিগ্রাম ব্যবহার করা হয়েছে। দ্বিতীয় উপাদান হচ্ছে ক্লোরডায়াজিপোক্সাইড যা এখানে পাঁচ মিলিগ্রাম ব্যবহার করা হয়েছে। দুইটি উপাদান সমন্বয় করে একটি ট্যাবলেট তৈরি করা হয়েছে অবশ্যই এর গুরুত্ব অনেক বেশি চলুন আমরা জানার চেষ্টা করব এই ট্যাবলেট এর বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা সম্পর্কে।

Reelife 20 ট্যাবলেট কি কাজ করে

সাধারণত এখানে যে উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে সেই উপাদান মানসিক বিষন্নতা এবং দুশ্চিন্তা রোধে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তাই এই ধরনের উপসর্গ রয়েছে এরকম রোগী যদি কোন ডাক্তারের কাছে যায় অবশ্যই ডাক্তার তার সঙ্গে ভালোভাবে অনেক পরামর্শ করবে এবং পরিশেষে অন্যান্য ওষুধের সঙ্গে Reelife 20 ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দেবে। সাধারণত এখানে তীব্রমাত্রার বিষন্নতা এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট উদ্বিগ্নতা রোধ এটা ব্যবহার করা হয়। আপনার যদি এরকম সমস্যা হয় তাহলে অনুরোধ থাকবে কখনোই বাড়িতে বসে থাকবেন না অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যাবেন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক ঔষধ সেবন করবেন।

এই সমস্যা সমাধানের জন্য যখন আপনি চিকিৎসা শুরু করবেন তার প্রথম সপ্তাহে যে লক্ষণ গুলো দেখা দেবে তার মধ্যে রয়েছে নিদ্রাহীনতা থেকে শুরু করে উত্তেজনা ও মানসিক শারীরিক উদ্বিগ্নতা বৃদ্ধি পাওয়া। তাই অবশ্যই চিকিৎসকের মাধ্যমে আপনাকে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং এই ধরনের সমস্যা সমাধানে কোনোভাবেই অবহেলা করা যাবে না।

Reelife 20 ট্যাবলেট খাওয়ার সঠিক নিয়ম

ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এই ট্যাবলেট সে বলের একটি সঠিক মাত্রা ও সেবল বিধি উল্লেখ করেছে। আমরা সেগুলো আজকে আপনাদের সামনে সহজ ভাষায় তুলে ধরবো চলুন জানার চেষ্টা করি সেই বিষয়ে তারা কি বলছে। সাধারণত বিভিন্ন ধরনের ব্যক্তির ক্ষেত্রে বা বিভিন্ন ধরনের রোগীর ক্ষেত্রে এর সেবন মাত্রা আলাদা হতে পারে তাই এখানে তারা প্রথমে সাবধান হতে বলেছে।

সেবন মাত্রার যে বড় ভাগ অর্থাৎ বিভক্ত মাত্রায় যদি ডাক্তার ঔষধ সেবন করতে বলে তাহলে তার মধ্যে যে বড় ভাগ থাকবে সেটা রাতে নেওয়াই উত্তম বলে তারা বলেছে। প্রাপ্তবয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে যদি এই ধরনের উপসর্গ ধরা পড়ে তাহলে প্রাথমিক পর্যায়ে তিন থেকে চারটি পর্যন্ত ট্যাবলেট দিনের বিভিন্নভাবে গ্রহণ করা যেতে পারে। অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনভাবে এটা নির্ধারণ করা যাবে না তাই অনুরোধ থাকছে এই ধরনের চিকিৎসায় কোনভাবেই নিজে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন না অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।

Reelife 20 দাম ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

সাধারণত ঔষধের কার্যকারিতা এবং ঔষধের গুরুত্বের উপর বিবেচনা করলে সেই ওষুধের দাম ভাবা উচিত নয় তারপরও আমাদের এখন ভাবতে হচ্ছে তার কারণ প্রতিনিয়ত এই দামগুলো বৃদ্ধি পাচ্ছে। এস কে এফ ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের Reelife 20 ট্যাবলেটের বর্তমান দাম ৮ টাকা। এখানে ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে সাধারণত যে লক্ষণ গুলো দেখা দেয় তার মধ্যে ক্ষুধামন্দা একটি এর পাশাপাশি ক্লান্তি ,দুর্বলতা ,অস্থিরতা ও ঘুম কমে যাওয়া লক্ষণীয় । তবে সব সময় চিকিৎসকের সংস্পর্শে থাকলে এই উপসর্গগুলো আস্তে আস্তে চলে যাবে।