ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্ট যখন থাকে না তখন এই ইনসুলিন বাইরে থেকে প্রবেশ করাতে হয়। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে ইনসুলিনের নিয়ম বা ইনসুলিন এর পরিমাপ এতটাই ওঠা নামা করে যে বাইরে থেকে এগুলো বলা অনেক বেশি কঠিন। এটা এমন একটি রোগ যেটা নিয়ন্ত্রণে থাকলে খুবই ভালো কিন্তু যদি নিয়ন্ত্রণে না থাকে তাহলে এর থেকে খারাপ জিনিস আর হয় না। যাদের ইনসুলিন দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে তারা যদি একটু ধৈর্য সহকারে আমাদের সঙ্গেই থাকেন তাহলে এখান থেকে ইনসুলিন দেওয়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারবেন।
আমরা বরাবরই মেডিকেল সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য আমাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করি এবং এই প্রত্যেকটি তথ্য আমাদের পাঠকদের কাছে বেশ পছন্দের তথ্য হয়ে যায়। তার কারণ হচ্ছে আমরা লেখাগুলি এতটাই সহজ ভাষায় তৈরি করি যাতে করে মনে হয় যেন গল্পের মাঝে অনেক কিছু আমরা শিখতে পারছি। কিভাবে ইনসুলিন ব্যবহার করবেন সেই সম্পর্কে যদি সঠিক তথ্য সংগ্রহ করতে চান তাহলে আমাদের এখান থেকে তথ্যটি সংগ্রহ করুন।
ইনসুলিন কিভাবে নিতে হয়
ইনসুলিন নেওয়ার ক্ষেত্রে সবার প্রথমে যেই জিনিসটি মাথায় রাখতে হবে সেটা হচ্ছে ইনসুলিনের সংরক্ষণ। আপনি যদি আপনার কাছে থাকা ইনসুলিনের সংরক্ষণ সঠিকভাবে না করেন সঠিক তাপমাত্রায় না করেন তাহলে সে ইনসুলিন দীর্ঘদিন থাকার পর নষ্ট হয়ে যেতে পারে এবং সেটার কার্যকারিতা হারিয়ে যেতে পারে। ইনসুলিন রাখার নিয়ম হচ্ছে ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়।
ইনসুলিন অবশ্যই ইনজেকশনের মাধ্যমে বা সিরিঞ্জ ব্যবহারের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করাতে হবে। এক্ষেত্রে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে যেমন একই সিরিজ দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করা যাবে না বা অন্যের ব্যবহৃত সিরিজ আরেকজনের কোনোভাবেই ব্যবহার করা যাবে না। বর্তমানে কলম ফরমেট এর মতন যে পেন ইনসুলিন গুলো ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলো একটি একজনের জন্যই ব্যবহার উপযোগী দুইজন এইভাবে ব্যবহার করা যাবে না। ইনসুলিন চেষ্টা করতে হবে শরীরের নির্দিষ্ট জায়গাতে মাংসপেশিতে পুশ করতে যাতে করে সেটা শরীরে আস্তে আস্তে ছড়িয়ে যায়। চেষ্টা করুন চর্বিযুক্ত স্থানে এই ইনসুলিন যেন পুশ করা হয় তার মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে পারে তলপেট অথবা উড়ু এবং বাহু।
সাধারণত আরেকটা জিনিস অত্যন্ত লক্ষণীয় সেটা হচ্ছে নাভীর আশেপাশে অন্তত দুই ইঞ্চি পরিমাণ জায়গায় ইনসুলিন দেওয়া যাবে না। এছাড়াও শরীরের যেই অংশগুলোতে তিল রয়েছে সেই আশেপাশে ইনসুলিন দেওয়া যাবে না তার কারণ হচ্ছে এর কারণে সেখানে এলার্জিক রিএকশন হতে পারে। এবং আপনি যেখানে ইনসুলিন দিচ্ছেন সেই স্থানটি শুকনো পরিষ্কার রাখা জরুরি।
সঠিকভাবে ইনসুলিন দেওয়ার নিয়ম
সিরিজ দিয়ে যখন ইনসুলিন দেওয়া হয় তখন চেষ্টা করতে হবে যত ইউনিট ইনসুলিন দেওয়া হবে সেই পরিমাণ বাতাস সেদিন যে টেনে নিয়ে বাতাস প্রবেশ করাতে হবে। ভাইয়ালের মুখটি নিচের দিকে রেখে পরিমাণ অনুযায়ী ইনসুলিন সিরিন যে প্রবেশ করাতে হবে অপরদিকে পেন ব্যবহারের ক্ষেত্রে যতই ইউনিট ইনসুলিন নেয়া হবে ঠিক সেই পরিমাণ ভাইয়াল ঘুরিয়ে সেট করে নিতে হবে।ইনসুলিন দেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই চামড়ার জায়গাটা দুই আঙ্গুল দিয়ে একটু ভাজ করে তুলে ধরে শুই ভিতরে প্রবেশ করাতে হবে।
আপনি চাইলে খারাপ হবে অথবা ৯০ ডিগ্রি কোণে সুইটি প্রবেশ করাতে পারেন ইনসুলিন দেওয়ার সময়। ইনসুলিন দেওয়া যখন শেষ হয়ে যাবে তখন যেন শরীরে ঠিকভাবে প্রবেশ করতে পারে তার জন্য কিছু সময় অপেক্ষা করে তারপর সুইটি বের করে আনতে হবে এর জন্য যদি ১০ সেকেন্ড অপেক্ষা করা লাগে আপনি করতে পারেন। এছাড়া ইনসুলিন নেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ হলে সিরিজ এবং শুই এগুলো নিরাপদ স্থানে সংরক্ষণ করতে হবে এবং ব্যবহার শেষে ফেলে দিতে হবে। এই নিয়মগুলো মেনে যদি আপনি ইনসুলিন ব্যবহার করতে পারেন তাহলে অবশ্যই ইনসুলুলের সঠিক উপকারিতা আপনি পাবেন এবং এর থেকে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আপনার শরীরে দেখা যাবে না।