এনজিওগ্রাম এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

অসুস্থ হওয়ার পরে এমনিতেই সকলের মানসিক অবস্থা ভেঙ্গে পড়ে। শুধুমাত্র যে রোগীর মানসিক অবস্থা ভেঙ্গে পড়ে এমন নয় এর পাশাপাশি রোগীর পরিবারের প্রত্যেকটি সদস্যের মানসিক অবস্থাও ভেঙ্গে পড়ে তাই তখন যেকোন জিনিস ভয়ের সম্ভাবনা সৃষ্টি করে। এনজিওগ্রাম নিয়ে ভয় হওয়ার স্বাভাবিক ব্যাপার তার কারণ হচ্ছে এটা অনেক বড় একটি পরীক্ষা তবে এই ভয় কে আপনি যদি জয় করতে পারেন তাহলে অবশ্যই সেটা আপনার সুস্থতার অন্যতম একটি কারণ হতে পারে।

এনজিওগ্রাম নিয়ে যত ধরনের ভুল ধারণা আপনাদের মাঝে আছে সেই ভুল ধারণা দূর করতে আপনারা চাইলেই এনজিওগ্রাম সম্পর্কে জানতে পারেন এবং যখন প্রয়োজন হয় তখন এই তথ্যগুলো থেকে নিজের সাহস জোগাতে পারেন। আমাদের যে হৃদযন্ত্র রয়েছে সেই হৃদযন্ত্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষা হচ্ছে এনজিও গ্রাম। যদি এখানে কোন ধরনের সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকেরা এই পরীক্ষা করার পরামর্শ যে কোন রোগকে দেবেন চলুন আজকে জানার চেষ্টা করি এই পরীক্ষা সম্পর্কে।

এনজিওগ্রাম করতে কি কি লাগে

এনজিওগ্রাম করতে সাধারণত কি কি প্রস্তুতির প্রয়োজন রয়েছে সেটা জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার যেহেতু এটা অনেক বড় একটি পরীক্ষা। সাধারণত চিকিৎসকেরা একজন রোগীকে প্রয়োজনীয় ঔষধ এবং কিডনি ফাংশন পরীক্ষা করার পরে এনজিওগ্রাম করার প্রস্তুতি গ্রহণ করতে বলে। এছাড়াও আপনাকে প্রস্তুতিমূলক হিসাবে শরীর থেকে সকল ধরনের মেটালিক জিনিসপত্র খুলে রাখতে হবে এবং আপনার শরীরের বডি টেম্পারেচার এবং ব্লাড প্রেসার ঠিক আছে কিনা সেগুলো নার্সের মাধ্যমে পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে এর বাইরে এনজিওগ্রাম করতে অন্য কোন জিনিস প্রয়োজন পড়ে না।

এনজিওগ্রাফি করতে কত সময় লাগে

অনেকে এনজিওগ্রাম এর সময়ের কথা উল্লেখ করে মূলত এটা অনেক বড় একটি পরীক্ষা তাই এখানে অবশ্যই সময়ের প্রয়োজন রয়েছে। তবে এখানে এমন একটি জিনিস বেশি ভয় হিসেবে কাজ করে সেটা হচ্ছে এই পরীক্ষা হওয়ার সময় রোগীর কোন সমস্যা হবে কিনা। যদি বলেন এনজিওগ্রাম করতে কষ্ট হয় কিনা তাহলে সে উত্তরে আমরা বলতে পারি এনজিওগ্রাম করতে কোন ধরনের কষ্ট হয় না। এখানে চিকিৎসকরা অনেক সময় এনেশ্পাশিয়া ব্যবহার করতে পারেন যাতে করে কিছু ঔষধ বা অন্য কোন মেডিসিন ব্যবহার করতে পারে যার ফলে ব্যথার প্রবণতা আরো কমে আসতে পারে।

এনজিওগ্রাম কিভাবে করে

হঠাৎ করে বুকে ব্যথা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা গেল হৃদ যন্ত্রে কোন একটি সমস্যা আছে তবে কি সমস্যা সেটা অনেকেই নির্ণয় করতে পারছেন না সামান্য টেস্টের মাধ্যমে। চিকিৎসক তখন সিদ্ধান্ত নিলেন বড় কোন পরীক্ষা করার এবং রোগীদেরকে এনজিওগ্রাম করার পরামর্শ দিলেন এবং এনজিওগ্রাম করার ক্ষেত্রে আপনাকে কোন ধরনের প্রস্তুতির প্রয়োজন পড়বে না। মনে সাহস যোগী এনজিওগ্রাম করতে যেতে হবে।সাধারণত এনজিওগ্রাম করা খুব সহজে একটি পদ্ধতি তবে এখানে দক্ষ হাতের প্রয়োজন রয়েছে অনেক সময় চিকিৎসক নিজের হাতে এনজিওগ্রাম করে থাকেন। এই পরীক্ষার মাধ্যমে রোগীর রক্তনালীতে কোন ধরনের সমস্যা আছে কিনা সেটা চিহ্নিত করা যায়। রোগীর করোনারে ধমনী ঠিক কয়টি ব্লকের তৈরি হয়েছে কিংবা কয়টি ফ্লক আছে সেই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য মূলত এই পরীক্ষা করা হয়।

এখানে রোগীর রক্তনালীর ঠিক কোথায় ব্লকেজ হয়েছে তা এক্সাক্টলি চিহ্নিত করার জন্যই মূলত এই পরীক্ষা করা হয়। কোন কোন রোগীর ক্ষেত্রে পূর্বের করোনারি বাইপাস সার্জারি রেজাল্ট চেক করে দেখার জন্য মূলত এনজিওগ্রাম পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। হার্ট এবং রক্তনদীর ব্লাড ফ্লো চেক করার জন্য অনেক সময় এনজিওগ্রাম করা হয়ে থাকে।এনজিওগ্রাম এর ফলে যেই রেজাল্টগুলো পাওয়া যায় সেই রেজাল্টগুলো একজন রোগীর জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। যদি এই রেজাল্টগুলো ভালো হয় তাহলে সেই রোগিটি একেবারেই সুস্থ আর যদি এর রেজাল্ট খারাপ হয় তাহলে তাকে দ্রুত চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে হয় সুস্থ হওয়ার জন্য।