প্রত্যেকটা জিনিসের একটি লক্ষণ আছে। যেটাকে আমরা উপসর্গ বলতে পারি। সাধারণত এই উপসর্গগুলো দেখার পরে আমরা সেই জিনিস সম্পর্কে আগে থেকে ধারণা পাই। যারা গর্ভবতী হয়েছেন তাদের কোন সময়ে বাচ্চা হবে বা তিনি কখন বাচ্চা প্রসব করবেন এগুলো বিভিন্ন উপসর্গের মাধ্যমে বোঝা যায়। বর্তমানে কিছু অত্যাধুনিক পদ্ধতি আছে যেমন আলট্রাসনোগ্রাফি এই পদ্ধতির মাধ্যমে বাচ্চা হওয়ার সঠিক সম্পর্কে অবগত হওয়া যায়।
সাধারণত নিশ্চিতভাবে কেউ একেবারেই সঠিক তারিখ বলতে পারেনা তবে সাত দিন আগে অথবা সাত দিন পরে এরকম একটি তারিখ নির্ধারণ করে দেয় যে তারিখ অনুযায়ী সব সময় সতর্ক থাকতে হয়। যারা নরমাল ডেলিভারি করা সম্ভাবনা থাকে তাদেরকে অবশ্যই সতর্ক অবস্থানে থাকতে হয় তার কারণ হচ্ছে নরমাল ডেলিভারির কিছু উপসর্গ আছে যেগুলো দেখলে বোঝা যায় এবং সেগুলো বোঝার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতলে নিয়ে আসতে হয়।।
সাধারণত নরমাল ডেলিভারির ক্ষেত্রে কোমরে ব্যথা অনুভূত হবে গর্ভবতী মা। হঠাৎ করে কোমরে প্রচন্ড ব্যথা এবং পেট নিচের দিকে ঝুলে যাওয়ার মতন প্রবণতা তৈরি হবে। এছাড়াও গর্ভবতী মায়ের পানি ভাঙ্গা শুরু হতে পারে নরমাল ডেলিভারির আগে। সাধারণত এই উপসর্গ যখন দেখা যাবে তখন বাড়িতে বসে না থেকে যত দ্রুত সম্ভব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বা যেকোনো ধরনের হাসপাতাল হোক না কেন সেখানে নিয়ে যেতে হবে। আর যাদের নরমাল ডেলিভারি হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই তাদের ক্ষেত্রে সিজারে এন্ড ডেলিভারির সময় চেষ্টা করতে হবে উপযুক্ত সময় হওয়ার পরে সিজারিয়ান ডেলিভারি করানোর।
গর্ভধারণ বা প্রেগনেন্সির দশটি প্রাথমিক লক্ষণ
সাধারণত গর্ভধারণ এবং প্রেগনেন্সির যে লক্ষণ গুলো রয়েছে সেগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি এই লক্ষণ গুলো বোঝা যায় তাহলে খুব আগে থেকেই গর্ভবতী মা তার সন্তানের প্রতি যত্নবান হয়ে ওঠে। গর্ভেজের সন্তান আছে সেই সন্তানকে সঠিক ভাবে বেড়ে তোলার জন্য অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে এই বিষয়গুলোর উপর। সঠিকভাবে নিজের সন্তানের যত্ন নেওয়ার জন্য আগে থেকে আপনাকে জানতে হবে আপনার গর্ভে সন্তান এসেছে কিনা এবং সেই জন্য যে উপসর্গগুলো বোঝা জরুরী সেগুলো এখন আমরা আপনাদের জানাবো।
সাধারণত গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে খাবার কিন্তু যখন গর্ভে সন্তান আসে তখন খাবারের প্রতি অনীহা সৃষ্টি হতে পারে এটা বড় একটি উপসর্গ। গর্ভবতী মায়েদের খেতে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হচ্ছে মন মেজাজের উঠানামা অর্থাৎ কখন মন ভালো থাকবে আবার কখনো মন খারাপ থাকবে এরকম ওঠানামা হতে পারে গর্ভধারণের পূর্ব লক্ষণ।
হঠাৎ করে পেট ফুলে যাওয়া হচ্ছে গর্ভধারণের একটি লক্ষণ এবং এই অবস্থাতে তলপেট ফুলে যেতে পারে। এছাড়াও ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ গর্ভধারণের আরো কিছু লক্ষণ যেটা কখনোই এড়িয়ে চলা যায় না। এছাড়াও অবসন্নতা বোধ হতে পারে এই অবস্থাতে।
গর্ভে সন্তান আসলে স্তন কমল ও স্ফীত হয়ে যাওয়ার মতন উপসর্গ দেখা দিতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে বমি বমি ভাব এবং স্পোটিং বা সাদা স্রাব দেখা দিতে পারে। হঠাৎ করে শারীরিক তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে গর্ভে সন্তান আসলে এবং সব থেকে বড় সমস্যা হচ্ছে এই অবস্থাতে রোগী অনেক বেশি দুর্বল হয়ে যায়।সাধারণত এই উপসর্গ যদি কারো শরীরে দেখা যায় তাহলে সে ধরে নিতে পারেন তার গর্ভে সন্তান এসেছে। নিশ্চিত হওয়ার জন্য ৪৫ দিন পরে প্রেগন্যান্সি টেস্টের মাধ্যমে আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে।
গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ কতদিন পর বোঝা যায়
সাধারণত এই লক্ষণ গুলো দেখা যায় প্রায় ৩০ দিনের মধ্যে। ৩০ দিন থেকে এই লক্ষণ শুরু হয় যে লক্ষণ ৪৫ দিন পর্যন্ত চলতে থাকে। যারা গর্ভধারণের লক্ষণ গুলো ফলো করতে চাচ্ছেন তারা ৩০ দিন থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে একটু খেয়াল করলেই এই লক্ষণগুলো সম্পর্কে বুঝতে পারবেন।