লিভার ক্যান্সার রোগীদের ক্ষেত্রে অবশ্যই একটা বিষয় নিশ্চিতভাবে বলা যায় সেটা হচ্ছে সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা তাকে সুস্থতা দান করতে পারবে। এমন অনেক রোগ আছে যে রোগগুলোতে আমরা একটু দেরিতে চিকিৎসা শুরু করলেও কোন সমস্যা হয় না কিন্তু ক্যান্সার এমন একটি রোগ যেটা বড় ধরনের সমস্যা তৈরি করতে পারে। লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে যখন তাদের অবস্থা একেবারে খারাপ পর্যায়ে চলে যায় তখন সাধারণত যে উপসর্গগুলো দেখলে বোঝা যায় সেই রোগীর হাতে খুব বেশি সময় নেই সেই উপসর্গ নিয়ে আজকে আমরা কথা বলব।
সাধারণত এই অবস্থাতে আলোর বৃদ্ধি বা হ্রাস চোখে পিউপিল কোন প্রতিক্রিয়া করে না। অর্থাৎ সেই রোগীর সামনে আপনি যখন আলো বৃদ্ধি করাবেন এবং আলো কমাবেন তখন এটা তার চোখের উপর কোন প্রভাব ফেলবে না। অনেক রোগীদের ক্ষেত্রে একটি বিষয় লক্ষ্যণীয় সেটা হচ্ছে তারা যখন কথা বলার চেষ্টা করবে তখন তাদের জিহবার পথিক্রিয়া কমে আসতে শুরু করবে এবং দৃষ্টি শক্তিও কমে যাবে।
প্রায়ই চোখের পাতা বন্ধ করতে পারেন না রোগী এবং নাক থেকে ঠোঁট দুই করে পর্যন্ত রেখা পড়ে যেতে পারে অনেক সময় ভাজ হয়ে যাবে এই স্থানগুলো অর্থাৎ কোন স্পট আছে বলে মনে হবে। এই ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় লক্ষ্য নিও সেটা হচ্ছে তাদের মাথা সামনের দিকে নিয়ে পড়বে অর্থাৎ তারা যখন কথা বলবে বা উঠে বসবে তখন মনে হচ্ছে তাদের মাথা সামনের দিকে হেরে যাচ্ছে।
অনেক রোগীদের ক্ষেত্রে এই সংক্রমণ অনেক তীব্র হওয়ার কারণে কণ্ঠনালী পর্যন্ত এই সংক্রমণ ছড়াতে পারে যার কারণে কন্ঠনালীতে গড় গড় আওয়াজ আসতে পারে। এবং রক্তক্ষরণ এই অবস্থাতে একটি স্বাভাবিক সমস্যা। এছাড়াও রোগীর শরীরের চামড়ার দিকে যদি লক্ষ্য করা হয় তাহলে দেখা যাবে যে সেই শরীরের চামড়ার শিরা উপশিরা চোখে পড়ার মতো স্পষ্ট হয়ে উঠেছে এবং সেটা দেখতে মাকড়সার জালের মতন মনে হচ্ছে।
এ পাশাপাশি গাল ও রঙের প্রস্তাব ও ধূসর প্রস্রাব হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং প্রচন্ড ব্যথা ও অস্বস্তি অনুভূত হবে। এই জিনিসগুলো যদি কোন রোগের শরীরে থাকে এবং চিকিৎসকেরা বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে যদি বুঝতে পারেন তাহলে অবশ্যই সেটা পরিবারের সদস্যদের জানাতে পারেন তার রোগীর অবস্থা খুব খারাপ।এই অবস্থাতে সে রোগী যেকোনো সময় মৃত্যুবরণ করতে পারে তবে চিকিৎসকেরা তাদের আশা বাঁচিয়ে রাখতে তিন মাস অথবা ছয় মাস সময় বেঁধে দেন।
লিভার ক্যান্সার কি ভালো হয়
এই প্রশ্নের উত্তরে আমরা অবশ্যই হ্যাঁ বলব তার কারণ হচ্ছে এখনো এমন অনেক মানুষ বেঁচে আছে যাদের লিভার ক্যান্সার হয়েছিল। প্রাথমিক পর্যায়ে যদি লিভার ক্যান্সার ধরা পড়ে এবং সঠিকভাবে যদি সেটা ডায়াগনোসিস করা হয় এবং সবকিছু যদি ঠিক থাকে তাহলে সেই ব্যক্তি ৫ থেকে ১০ বছর খুব ভালোভাবে বেঁচে থাকতে পারবেন। তবে পুনরায় যদি এই ক্যান্সার ফিরে আসে অথবা লিভার ড্যামেজ হয় তাহলে সেই ক্ষেত্রে রোগীকে পুনরায় চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
লিভার ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে
আসলে কেউ সঠিকভাবে বলতে পারে না কেউ কতদিন বাঁচে লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে এমন ইতিহাস অনেক দেখা গেছে যারা 10 বছর পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন। তাই অবশ্যই প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার গুলো ধরতে পারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তাই আমাদের সমাজে এবং আমাদের পরিবারে এর বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা উচিত। এখানে যাদের অবস্থার একেবারেই অবনতি হয়ে যায় তাদের ক্ষেত্রে তিন মাস অথবা ছয় মাস সময় দেওয়া হয়। যাদের শারীরিক সুস্থতা ভালো থাকে তারা এর থেকে বেশিও বেঁচে থাকতে পারেন। তাই চেষ্টা করতে হবে লিভার ক্যান্সার কে প্রতিরোধ করার।