মাসিক বন্ধ হওয়ার আগে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ

আপনাদের সকলকে জানাই আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে স্বাগতম। আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আমরা শুধুমাত্র আপনাদের জন্য নিয়ে আসে নতুন নতুন সব আর্টিকেল। আমরা সব সময় চেষ্টা করি আপনাদের প্রশ্নের উত্তরগুলো একটি করে আর্টিকেলের মাধ্যমে দেয়ার জন্য। ঠিক সেরকমই আজকেও আমরা একটি আর্টিকেল নিয়ে এসেছি আপনাদের জন্য। আজকের আর্টিকেলের মূল বিষয় হলো মাসিক বন্ধ হওয়ার আগে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ সমূহ। আপনারা যারা বহুদিন থেকে মা হওয়ার চেষ্টা করছেন তাদের জন্য হয়তো আমাদের আজকের আর্টিকেলটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ হবে।

পিরিয়ড মিস হচ্ছে কিনা সেদিকেও আপনাদের খেয়াল রাখতে হবে। তবে পিরিয়ড মিস হওয়ার আগে কিছু লক্ষণ রয়েছে যেগুলো আপনারা লক্ষ্য করলে বুঝে নিতে পারবেন যে আপনি গর্ভবতী কিনা। এটি হয়তো আপনাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল কারণ আপনারা যারা বহুদিন থেকে মা হওয়ার জন্য চেষ্টা করছেন তারা হয়তো প্রতিমাসে সে থাকেন যে এ মাসে পিরিয়ড বন্ধ হলেই হয়তো বা আপনার স্বপ্ন পূরণ হবে।

তাই তাদের জন্যই পিরিয়ড মিস হওয়ার আগে আপনি যদি এই লক্ষণ গুলো খেয়াল করে থাকেন এবং আপনার সাথে মিলে যায় তাহলে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন যে আপনি গর্ভবতী হয়েছেন। তো চলুন মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন যে পিরিয়ড মিস হওয়াকে গর্ভধারণের একমাত্র লক্ষণ বলে মনে করা হয় না এর কারণ হলো বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে পিরিয়ড মিস না হওয়া সত্বেও অনেক মহিলায় গর্ভধারণ করেছে।

তাই আপনিও যদি প্রেগনেন্ট হওয়ার চেষ্টা করেন তাহলে এই শরীর বৃত্তীয় ঘটনাগুলি গর্ভধারণের ইসারা হিসেবে কাজ করে তাই আমরা আপনাদের জন্য কিছু লক্ষণ তুলে ধরব আশা করি আপনারা নিজেদের সাথে সেই লক্ষণগুলো মিলিয়ে নিবেন।

মর্নিং সিকনেস

গর্ভবতী হওয়ার প্রধান একটি লক্ষণ হল মর্নিং সিকনেস। তবে এই লক্ষণ দিনে বা রাতে যে কোন সময় হতে পারে। গর্ভধারণ করার একমাস পর থেকে অনেকেরই এই লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে। চার থেকে ছয় সপ্তাহ পর এই লক্ষণ অনুযায়ী আপনার বমি শুরু হবে অথবা বমি বমি ভাব লাগবে।

এর কারণ হলো এস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন হরমোন স্তর বৃদ্ধি পায় তাই সকালে উঠে গর্ভবতী মায়েদের গা গুলানোর শুরু করে। তবে এটি যে শুধু সকালেই হবে তা কিন্তু নয় অনেকেরই রাতে বিকেলে অথবা যে কোন সময় এই সমস্যাটি দেখা দিতে পারে। এটি হল গর্ভাবস্থার জন্য একটি সাধারন লক্ষণ।

মুড সুইং ও মাথা ঘোরানো

গর্ভধারণের সময় থেকে হরমোনের নানান পরিবর্তনের জন্য সময় অসময়ে একজন গর্ভবতী মায়ের মোট সয়ে হতে পারে। হঠাৎ করে কান্না পাওয়া আবার রেগে যাওয়া কেউ কেউ আবার আনন্দ পায় আবার কখনো এক্সাইটেড হয়ে যায় এটি হলো মোড সুইং।

এছাড়াও গর্ভধারণ করার পর গর্ভবতী মায়েদের সাধারণত মাথা ঘোরানোর সমস্যাটি দেখা দেয়। আপনার সঙ্গে যদি এমন কিছু ঘটে থাকে তাহলে একেবারে অপেক্ষা করবেন না সঙ্গে সঙ্গে প্রেগনেন্সি টেস্ট করিয়ে শিওর হয়ে নিবেন যে আপনি গর্ভবতী কিনা।

বারবার টয়লেটে যাওয়া

আপনি যদি গর্ভধারণ করে থাকেন তাহলে আপনার পিরিয়ড মিস হওয়ার আগেই আপনার বারবার টয়লেটে যেতে হবে। এইটি হলো গর্ভবতী মায়েদের একটি প্রধান লক্ষণ হিসেবেই বলা যেতে পারে। এসময় থেকে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি আপনার প্রস্রাব হতে পারে তাই আপনাকে বারবার তখন টয়লেটে যেতে হবে।

এর কারণ হলো গর্ভাবস্থার সময় শরীরের রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় তাই এ সময় কিডনি অধিক পরিমাণে তরল মিশ্রিত করতে শুরু করে যার ফলে ইউরিন এর মাধ্যমে শরীর থেকে বের হয়ে যায়।
আপনার মাঝে যদি এই লক্ষণগুলো লক্ষ্য করে থাকেন তাহলে অবশ্যই প্রেগনেন্সি টেস্ট করে নিবেন। আশা করা যায় এই লক্ষণগুলো থাকলে একজন মা এর গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।